হল্দে পাখির নরম বুকের মতো বিকেল বিশ্রামের
আমেজে বুঁদ ছিল। চোখ বুজে এসেছিল প্রায়, হঠাৎ
সে কী ঠোকর কাদাখোঁচা আর বাজপাখির; ঠোকরে
ঠোকরে বিকেলের পেলব হলুদ অমাবস্যা হয়ে যায়।
অমাবস্যায় হাওয়ার গোর মাস্তানি, বিয়ারের ক’টি
খালি ক্যান ক্ষুধার্ত ধুলোয় গড়াতে গড়াতে ডান
থেকে বামে। জিনস্-এর একজন কামার্ত ট্রাউজার
একজন লাজনম্র ভড়কে-যাওয়া শাড়ির দিকে ধায়।
আকাশের কম্পমান নক্ষত্রসমাজ ফ্যালফ্যাল চোখে
তাকিয়ে থাকে; গাছের ডালপালাগুলো বড় বোবা
আর্তনাদে নিথর! একজন ধনকুবের, লাম্পট্যের সেরা
প্রতিকৃতি, হাতের তালেবর দশ আঙুলের দশটি
সুতো নাড়ছে লোভাতুর আন্ধারে। শহর সেই সুতোর জালে
জড়িয়ে গিয়ে ভয়-বিহ্বল হরিণ, বেজায় লুণ্ঠিত এবং ক্রূর
অন্ধকারের থাবা ওকে অন্ধ করে ফেলে। কে একজন,
আহা কী কান্তিমান, হাতে তারাবাতি নিয়ে খেলতে
খেলতে চৌরাস্তায় দাঁড়ায়; দু’চোখে তার স্বপ্নের গোধূলি
এবং চারদিকের ধুলোয় সে গোলাপ আর পদ্ম ফোটায়।
১৯.১২.৯৮