ঋগ্বেদ ১০।১৬১
ঋগ্বেদ সংহিতা ।। ১০ম মণ্ডল সূক্ত ১৬১
ইন্দ্র দেবতা। যক্ষা নাশন ঋষি।
১। হে রোগী! এই যজ্ঞসামগ্রী যারা তোমাকে অপরিজ্ঞাত যক্ষারোগ হইতে, রাজ যক্ষারোগ হইতে মোচন করিয়া দিতেছি, তাহা হইলে তোমার জীবন রক্ষা হইবে। যদি কোন পাপগ্রহ এই রোগীকে ধরিয়া থাকে, তাহা হইলে, হে ইন্দ্র ও অগ্নি! ইহাকে তাহার হত হইতে মোচন করিয়া দাও।
২। যদি এই রোগীর পরমায়ু ক্ষয় হইয়া থাকে, অথবা, যদি এ মরিয়াও গিয়া থাকে, যদি একেবারে মৃত্যুর নিকটেই গিয়া থাকে; তথাপি আমি মৃত্যুতে নিঋতির নিকট হইতে তাহাকে কিয়াইয়া আনিতেছি। আমি ইহাকে এরূপ স্পর্শ করিয়াছি যে এ ব্যক্তি একশত বৎসর জীবিত থাকিবে।
৩। আমি এই যে আহুতি দিলাম, ইহার একশত চক্ষু, একশত বৎসর পরমায়ু দেয়, একশত আয়ু দেয়, এতাদৃশ আহুতিদ্বারা আমি রোগীকে ফিরাইয়া আনিয়াছি। ইন্দ্র যেন সমস্ত পাপ হইতে ইহাকে পরিত্রাণ করিয়া একশত বৎসর জীবিত রাখেন।
৪। হে রোগী! একশত শরৎকাল জীবিত থাক, সুখে সচ্ছন্দে একশত হেমন্ত, একশত বসন্ত জীবিত থাক। ইন্দ্র, অগ্নি, সবিতা ও বৃহস্পতি হব্যদ্বারা তৃপ্ত হইয়া ইহাকে একশত বৎসর পরমায়ু প্রদান করুন।
৫। হে রোগী! তোমাকে আমি পাইয়াছি, তোমাকে ফিরাইয়া আনিয়াছি। তুমি পুনর্বার নবীন হইয়া আসিয়াছ। তোমার সমস্ত অঙ্গ, সমস্ত চক্ষু, সমস্ত পরমায়ু, আমি পুনঃ প্রাপ্ত হইয়াছি(১)।
————
(১) এটি যক্ষারোগ আরাম করিবার মন্ত্র। এটি আধুনিক, তাহা বলা বাহুল্য। ৪ ঋকে প্রকাশ যে মনুষ্যের পরমায়ু একশত বৎসর।