কে হে তুমি ওখানে দাঁড়িয়ে আছো? আমাকে দেখাচ্ছো ভয় এই
থমথমে সন্ধ্যেবেলা? আমি তো শহুরে
একজন; দিনরাত হট্রগোল, আবর্জনা আর
বিষাক্ত ধোঁয়ার নিপীড়নে
ধুঁকছি বেজায়। ফুসফুস কাবু খুব, বহুরূপী সন্ত্রাসের
অবাধ দাপটে, হায়, ঘরে কি বাইরে
টেকা দায়, জেনেছি বোবার শক্র নেই,
সহজে খুলি না মুখ তাই, ফুঁসি মনের গহনে।
কী খেয়াল হলো, অকস্মাৎ বহুদিন পর ছুটে
গেলাম আপন গ্রামে শান্তির সন্ধানে। বিকেলের
শান্ত রোদে নৌকায় ভ্রমণ করি ছোট নদীবুকে। চোখে পড়ে,
একটি ধূসর বক দাঁড়ানো শান্তিতে ডোবা চরে
ধ্যানীর ধরনে একা, যদিও রয়েছে মনে মাছ
শিকারের আশা ক্ষুধা নিবৃত্তির খাঁখাঁ প্রয়োজনে।
হঠাৎ কোত্থেকে এক জাঁহাবাজ গুলি ছুটে এসে
নিঝুম ধূসর বকটিকে কী ভীষণ রাঙা করে দেয়।
টাটকা, সুস্বাদু মাছ শিকারের প্রয়োজনে উড়ে-আসা পাখি
নিজেই শিকার হলো শেষ বিকেলের রোদে। তাজা
গুলির কর্কশ শব্দ, ধোঁয়া, ছোট্র প্রাণীর বুকের রক্তধারা
স্বরণ করিয়ে দেয় পাড়াগাঁর গোধূলিতে শহুরে সন্ত্রাস।
৬.৮.২০০০