এই তো আমি
অনেকটা পথ হেঁটে হেঁটে সন্ধেবেলা
পৌঁছে গেছি তিন শো বছর পুরনো এক
গাছের নিচে। কিন্তু আমি এমন স্থানে এলাম কেন?
নিজেকে এই
প্রশ্ন ক’রে জবাব খুঁজে পাই না কোনও।
আমার ভেতর মুষড়ে-পড়া সঙ্গীবিহীন পথিকটিকে
কী ক’রে যে বটের তলায় এই অবেলায় করি সুখী!
নই তো সাধু,
কিংবা তস্বি-হাতে কোনও শুদ্ধ ফকির নষ্ট কালে।
এই তো চোখে আসছে নেমে ঘুমের পর্দা; এই বিরানায়
আয়েশ-ছড়ানো শয্যা আমি পাবো কোথায়?
হঠাৎ একি!
আমার সামনে দাঁড়ায় এসে হরিণ-ছানা
কিন্তু কিছু পরেই এক হিংস্র পশু এসে আমায়
শাসায় বেজায়, নখরগুলো রোদে ভীষণ ঝলসে ওঠে!
দেখছি যা’ যা’
সব কিছু কি সত্যি না কি ক্লান্তি-কালো
দুঃস্বপ্ন এক? চোখে নানা বিশ্রী ছবি উঠছে ভেসে;
কখন পাবো মুক্তি আমি বটতলার এই জুলুম থেকে?
১৭.০১.২০০৪