হৃদয় তুমি কি এই জন্মন্ধ আঁধারে
অচেনা পথের ধারে
ভুলে প্রাণীভুক পাদপের গলা প্রবল জড়িয়ে
ধরেছো আশ্রয় ভেবে? পত্রালি সরিয়ে
দ্যাখো কী ভীষণ সাপ দোলাচ্ছে চিত্রল ফণা তার।
স্বপ্নাশ্রিত পথচারী তুমি বারংবার
একই পথে পদচিহ্ন আঁকবার তীব্র অভিলাষ
পারো নি করতে ত্যাগ কিছুতেই। এ কেমন মরীয়া বিলাস
সর্বদা লালন করে
নিজেকেই নিয়ে গ্যাছো ধুধু শুশুনিয়া তেপান্তরে।
হৃদয় হলো না বিজ্ঞ তুমি
আজো, বুঝলে না, হায়, কাকে বলে বিষবাষ্পময় জলাভূমি,
কাকে রৌদ্রজ্যোৎস্নাঝলকিত সরোবর; হাতে তুলে
নিলে অবলীলাক্রমে সুহাসিনী ভুলে
সহসা আপনকার মৃত্যুদণ্ড। সেই শোভা স্বপ্নের মতোই
অস্থায়ী জেনেও গলা ডুবিয়ে অথই
প্রতারক জলে তুমি তার দিকে রইলে চেয়ে প্রহরের পর
প্রহর এবং অবেলায় নিজ ঘর
গেরস্থালি
করেছো নীলাম কী মোহন বিভ্রমের কাছে আর করতালি
প্রত্যহ বাজাচ্ছো ঝাঁ ঝাঁ বাদ্যরবে, মেতে,
নিজেরই জ্বলন্ত কুশপুত্তলিকা দেখে। যেতে যেতে
লোকে বলে,
আজন্ম খেয়ালী তুমি, মেতেছো সৃষ্টিতে ক্রূর বিনাশের ছলে।