সেদিন প্রবল হাওয়ায় তোমার
স্বপ্নিল তন্তুর মতো চুলে উড়েছিলো সারা আকাশকে ঢেকে,
তোমার পাশে দাঁড়ানো আমি।
আমার বুকের মধ্যে একটি উত্তাল নদী আমি
লুকিয়ে রেখে তোমার দিকে ব্যাকুল দৃষ্টির
থরো থরো জাল ছড়িয়ে দিলাম।
সূর্যাস্তের দিকে মুখ রেখে বললে তুমি, ‘কী চাও আমার কাছে?’
সেদিন প্রবল হাওয়ায় কিছুই
বলতে পারিনি, বুঝি হাওয়া সব ভাষা এভাবেই
চুরি করে নিয়ে যায়।
দীর্ঘকাল পর তুমি আর আমি, সন্ধ্যার হাওয়ায়
উড়ছে তোমার অবাধ্য চুল।
হঠাৎ কিসের ডাক সূর্যাস্তকে আরো গাঢ় করুণ এবং
রহস্যময় করে তোলে আর মেঘের জানালা
খুলে দিয়ে কেউ শরমিন্দা চোখে তাকায় ছাদের
দিকে বারবার, বিলাসী অশ্ব লাফায় অস্তাচলে!
আমার বুকে ঝরা পাতার অজস্রতা, মৃত পশুর
রৌদ্রদগ্ধ হাড় আর কিছু নষ্ট ফল, ভাঙা বেড়া।
অদূরে গলির মোড়ে একজন মাতাল ভীষণ মাতলামি
করতে করতে
নোংরা ড্রেনে, পাশের ঘরে
জমাট তাসের আড্ডা, হো হো হাসি, চুরুটের ঘ্রাণ।
সূর্যাস্তের দিকে মুখ রেখে বললে ‘কী চাও আমার কাছে আজ?
আমার কপালে কাঁচাপাকা চুল
করুণ কোনো স্মৃতির মতো কাঁপছে এলোমেলো
তোমাকে সহজেই বলতে পারতাম,
‘তোমার বিলয়ে আমার মুক্তি।
ঘুমে যেমন পাশ ফিরে শুই তেমনি কোনো
কথা না বলে বারান্দায় খুব
ঘন ঘন ঝেড়েছিলাম সিগারেটের ছাই।