যাবতীয় মনোহারি সুখ-সুবিধার
পাঁচালি শুনিয়ে ওরা তাকে তাড়াতাড়ি
কার যেন বাগানবাড়িতে
পাঠাতে চাইল সগৌরবে, জয়ঢাক
বাজিয়ে, সাজিয়ে
আপাদমস্তক তাকে জরির পোশাকে।
নিজেকে অত্যন্ত ভারি
মনে হলো তার, বিশেষত এরকম ধরাচূড়ো
এর আগে কোথাও দেখেছে
বলে তার কিছুতেই মনে পড়ল না।
হঠাৎ কী মনে করে এক ঝটকায়
মহামূল্যবান পোশাকটা ছেড়েছুড়ে
উলঙ্গ দাঁড়িয়ে থাকে লোকটা অটল।
তারপর কণ্ঠস্বরে
সমুদ্র-কল্লোল এনে বলে,
কস্মিনকালেও আমি কারো কোনো বাগানবাড়িতে
যাবো না এবং অস্তিত্বকে করব না
কলংকের চন্দনে চর্চিত।
‘না’ শব্দটি বোমার ধরনে
ভীষণ পড়ল ফেটে সভাগৃহে; কেননা সেখানে
যারা দণ্ডমুণ্ডু কর্তা আর যত কর্তাভজা, তারা
‘না’ শব্দটি শুনতে কখনো
তেমন অভ্যস্ত নয়, কেবল একটি শব্দ সে ঘরের সব
আসবাবপত্র আর ঝাড়লণ্ঠনকে ভীষণ দুলিয়ে দিল,
যেরকম আচানক ভূমিকম্পে ঘটে।