বড় ধুধু মধ্যবয়সের প্রান্তরেখা,
সহজে মেলে না পান্থপাদপের দেখা
কোথাও; উজাড় হৃদয়ের গুলবাগে দিশেহারা বুলবুল
হয়তো গায় ভুল
গান, তার দোষ ধরা সাজে না, বরং
ধরে রাখা ভালো জীবনের হাত গলে যখন যেটুকু রঙ
লেগে থাকে প্রাণে আর এখানে যেভাবে হোক থাকা,
কাউকে কাউকে কাছে ডাকা
হৃদয়ের স্বরে,
কী যে ভালো লাগে বসবাস স্মৃতির আপন ঘরে।
অকস্মাৎ গৃহিনীর,সন্তানের হাসি মুছে ফেলে
এত দ্রুত কেন চলে গেলে?
ঊর্ধাশ্বাসে এরকমভাবে
গেলে, যেন ইস্টিশান থেকে ট্রেন ছেড়ে যাবে
এক্ষুণি এবং গার্ড বাঁশি
বাজিয়ে দিয়েছে; বুঝি তার ‘আচ্ছা আসি’
বলে তুমি বিদায় নেয়ার কোনো পাওনি সুযোগ। মনে পড়ে,
পুরানো ঢাকার পথে কিংবা দেওয়ান বাজারে হাসানের ঘরে
আমাদের যৌবনের ঊষা
কেটেছে; যদিও অতি সাধারণ ছিল বেশভূষা
কতিপয় তরুণের, তবু রত্নদ্বীপ নিয়ে মনে
উদ্ভাসিত মেধা ও মননে
নির্ভীক হেঁটেছে ওরা। প্রগতির সাধক হাসান
মধ্যপথে মরালের গান
গেয়ে সঙ্গীদের এ কেমন ভাসান দেখালো আর
তুমিও ভীষণ অন্ধকার
পথে হলে তার অনুগামী, কী এমন হতো ক্ষতি, যদি
আরো কিছুকাল মৃদু কলরবে বইতো তোমার প্রাণের নদী?