আজকাল যখন তখন তুমি চকিতে ফিরিয়ে নাও মুখ;
আমি কি করি নি স্তব প্রত্যহ তোমার? করি নি কি
তোমারই উদ্দেশে যাত্রা অবিরত তুচ্ছ
করে পথশ্রম কিংবা ক্লান্তি? অজস্র সুতীক্ষ্ণ কাঁটা
ফুটেছে আমার দু’টি পায়ের পাতায়,
সারা পথ সেজেছে রক্তের আল্পনায়
বারবার এবং ঝলসে গেছে মুখ অগ্নির ছোবলে আর
নিষ্করুণ দৃষ্টি-বর্শা বুকে পেতে নিয়েছি স্বেচ্ছায়।
কেবল তোমার দেখা পাওয়া
ছাড়া অন্য কিছুর প্রত্যাশা
কখনও করি নি কোনওদিন, উন্নতির
মই বেয়ে ওঠার প্রাণান্তকর চেষ্টায় কাটে নি
আমার সময় আর নিজেকে সরিয়ে
রেখেছি ইঁদুর-দৌড় থেকে,
বিত্তের বৈভব লুটে নিতে
হুজুগে মাতি নি আমি কস্মিনকালেও। তোমাকেই
আমার সকল স্বপ্ন, আকাঙ্ক্ষা, উদ্যম শুধু করেছি অর্পণ;
প্রতিক্ষণ তোমার আসার প্রতীক্ষায়
ব্যাকুল হৃদয়ে পথ চেয়ে থাকি ষড়ঋতু জুড়ে।
তবু কেন তোমার এরূপ নিরূপতা ক্ষণে ক্ষণে?
ঠায় বসে থাকি না নিজের ঘরে সকল সময়,
মাঝে মাঝে পথে, মাঠে, বনবাদাড়ে, প্রান্তরে,
নদীর কিনারে হাঁটি একা একা, যদি
প্রকৃত তোমার সঙ্গে দেখা হয়ে যায় কোনওখানে।
২৪.৩.৯৭