ঋগ্বেদ ১০।১৩৩
ঋগ্বেদ সংহিতা ।। ১০ম মণ্ডল সূক্ত ১৩৩
ইন্দ্র দেবতা। সুদাস ঋষি।
১। ইন্দ্রের যে সৈন্য তার রথের সম্মুখভাগে আছে, উত্তমরূপ তাহার পূজা কর। যুদ্ধের সময় দুই শত্রু নিকটবর্তী হইয়া পরস্পর সম্মিলিত হইয়া যায়, তখন তিনি পালায়ন করেন না। এই রূপে বৃত্রকে বধ করেন। আমাদিগের প্রভু সেই ইন্দ্র আমাদিগের সংবাদ লউন। বিপক্ষদিগের ধনুর্গুণ ছিন্ন হইয়াযাউক।
২। যে সকল জলরাশি নীচে আসে, তাহা তুমিই মোচন করিয়া দাও এবং বৃত্রকে বধ কর। হে ইন্দ্র! তুমি অজেয় ও শত্রুর অবধ্য হইয়া জন্মিয়াছ, বিশ্বকে পালন করিয়া থাক। তোমাকেই সকলের শ্রেষ্ঠ জানিয়া আমরা নিকটে আসিয়াছি। বিপক্ষদিগের ধনুর্গুণ, (ইত্যাদি পূর্ব ঋক দেখ)।
৩। যাহারা দান করেনা, এতাদৃশ তাবৎ শত্রু দৃষ্টিপথ হইতে দূর হউক। আমাদিগের স্তবগুলি চলিতে থাকুক। হে ইন্দ্র! যে শব্দ আমাদিগকে বধ করিতে ইচ্ছা করে, তুমি তাহার প্রতি মৃত্যু প্রেরণ কর। তোমার যে দানশীলতা, তাহা আমাদিগকে ধনদান করুক। বিপক্ষদিগের ধনুগুণ, ইত্যাদি।
৪। হে ইন্দ্র! ক্ষুদ্র ব্যাঘ্রের ন্যায় আচরণপূর্বক যে সকল লোক আমা দিগের চতুর্দিকে ঘুরিয়া বেড়ায়, তাহাদিগকে ধরাশায়ী কর, কারণ তুমি শত্রু পরাভব কর ও শত্রুকে পীড়া দাও। বিপক্ষদিগের ধনুগুণ, ইত্যাদি।
৫। আমাদিগের সনাভি হউক, বা আমাদিগের অপেক্ষা নিকৃষ্ট হউক, যে কেহ আমাদিগের অনিষ্ট করে, যেমন প্রকান্ড আকাশ সকল বস্তুকে নীচস্থ করিয়া রাখিয়াছে, তদ্রুপ তুমি তাহার বল নীচস্থ কর। আপনা হইতেই বিপক্ষের ধনুগুণ, ইত্যাদি।
৬। হে ইন্দ্র! আমরা তোমার অনুগত, তোমার বন্ধুত্বের উপযুক্ত কার্যের উদ্যোগ করিতেছি। পুণ্যকর্মের পথ দিয়া আমাদিগকে লইয়া চল, আমরা যেন সকল পাপ অতিক্রম করি। বিপক্ষদিগের ইত্যাদি।
৭। হে ইন্দ্র! আমাদিগকে তুমি সেই বিদ্যা উপদেশ কর, যাহার প্রভাবে অবকারীর মনোরথ পূর্ণ হয়। এই পৃথিবীস্বরূপ যে গাভী, ইহা যেন বিপুল আপীনবিশিষ্ট হইয়া এবং সহস্র ধারায় দুগ্ধ ক্ষরিত করিয়া আমাদিগকে পরিতৃপ্ত করে।