টেন্ডার

সত্যি বলতে কী, ব্যাপারটা ঘটেছিল নিকারাগুয়ায়
প্রেসিডেন্ট সমোসার শাসনামনে।
পরাক্রমশালী সামরিক হর্তাকর্তাগণ টেন্ডার
ডাকলেন টুপি, উর্দি আর বুটজুতোর জন্যে।
যে ঠিকাদার দেখালো সবচেয়ে কম দর,
তাকেই দেয়া হলো অর্ডার।
যে কোনো হাঁদারামও জানে
এটাই দস্তুর।

টুপি, উর্দি আর বুটজুতোর স্তূপ সরবরাহ
করার পর দেখা গেল-
সবগুলো ইয়া বড় আর ঢিলেঢালা যে, একটি
টুপির ভেতর সাতটি মাথা ঢুকে যেতে পারে,
মুখসুদ্ধ ঢেকে যায়, নেমে যায় কাঁধে।
একটা উর্দির ভেতর তিনজন তাগড়া
জওয়াকে সেঁধিয়ে দেয়ার পরেও ঢের
জায়গা থেকে যায়।
বুটজুতোগুলো এত বড় যে সেগুলো পরে
কুচকাওয়াজ করা তো দূরস্থান, হাঁটাই মুশকিল।

ঠিকাদার বেচারীর কোনো দোষ নেই।
তার নজরদারি তো হামেশা লাভের দিকেই, যত কম
কাপড় আর চামড়া
খরচ করা যায় ততই তার লাভ।
কিন্তু সামরিক হর্তাকর্তাগণ ব্যাপার স্যাপার দেখে
বেজায় খাপ্পা, তেতে-ওঠা স্টেনগান।

আবার ডাকা হলো টেন্ডার।
অর্ডার নিয়ে গেল নতুন এক ঠিকাদার।
কী আশ্চর্য, এবারও সেই একই
ঘটনার পুনরাবৃত্তি। টুপি, উর্দি আর বুটজুতো।
ভয়ানক বড়,
অথচ ঠিকাদারের প্রাণপণ চেষ্টা হলো
ঠিকঠাক মাপজোক মাফিক জিনিশ সরবরাহ করা,
যাতে পান থেকে চুনটি না খসে। কামানের মতো গর্জে-ওঠা
সামরিক প্রভুগণ ঠিকাদারটিকে অর্ধচন্দ্র দিয়ে
বিদায় করলেন ছাউনি থেকে।

আবার নতুন টেন্ডার,
আবার নতুন ঠিকাদার,
আর তাজ্জব ব্যাপার,
আবার সেই একই ঘটনার
পুনরাবৃত্তি! জাঁদরেল জেনারেলদের আক্কেল গুডুম বার বার!