নৌকাটা সত্তায় দৈন্যদশা নিয়ে নিঝুম রাত্তিরে
যাচ্ছিল নদীর বুক চিরে। প্রায় বুড়ো,
খুব রোদে-সেঁকা, জলে-ভেজা
মাঝি দাঁড় বায় অবিচল।
অকস্মাৎ মাঝগাঙে ক’জন ডাকাত ঘিরে ধরে
চলমান নাওটিকে, রত্নের সন্ধানে তছনছ
করে সব, অন্ত্রের আঘাতে বড় অসহায় মাঝি
বিপন্ন লুটিয়ে পড়ে জীর্ণ পাটাতনে।
বিফল ডাকাত দল ছিটিয়ে ঘেন্নার থুথু নিমেষে উধাও;
ভোরের প্রথম আলো পাক-খাওয়া নৌকোটিকে ছুঁলে
ভাঙা পাটাতনের তলায়
প্রচ্ছন্ন, অনন্য রত্নরাজি উঠে উসে
মাঝির বুকের ক্ষত ঢেকে দেয় শুশ্রূষায়,
আলগোছে ভেসে আসে পাখিদের বন্দনা-সঙ্গীত।
জানা নেই ভাসমান নৌকো
ভিড়বে কোথায় কোন্ ঘাটে!
১৪.২.২০০০