পাখির মতো গেয়ে ওঠে টেলিফোনে; তোমার কণ্ঠস্বর।
এক নাগাড়ে অনেকদিন আকাশ গাঢ় মেঘে-ঢাকা
থাকার পর যেমন রোদ ঝকঝকিয়ে ওঠে, তেম্নি
প্রসন্ন ছিল তোমার মেজাজ। মনে
হচ্ছিল, কয়েকটি হল্দে প্রজাপতি তোমার
বুকের ভেতর চঞ্চলতায় চুর। কিছুক্ষণ
এটা-ওটা বলার পর জানালে তুমি ক’দিন থেকে
যখন তখন কোকিলের ডাক শুনতে পাচ্ছ। হয়ত ড্রেসিং
টেবিলের সামনে দাঁড়িয়ে চুল আঁচড়াচ্ছ কিংবা
সোফায় গা এলিয়ে পড়ছ আধুনিক কবিতার কোনও বই,
অমনি ভেসে এল কোকিলের ডাক। এই অকালে
বসন্ত পাখির গান অন্তরে বিস্ময়ের ঢেউ জাগিয়ে
তুলছে, তুমি জানালে টেলিফোনে। বললাম, এখানে
এই শ্যামলীতে ছ’বছর আছি, অথচ একটিবারও কোনও
কোকিলের ডাক শুনিনি। আর যে-কথাটি বলিনি,
সেটি হলো তোমার বিস্ময় আমাকে আদপেই বিস্মিত
করেনি; কারণ, যে কোকিলের গান তুমি অসময়ে
শুনছ বারবার তা আমার হৃদয়েই ব্যাকুল আহ্বান।