তুমিতো বাঁচার মন্ত্র জপেছিলে প্রাণের গভীরে,
চেয়েছিলে সাজাতে জীবন
সুন্দরের অনুপম নীড়ে। শরীরে বসন্তরাগ
স্পন্দিত নিদ্রায়, জাগরণে, নিঝুম পূর্ণিমা ছিল।
তরুণী, তোমার শরীরের বাগানের
কায়েমি দখলীস্বত্ব চেয়েছিল কদাকার কেউ, প্রশ্নহীন
পিতার সম্মতি দ্রোহী করে তোলে বড় তেজী
তোমাকে এবং হলে ঠাঁইনাড়া।
অনন্তর আটজন স্বেচ্ছাচারী অস্ত্রবাজ যুবার লালসা
তোমাকে লোপাট করে নেয় রাজপথ
থেকে চারতলা কলোনির বিদঘুটে অন্ধকারে। রিরংসার
লকলকে জিভের পিপাসা মিটল না বলে ওরা
সজীব বসন্তরাগ আর পূর্ণিমার থৈ থৈ প্রতিরোধী
শরীরকে হিংস্র ক্রোধে দিল ছুড়ে জন্মন্ধ পাতালে।
২১.৩.৯৯