এত পথ পেরুনোর পর যদি মোটরকার বিগড়ে যায়, তাহ’লে
মাথায় হাত দিয়ে ব’সে পড়া ছাড়া
উপায় কী? মাথা চাপড়ে
বিলাপ করলেই সমস্যার হিল্লে হবে, এমনও তো নয়। পেছনে
প’ড়ে থেকে যে কোনও ফায়দা নেই, এই সহজ
সত্যটি উপলব্ধি করতে খুব বেশি দেরি হয়নি আমার।
চলেছি জংলি পথে বড় একা, মাথা তুলে
আকাশের দিকে তাকাতেই চোখে পড়লো কুষ্ঠ রোগীর
মুখের মতো চাঁদ। তবু সান্ত্বনা খুঁজে পাই খানিক,
হাঁটি, হেঁটে চলি। মাঝে মাঝে নিজের
অজান্তেই কেঁপে উঠি জ্বরাক্রান্ত রোগীর মতো। মনে হয়,
পেছন থেকে কে যেন
অনুসরণ করছে আমাকে। বড় কষ্টে নিজেকে
বিরত রাখি ঘুরে দাঁড়ানোর স্পৃহা থেকে।
হঠাৎ তারার ফুলঝুরি আমাকে ঘিরে ধরে
চৌদিক থেকে। আশ্চর্য অনুরণন
আমার সত্তায়; নিজেকে কেন জানি পুরাকালের
কোনও গ্রীক দেবতার মতো মনে হয়, যেন এখুনি
আকাশ থেকে আমার উপর বর্ষিত হবে স্বর্গীয়
পুষ্পবৃষ্টি। অথচ আমি স্বদেশের সোঁদা মাটিতেই রয়েছি।
হাঁটছি, ক্রমাগত হেঁটে চলেছি অথচ কিছুতে
পুরোচ্ছে না পথ। যেন এই বন সুদৃঢ়
আটকে রেখেছে সবদিক থেকে পথটিকে। কিছুতে
শেষ হওয়ার নয় এর পরিধি। আমি আর ধূলিঝড়ে কত ঘুরবো?
২১-৩-২০০৩