সন্ধ্যাবেলা হঠাৎ গেলাম শঙ্খ ঘোষের বাসায়;
সমাজ আলতো পেখম মেলে সম্ভাষণের ভাষায়।
কবিকণ্ঠে গহনতা, চোখে পাতাল-ছায়া,
সত্তা জুড়ে উপার্জিত নান্দনিকের মায়া।
ড্রইংরুমের দেয়াল-জোড়া নানা শ্রেণীর বই;
মুগ্ধতাকে বশে রাখি, হারায় কথার খই।
হঠাৎ আবার কথা জোটে প্রাণ খুলে ফের হাসার,
বিশ্লেষণে তফাৎ ফোটে সোনা এবং কাঁসার।
স্নিগ্ধতাকে নাচিয়ে ঠোঁটে অল্প কিংবা বেশি
মনের ভেতর দুঃখ মুড়ে আমার প্রতিবেশী
অনিন্দ্য এক টিয়ে নিয়ে ফ্ল্যাটে করেন বাস।
তাঁর আকাশে ওড়ে কত ছন্দে-গড়া হাঁস।
মানবেতর জীবন কেন মানুষ করে যাপন?
সর্বশ্রেণীর সকল মানুষ হয় না কেন আপন-
এই ভাবনা ঘোরায় তাঁকে ভিন্ন পথের বাঁকে,
যখন তখন পদ্ম ফোটান বুক ডোবানো পাঁকে।
মেধা-মনন জুড়ে কবির রবিঠাকুর আছেন,
উপরন্তু বস্তুবোধের শিল্পসহ বাঁচেন।
প্রগতিকে মান্য করে ঋন্ধ পথিক যিনি,
তাঁর প্রকৃতির বিশিষ্টতা হয়তো কিছু চিনি।
প্রশ্ন করি, যোগাযোগের সেতু ভেঙে গেলে,
একটি হাতের স্পর্শ তখন অন্য হাতে মেলে?
বিচ্ছিন্নতা এখন শুধু মনকে দখল করে,
আমির মধ্যে আমি বসে বিবাগী সুর ধরে।
বাগমারিতে জোনাক দেখি, একি আমার দোষ?
সঙ্গে ছিলেন রূপদর্শী, পদবী যাঁর ঘোষ।
শঙ্খ যখন বিদায় দিলেন একটি নমস্কারে,
সালাম বলে ট্যাক্সি ধরি ছিঁচ্কে অন্ধকারে!