সকাল জড়াতে চায় দুপুরকে, দুপুর বিকেলে কী সহজে
মিশে যায় এবং বিকেল গোধূলির ইশারায়
আলিঙ্গনে লিপ্ত হয় সন্ধ্যার সহিত, সন্ধ্যা নিশীথের সাথে
বাসর-শয্যার করে আয়োজন। কতিপয় নক্ষত্র সহজে মেতে ওঠে
মিটিমিটি নিরীহ কৌতুকে। একজন ভবঘুরে মাঠে শুয়ে
ভাবনায় বুঁদ হয়ে আছে। স্তব্ধ গাছে দুটি পাখির প্রণয়।
তিনজন ফতুর জুয়াড়ি হাঁটে ফুটপাতে, রাত
খোঁয়াড়িতে টলে আর অদূরে জানালা খুলে গেলে
একটি উৎসুক মুখ নীরবে কী যেন খোঁজে, ঘুম? না কি
উধাও স্বপ্নের পদধূলি? হঠাৎ বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে
নিশীথের বুক, কয়েকটি পাখির ডানার ঝাপটানি
যুগধ্বনি হয়ে ফের নিস্তব্ধতা হয়ে নামে চারপাশে।
একজন অসুস্থ ভিখিরি একা পুরনো পার্কের বেঞ্চে শুয়ে
নির্ঘুম গোঙায়, ভাবে হয়তো টহলদার পুলিশ তাড়িয়ে
দেবে তাকে, যেন সে কুকুর কোনও। একদা সংসার ছিল তারও,
বানে সব কিছু গেছে ভেসে। তিনজন ফতুর জুয়াড়ি এসে
ভিখিরির পুটুলির বিশদ তল্লাশি নিয়ে ফের রেখে দেয়
চরম ঘেন্নায়, আসমানে নক্ষত্রেরা শুধু মিটিমিটি হাসে।
২৬.১.২০০১