শৌখিন আগ্রহে নয়, নয় খেলাচ্ছলে, এসেছিল
আলাভোলা লোকটা এখানে টিনশেডে চুপিসারে
বাঁচাতে নিজস্ব মাথা শিলাবৃষ্টি থেকে। বিপন্ন সে
এসেছিল ভয়ার্ত প্রাণীর মতো বৃষ্টির আঁচড়ে
জব্দ; বাতাসের শব্দ অসংখ্য আহত হায়েনার
ভীষণ গোঙানি যেন। মাঝে মাঝে বাইরে নজর
রেখেছিল লোকটা ঝড়ের রোখ বুঝে নিতে।
নিজেকে অভয় দিতে হয়তো গেয়েছিল গীত
এলোমেলো ভাঙা স্বরে খুব সন্তর্পণে। অকস্মাৎ
টিনশেডে এল ছুটে কতিপয় অতিশয় রাগী
লোক, তারপর চোর ভ্রমে আলাভোলা গায়কের
ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে জান্তর আক্রোশে। ঝড় জল
থেকে যায়, মিটিয়ে হাতের সুখ ফিরে যায় ওরা;
মৃত্যু তাকে নিয়ে গেল তস্করের মতো আচরণে।