একটু পরেই যাত্রা আমার, অথচ ফ্লোরিডার
কিসিমি শহর রইল চুপচাপ, নির্বিকার;
বলল না, কেন যাবে? থাকো না এখানে
আরো ক’টা দিন। বলল না,
এলোমেলো চুলে চালাও চিরুনি যত্ন ক’রে, শার্টে
লাগাও বোতাম ঠিকঠাক, দেখে নাও সফেদ ক্লসেট থেকে
ট্রাউজার ভরেছো তো স্যুটকেসে, ফেলে
যাচ্ছো না তো কিছু?
আইড্রপগুলো পুরোছো পকেটে না কি রয়ে গেলো
টেবিলের কোণে জন অ্যাশবেরিসহ?
সত্যি সত্যি চলে যাচ্ছো? চলে যাবে তুমি?
কিসিমির কণ্ঠে এ রকম প্রশ্ন হয়নি ধ্বনিত,
অথচ আমিতো এর সতেজ সবুজ গাছপালা,
টলটলে হ্রদ, বৃষ্টিধোয়া রাত, জ্বলন্ত দুপুর
গোধূলিতে বাগানের ফুল,
ভোরবেলাকার পাখিদের কলতান
এবং ডিজনি ভিলেজের প্রতিবেশ
ভালোবেসে ক্ষীণদৃষ্টি দু’ চোখকে সজল করেছি।
আখেরে বিদায় বেলা আসে, বিমানন্দরে পৌঁছে
আত্মজা আমাকে মমতায় ব্যাকুল জড়িয়ে ধরে।
ওর প্রতি অশ্রুকণা বলে, ‘চলে যাবে?
সত্যি তুমি চলে যাবে, বাবা?
নিরুত্তর আমি তার কপালে একটি চুমো এঁকে
স্নেহপাশ ছাড়িয়ে এগোই।
নিউইয়র্ক ৬/১০/৯৫