পলাশতলীর বাঁকে কর্মিষ্ঠ মুনিষ
মহিষ তাড়িয়ে নিয়ে যায়
মাঠে, শোনে দ্বিপ্রহরে কখনোবা দোয়েলের শিস
গাছে ঠেস দিয়ে, সানকিতে আঙুলের নকশায়
ছবি দেখে, দিঘিতে আঁচিয়ে হাত মুখ
ক্ষেতে ফের নিড়ানির কাজ করে, যদিও অসুখ
বহুদিন থেকে। দিনশেষে ঘরে ফিরে হুঁকো টানে।
বউ, যার শরীরে আমন
ধানের সুবাস, যাকে মাঝে মধ্যে প্রবল ফাল্গুন
দোল দিয়ে যায়, জ্বালে সাঁঝবাতি, মন
হয় উচাটন বাঁশঝাড় দেখে। বাউলের গানে
ধুলায় এসেছে নেমে আরশি নগর।
মুনিষকে সালংকরা গণিকার মতো
অবিরত
ডাকে সেই দূরের শহর।