১ তারপর আমি করূব দূতদের মাথার ওপরের পাত্রের দিকে তাকালাম। পাত্রটিকে নীলকান্ত মণির মত পরিষ্কার নীল দেখাচ্ছিল। আর সেই পাত্রের ওপরে সিংহাসনের মত কিছু একটা দেখতে পেলাম।
২ তখন যে ব্যক্তিটি সিংহাসনে বসেছিলেন তিনি মসিনা কাপড় পরা মানুষটিকে বললেন, “করূব দূতের নীচে যে চাকাগুলি রয়েছে তার মধ্যে ঢুকে যাও। করূব দূতদের মাঝখান থেকে মুঠো করে জ্বলন্ত কযলা তুলে নিয়ে তা জেরুশালেম শহরের উপর ছুঁড়ে দাও।”মানুষটি আমায় অতিএম করে গেলেন।
৩ মানুষটি যখন তাদের দিকে হেঁটে গেলেন সে সময় করূবদূতগণ মন্দিরের দক্ষিণ দিকে দাঁড়িয়েছিলেন। মেঘে ভিতরের প্রাঙ্গণ পরিপূর্ণ করল।
৪ তারপর প্রভুর মহিমা মন্দিরের দরজার চৌকাঠের কাছে স্থিত করূব দূতেদের মধ্যে থেকে উঠে এল। আর ঐ মেঘ মন্দির পূর্ণ করল আর প্রভুর গৌরবের উজ্জ্ব্বল আলো সমস্ত প্রাঙ্গণ পূর্ণ করল।
৫ করূব দূতেদের ডানা ঝাপটানোর শব্দ এমনকি একেবারে বাইরের প্রাঙ্গনেও শোনা যেতে লাগল। সেই শব্দের প্রচণ্ড আওয়াজ- যেমন ঈশ্বর সর্বশক্তিমান বজ্রের রবে কথা বলেন।
৬ ঈশ্বর, সেই মসিনা কাপড় পরা লোকটিকে এক আজ্ঞা দিয়েছিলেন। ঈশ্বর বলেছিলেন চাকাগুলির মধ্যে করূব দূতদের মাঝখানে গিয়ে কিছু গরম কযলা নিয়ে আসতে। তাই লোকটি সেখানে গিয়ে চাকার পাশে দাঁড়ালেন।
৭ করূব দূতদের এক জন হাত বাড়িয়ে তাদের মধ্যের অঞ্চল থেকে উত্তপ্ত কযলা তুলে নিলেন। তারপর তা সে মানুষটির হাতে ঢেলে দিলেন। আর মানুষটি স্থান ত্যাগ করলেন।
৮ (করূব দূতটির ডানার তলায় মানুষের হাতের মতোই দেখতে কিছু ছিল।)
৯ তারপর আমি সেখানে চারটি চাকা দেখতে পেলাম। প্রতিটি করূব দূতের পাশে একটি করে চাকা। চাকাগুলিকে স্বচ্ছ হলুদ রঙের বৈদুর্য়্য়মণির মতো দেখাচ্ছিল।
১০ চারটি চাকা ছিল এবং তাদের প্রত্যেকেরই এক রূপ। দেখে মনে হচ্ছিল যেন চাকার মধ্যে চাকা রয়েছে।
১১ তারা গমন করার সময় যে কোন দিকে যেতে পারত। কিন্তু গমন করার সময় করূব দূতেরা মুখ ঘোরাত না। তাদের মাথা যে দিকে মুখ করে থাকত সেই দিকেই যেত। চলার সময় পাশে ফিরত না।
১২ তাদের দেহের সর্বত্র চোখে পূর্ণ। তাদের পিঠে, হাতে, ডানায ও চাকায় চোখে পূর্ণ। হ্যাঁ, চার চাকাও চোখে পূর্ণ ছিল!
১৩ আমি শুনলাম সেই চাকাগুলিকে কেউ চিত্কার করে বলল, “ঘূর্য়্ণমান চাকা।”
১৪ প্রত্যেক করূব দূতের চারটি করে মুখ ছিল। প্রথম মুখটি করূবের মুখ। দ্বিতীয়টি মানুষের মুখ। তৃতীয়টি সিংহের মুখ, আর চতুর্থটি ঈগলের মুখ। তখন আমি বুঝলাম দর্শনে যে পশুদের আমি কবার নদীর ধারে দেখেছিলাম তা করূব দূত ছিল!তারপর সেই করূব দূতরা আকাশে উঠল।
১৫
১৬ আর চাকাগুলিও তাদের সঙ্গে উঠল। যখন সেই করূব দূতগুলি ডানা তুলে বাতাসে উড়ল তখন চাকাগুলি পাশেও ঘুরাত না।
১৭ করূব দূতরা আকাশে উড়লে চাকাগুলিও তার সঙ্গে যেত। করূব দূতেরা স্থির হয়ে দাঁড়ালে চাকাগুলিও স্থির হত। কারণ ঐ চাকাগুলিতে সেই প্রাণীদের আত্মা ছিল।
১৮ তারপর প্রভুর মহিমা মন্দিরের চৌকাঠ থেকে উঠে এসে করূব দূতদের উপরে অবস্থান করল।
১৯ করূব দূতরা ডানা তুলে আকাশে উড়ে গেল। আমি তাদের মন্দির ত্যাগ করে চলে যেতে দেখলাম। চাকাগুলিও তাদের সঙ্গে গেল। তারপর তারা প্রভুর মন্দিরের পূর্বদিকের দরজায এসে থামল। ইস্রায়েলের ঈশ্বরের মহিমা শূন্যে তাদের উপরে ছিল।
২০ তখন আমি কবার নদীর ধারে দেখা দর্শনের সেই পশুদের কথা স্মরণ করলাম; যারা ইস্রায়েলের ঈশ্বরের মহিমার নীচে ছিল। আর বুঝতে পারলাম যে তারা করূব দূত ছিল।
২১ অর্থাত্ প্রত্যেক পশুর চারটি করে মুখ, চারটি ডানা আর ডানার তলায় মানুষের হাতের মত দেখতে হাত ছিল।
২২ করূব দূতগুলির মুখগুলি ছিল দর্শনে কবার নদীর ধারে দেখা চারটি পশুর মুখের মত। আর তারা যে দিকে যেত সোজা সেই দিকেই তাকাত।