জাখারিয়া ০৬

১ তারপর আমি আবার ওপরে তাকিযে দেখলাম চারটে রথ, তারা দুটি পিতলের পর্বতের মধ্য থেকে বের হয়ে আসছে।
২ প্রথম রথটি টানছিল লাল রঙের ঘোড়া। দ্বিতীয় রথটিকে টানছিল কালো রঙের ঘোড়া।
৩ তৃতীয় রথটিকে টানছিল সাদা রঙের ঘোড়া আর লাল বিন্দু বিন্দু দাগওযালা ঘোড়াগুলি টানছিল চতুর্থ রথটিকে।
৪ য়ে দেবদূতটি আমার সঙ্গে কথা বলছিলেন তাঁকে আমি জিজ্ঞেস করলাম, “মহাশয় এর অর্থ কি?”
৫ দেবদূতটি বললেন, “এরা চারটি বাতাস, তারা পৃথিবীর প্রভুর কাছ থেকে সদ্য এসেছে।
৬ কালো ঘোড়াগুলি যাবে উত্তর দিকে, লাল ঘোড়াগুলি যাবে পূর্বে, সাদা ঘোড়াগুলি যাবে পশ্চিমে এবং লাল বিন্দু বিন্দু দাগ দেওয়া ঘোড়াগুলি যাবে দক্ষিণে।”
৭ লাল বিন্দু খচিত ঘোড়ারা তাদের অংশে পৃথিবীতে যাবার জন্য ব্যগ্র হয়ে উঠল, তাই দেবদূত তাদের বললেন, “যাও তোমরা সারা পৃথিবী ঘুরে এসো।” তাই তারা পৃথিবীর চারদিক ঘুরতে গেল।
৮ তখন প্রভু আমাকে চিত্কার করে বললেন, “দেখ, য়ে ঘোড়াগুলি উত্তরে গিয়েছিল, তারা তাদের কাজ শেষ করে ফিরে এসেছে। তারা আমার আত্মাকে শান্ত করেছে তাই আমি আর রুদ্ধ নই!”
৯ তখন আমি প্রভুর কাছ থেকে আরেকটি বার্তা পেলাম। তিনি বললেন,
১০ “হিল্দয, টোবিয ও য়িদায বাবিলের বন্দী দশা থেকে ফিরে এসেছে। সেই লোকেদের কাছ থেকে তুমি রূপো ও সোনা সংগ্রহ কর এবং সফনিয়ের পুত্র য়োশিযের বাড়ী যাও।
১১ সেই রূপো ও সোনা ব্যবহার করে একটি মুকুট তৈরী কর এবং যিহোষাদকের পুত্র, মহাযাজক যিহোশূয়কে মুকুট মণ্ডিত কর। তারপর যিহোশূয়কে এই বিষয়গুলি বল:
১২ প্রভু সর্বশক্তিমান এই কথাগুলি বলেন: ‘শাখা নামে এক মানুষ আছেন, তিনি শক্তিমান হয়ে উঠবেন, তিনি প্রভুর মন্দির গাঁথবেন।
১৩ তিনি প্রভুর মন্দির গাঁথবেন ও সম্মান গ্রহণ করবেন। তিনি সিংহাসনে বসে শাসন করবেন। আর একজন যাজক তার সিংহাসনের পাশে দাঁড়াবে। এই দুই জন একসাথে শান্তিতে কাজ করবে।
১৪ “হিল্দয, টোবিয, য়িদায এবং সফনিয়ের পুত্র য়োশিযের জন্য একটি স্মারক হিসেবে ঐ মুকুটটি তারা মন্দিরেই রাখবে।
১৫ দূরদেশে বসবাসকারী লোকেরাও এসে মন্দিরে নির্মাণ করবে। তখন তোমরা নিশ্চিতভাবে জানবে য়ে প্রভুই আমাকে তোমাদের কাছে পাঠিয়েছিলেন। প্রভুর কথা অনুসারে কাজ করলে এই বিষয়গুলি ঘটবে।”