এ কেমন অনুভূতি বুদ্ধুদের মতো এখন উঠছে জেগে
বারবার অন্তরে আমার এই স্থানে বসে? এখানে আগেও
এসেছি, বসেছি বৃক্ষতলে
শ্বাসনালী শুদ্ধ করে নিতে
নিজেরই অজ্ঞাতে। তাকিয়েছি চারদিকে প্রফুল্ল দৃষ্টিতে; কত
পাখি স্বাভাবিক নৃত্যকলায় বিভোর
ডালে ডালে, সতেজ সবুজ ঘাসে। দর্শকের প্রতি বেখেয়াল
ছিল সেইসব আনন্দিত ক্ষুদ্রকায় প্রাণী সহজ বিশ্বাসে।
ওদের বিশ্বাস আমি কাচগুড়ো করিনি কখনও,
বরং সুস্নিগ্ধ উপভোগে
প্রফুল্ল হয়েছে মন। এখানে তো ছিল কতিপয়
স্মিত, স্বপ্নাতুল গাছ। হায়, আজ নেই, ক্ষীণ গুঁড়ি
রয়ে গেছে বেদনার্ত কঙ্কালের নিঝুম ভঙ্গিতে
অবিকল। হু হু হাওয়া স্মৃতি বয়ে আনে
মর্মাহত আস্তানার; কখনও এখানে ছিল গান, যুগলের
বসে-থাকা, মোটা মিহি কণ্ঠস্বর, ঘনিষ্ঠ আলাপ।
এ কোন্ বেগানা স্থানে আগন্তুক আমি আজ? নিজেকেই খুব
অচেনা লাগছে, যেন আমি নই আমি আর, এই দেহমন
অন্য কারও; ভয় হামাগুড়ি দিতে থাকে
আমার ভেতর; মাথা ঘোরে। মনে হয়,
রুক্ষ ধুলোবালির ভেতর থেকে বেরিয়ে এসেছি কোনওমতে,
এখন শীতল জলে মুখ ধুলে বেশ ভালো লাগবে আমার।
১৪.১২.২০০০