যখন আমরা দু’জন সন্ধেবেলা
কোথাও নিবিড় বসে থাকি মুখোমুখি,
বুঝি না কী ক’রে সময় যে ব’য়ে যায়,
সময়ের দানে আমরা তবুও সুখী।
হাতে হাত রেখে, চেয়ে থেকে, কথা ব’লে,
এবং নীরবে কাটে বিহ্বল বেলা;
কখনো হঠাৎ কী-যে হয় নিমেষেই
ছায়ায় মলিন দীপ্ত মিলন মেলা।
আমার অতীত কখনো সখনো কালো
প্রেতের মতোই চেপে ধরে শ্বাসনালী;
তোমার একটি কি দু’টি ঘটনা ক্রূর
দংশনে করে আমাকেই ফালি ফালি!
বুঝি এই সব ছায়ার পুতুল শুধু,
তবু কেন মিছে এমন মুষড়ে পড়ি?
আমার প্রহর কেন হাহাকার হয়?
কেন বারবার বেঁচে উঠি, বেঁচে মরি?
কখনো কখনো এমন নিঃস্ব লাগে,
যেন মরুভূর বুকে প’ড়ে থাকি একা
কিন্তু হঠাৎ কোন্ সে ইন্দ্রজালে
ক্ষুধিত আঁধারে উদিত চন্দ্রলেখা।
ছায়া-পুতুলেরা আমার জগৎ থেকে
নেবে কি ছিনিয়ে ঋদ্ধ সোনালী দিন?
এই যে এখনো রয়েছে তোমার প্রেম,
কী ক’রে শুধবো সেই দুর্লভ ঋণ?
এক রাতে তুমি বললে, ‘ছায়ারা নেই,
কবর দিয়েছি; আমরা দু’জন আছি।
যতদিন জ্বলে আমাদের প্রেম-দীপ,
এসো ততদিন নিজেদের মতো বাঁচি।
২০/৩/৯৫