ঋগ্বেদ ১০।১৩৯

ঋগ্বেদ ১০।১৩৯
ঋগ্বেদ সংহিতা ।। ১০ম মণ্ডল সূক্ত ১৩৯
সবিতা ও বিশ্বাবসু দেবতা। বিশ্বাবসু ঋষি।

১। দেবসবিতা সুর্যের কিরণে কিরণযুক্ত, উজ্জ্বল কেশবিশিষ্ট; তিনি পূর্বদিকে ক্রমাগত আলোকের উদয় করিতে থাকেন। তাহার জন্ম হইলে পূষাদেব অগ্রসর হয়েন, ইনি জ্ঞানী, সমস্ত ভূবন দর্শন ও রক্ষা করেন।

২। ইনি মনুষ্যের প্রতি কৃপাদৃষ্টি করতঃ আকাশের মধ্যে অবস্থিতি করেন, দ্যুলোক ও ভূলোক ও মধ্যস্থিত আকাশ আলোকে পূর্ণ করেন। তিনি দিক সমস্ত ও কোণ সমস্ত প্রকাশিত করিয়াছেন। তিনি পূর্বভাগ, পরভাগ, মধ্যভাগ ও প্রান্তভাগ, সকলি প্রকাশিত করেন।

৩। সেই সূৰ্য্যদেব ধনের মূলস্বরূপ, সম্পত্তির মিলনস্থানস্বরূপ। তিনি নিজ ক্ষমতায় তাবৎ দ্রষ্টব্য পদার্থকে প্রকাশিত করেন। তিনি সৰিতাদেবের ন্যায়সত্যকৰ্ম্মা, অর্থাৎ যাহা করেন, তাহা সফল হয়। যে স্থানে ধন সকল এক মিলিত হয়, তথায় তিনি ইন্দ্রের ন্যায় দণ্ডায়মান হইয়াছিলেন।

৪। হে সোম! যখন জল সকল বিশ্বাবসু গন্ধর্বকে দেখিল, তখন পুণ্যকর্মপ্রভাবে তাহারা বিলক্ষণরূপে নির্গত হইল। সেই জল সমস্ত যিনি প্রেরণ করিয়াছেন, সেই ইন্দ্র উক্ত বৃত্তান্ত জানিতে পারিলেন। তিনি সূর্য মণ্ডলের চতুর্দিক নিরীক্ষণ করিলেন।

৫। বিশ্বাবসু নামে দেবলোকবাসী গন্ধর্ব জলের সৃষ্টিকর্তা, তিনি ঐ সকল বিষয় আমাদিগকে উপদেশ দিন। যাহা যথার্থ অথবা যাহা আমাদিগেরঅজ্ঞাত, তদ্বিষয়ে তিনি আমাদিগের চিন্তাপ্রবর্তিত করুন, আমাদিগের বুদ্ধিগুলি রক্ষা করুন(১)।

৬। নদীদিগের চরণদেশে ইন্দ্র একটা মেঘ দেখিলেন; তিনি প্রস্তরময় দ্বার উদঘাটন করিয়া দিলেন। গন্ধর্ব এই সমস্ত জলের কথা উল্লেখ করিলেন,ইন্দ্র মেঘদিগের বল উত্তম জানেন।

————

(১) বিশ্বাবসু গন্ধর্বই বৃষ্টিদাতা দেবরূপে উপাসিত হইতেছেন।