১ পারস্যের রাজা দারিয়াবসের রাজত্বের চতুর্থ বছরের নবম মাসের চতুর্থ দিনে সখরিয় প্রভুর কাছ থেকে এই বার্তা পেলেন।
২ বৈথেলের লোকেরা শরেত্সর, রেগম্মেলক ও তার লোকেদের প্রভুর কাছে একটা প্রশ্ন জিজ্ঞেস করতে পাঠিয়েছিলেন।
৩ তারা সর্বশক্তিমান প্রভুর মন্দিরের যাজকগণের কাছে এবং ভাব্বাদীদের কাছে এলেন। ঐ লোকেরা তাদের রশ্ন জিজ্ঞেস করল: “অনেক বছর ধরে আমরা মন্দির ধ্বংস হয়ে যাবার দরুণ শোক করেছি। প্রত্যেক বছরের পঞ্চম মাসে আমরা উপবাসের জন্য বিশেষ সময় দিয়েছি। আমরা কি এই অনুশীলন চালিযে যাব?”
৪ আমি সর্বশক্তিমান প্রভুর কাছ থেকে এই বার্তা পেলাম:
৫ “এই দেশের যাজককে এবং অন্য লোকেদের বল: সত্তর বছর ধরে তোমরা পঞ্চম ও সপ্তম মাসে উপবাস করেছ। সেই উপবাস কি সত্যিই আমার জন্যে? না! তা নয়।
৬ আর তোমরা যখন ভোজন পান করলে সেটাও কি আমার উদ্দেশ্যে করলে? তা নয়, বরং তোমাদেরই ভালোর জন্যে।
৭ এই একই জিনিষ প্রদান করতে প্রভু তাঁর ভাব্বাদীদের ব্যবহার করেছিলেন। জেরুশালেম যখন উন্নত ও জনমানবে পূর্ণ ছিল তখনও তিনি এই কথাগুলি বলেছিলেন। যখন ঈশ্বর এই কথাগুলি বলেছিলেন তখন জেরুশালেমের আশেপাশের শহর নেগেভ এবং পশ্চিমের পাহাড়ের পাদদেশে লোকজন ছিল।”
৮ সখরিযের কাছে প্রভুর বার্তা এই:
৯ প্রভু সর্বশক্তিমান বলেছেন: “যা কিছু ঠিক এবং ন্যায়সঙ্গত তোমরা অবশ্যই তা করবে। তোমরা একে অপরের প্রতি অবশ্যই দয়ালু ও কৃপাপূর্ণ হবে।
১০ বিধ্বা, দরিদ্র, বিদেশী ও অনাথদের ওপর উত্পীড়ন কোরো না। অপরের অমঙ্গল করবার চিন্তা কোরো না।”
১১ কিন্তু সেইসব লোকেরা শুনতে অস্বীকার করত। তিনি যা চাইতেন তা করতে তারা অস্বীকার করত। তারা কান বন্ধ করত বলে ঈশ্বরের কথা শুনতে পেতো না।
১২ তারা ছিল একগুঁযে। প্রভু সর্বশক্তিমান তাঁর আত্মা দ্বারা ভাব্বাদীদের মাধ্যমে লোকেদের কাছে বার্তা পাঠাতেন। কিন্তু তারা শুনতো না। তাই সর্বশক্তিমান প্রভু রুদ্ধ হয়েছিলেন।
১৩ সর্বশক্তিমান প্রভু বললেন, “আমি তাদের ডাকলে তারা উত্তর দিল না। তাই এখন যদি তারা আমায় ডাকে, আমি তাদের উত্তর দেব না।
১৪ আমি তাদের বিরুদ্ধে জাতিগুলোকে ঝড়ের মত নিয়ে আসব। ঐসব জাতিদের তারা জানতও না। তারা দেশটি অতিক্রম করে গেলে সেটি ধ্বংসস্ুপে পরিণত হবে।”