অনেক বছর আগে কোনও এক জাফরানী প্রান্তরে নিঃসঙ্গ
একটি গাছের নিচে তার সঙ্গে দেখা
হয়েছিল আমার কৈশোরে। লোকটার
গায়ে ছোঁড়া আলখাল্লা, এক মাথা দীর্ঘ কালো চুল,
গালভরা ঘন দাড়ি, চোখ দু’টো প্রদীপ্ত, উদাস,
যেন তিনি দেখছেন সব কিছু, কিন্তু কিছুতেই নেই মন।
‘যখন আমার সঙ্গে দেখা হয়ে গেল, হে কিশোর,
এরপর থেকে অস্থিরতা আর উদ্বেগ তোমার
নিত্যসঙ্গী হবে, তবে মাঝে মাঝে তোমার অন্তরে
বলা নেই কওয়া নেই কাঁটা ফুঁড়ে ফুটবে কুসুম, চর্চা যার
মাতিয়ে তুলবে দশ দিগন্তকে। যেদিন আমার
সঙ্গে ফের দেখা হবে, সেদিন তোমার
সব অস্থিরতা, ব্যাকুলতা আর উদ্বেগের হবে অবসান’,
বলে তিনি সূর্যাস্তের দিকে হেঁটে যান।
তারপর অনেক অনেক সূর্যোদয়, সূর্যাস্তের
আলো-ঢেউ আমাকে নিবিড় ছুঁয়ে গেছে, ঝরে গেছে
ঢের পাতা আমার রক্তাক্ত পদতলে,
অথচ অচিন সেই পুরুষের সাক্ষাৎ মেলেনি
আজ অব্দি সন্ধানের পরেও এবং আমি
ক্রমাগত খুব দ্রুত যাচ্ছি চলে কবরের দিকে।