একটি কোকিল খুব আড়ালেই থাকে সর্বক্ষণ; কেউ তাকে
সহজে দ্যাখে না কোনোখানে, ঘর দোর
কিছু নেই, গুছিয়ে-টুছিয়ে
বসবাস বস্তুত স্বভাবে নেই তার। একজন
কমজোর নজরের কবি শত চেষ্টা চরিত্তির
করেও স্পস্টত ওকে আজ অব্দি দেখতে পায়নি।
কোকিলটি সুর তোলে গ্রীষ্মে ও বসন্তে অবিরত,
এমনকি কনকনে শীতেও কখনো।
হঠাৎ কী হলো তার এক ঝাঁক সুরছুট পাখির সংসর্গে
গিয়ে গান ছেড়ে কিছু কর্কশ আওয়াজে
মেতে ওঠে ঘন ঘন; গান ওকে ছেড়ে
যায়-যায়। কিছু কাল পর
কোকিল সংবিৎ ফিরে পেয়ে
গলায় ফোটাতে চায় গানের গোলাপ।
অথচ ঝরে না সুর, কণ্ঠ ছিঁড়ে যেতে
চায় বিসদৃশ
স্বরের ধমকে; শেষ রাতে কোকিলের বুক থেকে
হঠাৎ বেরোয় তাজা রক্তের ঝলক
এবং আখেরে সেই মুমূর্ষ পাখির
কণ্ঠের অকূল ব্যাকুলতা বেয়ে ঝরে
শুধু গান, নতুন, অতুলনীয় আর
মুগ্ধতায় মগ্ন হয় প্রত্যুষের আভা, পথ, শিশির, গোলাপ।