‘আর নয়, যথেষ্ট হয়েছে; এই সব
সভা সমিতির কোলাহল,
এ পুনরাবৃত্তি
আমাকে ক্লান্তির ঘাটে ভিড়িয়ে দিয়েছে অবেলায়’,
বলে তিনি দ্যাখেন বিস্ময়ে
এখন চাঁদের মুখে অন্তঃসারশূন্য কথামালা,
খসড়া প্রস্তাব আর সাড়ম্বর গঠনতন্ত্রের
ছাপ লেগে আছে, যেন বসন্তের দাগ। হঠকারী
শ্লোগানসমূহ নক্ষত্রের পাড়ায় জাগায় ত্রাস
ঘন ঘন, চতুর্দিকে মেধার মড়ক।
তিনি প্রায় দাঁড়াতে অক্ষম, হাঁটু যন্ত্রণায় চাপে
বেঁকে যেতে চায়, জুতো জোড়া
ভীষণ অস্বস্তিকর ঠেকে, ছোঁড়া মোজা
বড় ঢিলে, কবিদের মঞ্চে অ-কবিতা
করে দাপাদাপি, অসহায় নতমুখ কবি নষ্ট
শোরগোল থেকে আস্তে করেন প্রস্থান।
করতালি-রহিত, ব্যথিত
কবির পেছনে যায় জোনাকি, মল্লিকা, প্রজাপতি,
মেঘ, শিরিষের পাতা, বিনীত দোয়েল
নক্ষত্রের গহন মিছিল।