এ আমি কেমন দ্বন্দ্বে খাচ্ছি পাক গহীন গাঙের
ঘূর্ণীজলে নাওয়ের ধরনে? ঘন
কুয়াশা ছড়ানো চর্তুদিকে। মাঝে-মাঝে
কান ঘেঁষে পাখি উড়ে যায়
কোন্ দিকে, কিছুতে পাই না টের। তা’হলে কি শেষে
ভরাডুবি হবে আজ? আমার মাংসের ভোজে তৃপ্ত হবে মাছ?
এরা বলে, এদিকে ভেড়াও নাও, যত শীঘ্র পারো,
পরিত্রাণ পাবে, দ্যাখো, সবাই তোমার
জন্যে তীরে সাজিয়ে অজস্র ডালা হাতে
মালা নিয়ে অধীর অপেক্ষমাণ, এসো।
ওরা বলে, আমাদের তীরে তাড়াতাড়ি
তরী এনে বাঁধো;
আমরা তোমার জন্যে বিপুল বর্ণাঢ্য উৎসবের
আয়োজন নিয়ে মেতে আছি।
আলোর তীরের ঘায়ে কুয়াশার জাল ছিন্ন হ’লে
দ্বন্দ্বের আবর্ত থেকে বেরিয়ে প্রবল দু’দলের
কারো্ ডাকে কোনো সাড়া না দিয়ে নৌকোর
মুখ পুরোপুরি ভিন্ন দিকে ঘুরিয়ে খাটাই পাল।
মনে মনে বলি-
এই মূর্খ কোলাহল, সেই নির্বোধ উৎসব থেকে
দূরে, বহুদূরে খুব আলাদা মানব সম্মেলনে যোগ দিয়ে
নিজের ভেতরে ডুবে একাকী সত্যের কাছে চলে যেতে চাই।
৭/১২/৯৫