এ আগুন আমাদের পেরিয়ে যেতেই হবে, কিন্তু
কী করে জানি না।
এখন এমন কেউ নেই এ তল্লাটে যে সহজে
অগ্নিকুণ্ড পেরুনোর মন্ত্র বলে দেবে,
এখন এমন কেউ নেই যার মায়াদণ্ডে লকলকে সব
শিখা দ্রুত তন্বী
ফুলের সুস্নিগ্ধ চারা হয়ে যাবে। বস্তুত এখানে
এখন এমন কেউ নেই
যে এই এলাহি আগুনের
সামনে এসে ওকেম্পিত স্বরে
করবে সতেজ উচ্চারণ
‘তোমরা পেয়ো না ভয়; তোমাদের হাত-পা ঝলসে দেবে
ধরে না এমন শক্তি এ আগুন, নিভে যাবে একটি ফুৎকারে।
এ আগুন আমাদের পেরিয়ে যেতেই হবে, কিন্তু,
কী করে জানি না।
এ আগুন ক্রমাগত ছড়িয়ে পড়ছে দিগ্ধিদিক,
অনেকেই ক্লান্ত
দমকল ডেকে ডেকে, গলা ভাঙা, অথচ কারুর সাড়া নেই।
আমরা তাকিয়ে থাকি নিরুপায়, যেন মোহগ্রস্ত
মৃত্যুকামী পতঙ্গ সবাই,
হঠাৎ আগুনে দেব ঝাঁপ।
এ আগুন আমাদের পেরিয়ে যেতেই হবে, কিন্তু
কী করে জানি না,
এখনও জানি না।
চতুর্দিকে হিস্ হিস্ করছে আগুন;
গেল, সব গেল-
ঘরবাড়ি, গোলাপের ঝাড়, বেবাক দোকানপাট,
সবুজ সতেজ উদ্ভিদের মতো অনুভূতিগুলো
ভস্মীভূত। আমরা কি কোনো অলৌকিক পুরুষের
আশায় থাকব ব’সে সর্বদা নিশ্চেষ্ট, এ মুহূর্তে
চাই, আমরা তো চাই নির্বাপণ। এই যে শুননু,
আপনারা চটপট সবাই লাগান হাত, দেখা যাক এই
অগ্নিশর্মা মূর্তিটাকে বশ করা যায় কিনা ভালোয় ভালোয়।