ছিল না, এখনও নেই। শত খোঁজাখুঁজি
করলেও কোনো দিকে পাবে না হদিশ।
থমকানো মেঘের ধরনে বসে আছে। ফিসফিস
কী যেন বলছে হাওয়া কানে
তার, পাবে কোথায় এখন?
মনের ভেতরে নদী বয়ে চলে অজানার টানে;
স্রোতে খড়কুটো, তীরে কী আদিম বন।
চায় কায়মনোবাক্যে, শূন্যতার মরু
সয় না তৃষ্ণার্ত চোখে, কাকে
চায় জানা নেই তার, কে অজ্ঞাতনামা সাঁওতালি পুরুষ ডমরু
বাজায় হৃদয়ে সারাক্ষণ, সেই ধ্বনি
পারবে কি ফোটাতে শ্বেত-পাথরের মূর্তি এই পাঁকে
অথবা সাজাতে লীলকান্তমণি
দরজার মাথার অক্লেশে? এরকম
না-ই হলো, ক্ষতি নেই। বরং সে চায়
নিমেষে কনকচাঁপা এবং শরম-
ছাওয়া চোখে মানবী উঠুক ফুটে খাতার পাতায়।