কী করি? কী করি, বলো কিছুই তো লাগছে না ভালো,-
সভা সমিতিতে গিয়ে কয়েক মিনিট
কক্তৃতায় গা ভাসিয়ে দেয়া, তর্কে মাতা আর আড্ডায় নরক
গুলজার করা কিংবা কী ক’রে চলবে
সংসার মসৃণ রূপে, আমার মৃত্যুর পর গোটা পরিবার
কোন্ সে বিপাকে প’ড়ে কাটাবে কঠিন দিনগুলি,
রাতগুলি, আমার কবিতা কেউ ছুঁয়ে দেখবে কি দেখবে না,-
এ সব কিছুই আর এখন পাচ্ছে না আশকারা দুশ্চিন্তার।
অকস্মাৎ মধ্যরাতে ঘুম ভেঙে গেলে এক ঝাঁক ঝিঁঝিঁ পোকা
মাথার ভেতর একটানা একঘেয়ে আওয়াজ করতে থাকে আর
চোখে ঘুম নামার পরেই থামে ওদের কোরাস। জাগলেই
নিশ্চিত বাজাবে ব্যান্ড আমি জেগে থাকা অব্দি; এমনকি কোনও
কবিতা লেখার দীপ্র মুহূর্তেও করে না রেয়াত; এ যন্ত্রণা
কোনও দিন শেষ হবে কি না, কে আমাকে ব’লে দেবে?
যন্ত্রণা হয় না শেষ এক লহমায় কোনও দিন;
মানুষ অথবা পশু, বস্তুত জীবের
কিছুতে রেহাই নেই যন্ত্রণার নির্দয়তা থেকে
এই দুনিয়ায়, অন্য কোনও পৃথিবীর অস্তিত্বের কথা আজও
অজানা আমার। বড় বেশি ঝামেলায়
সত্তায় অনিশ্চয়তা ব’য়ে কোনওমতে টিকে আছি।
০৭-১১-২০০২