ঋগ্বেদ ১০।১৩২
ঋগ্বেদ সংহিতা ।। ১০ম মণ্ডল সূক্ত ১৩২
মিত্র ও বরুণ দেবতা। শকপূত ঋষি।
১। যিনি যজ্ঞ করেন, তাহারই জন্য আকাশ ধন তুলিয়া ধরিয়া আছেন। তাঁহাকেই পৃথিবী শ্ৰীযুক্ত করেন। যজ্ঞকারীকেই অশ্বিদ্বয় নানা সুখসামগ্রী দান করিয়া সই করেন।
২। হে মিত্র ও বরুণ! তোমরা পৃথিবীকে ধারণ কর। উত্তম সুখ সামগ্রীর প্রার্থনাতে তোমাদের উভয়কে পূজা করিতেছি। যজমানের প্রতি তোমাদিগের যে সকল বন্ধুতচরণ হইয়া থাকে, তাহার প্রভাবে আমরা যেন শত্রু জয় করি।
৩। হে মিত্রাবরুণ! যখনই তোমাদিগের উদ্দেশে যজ্ঞসামগ্রী আয়োজন করি, তখনই চমৎকার ধনের নিকটে উপস্থিত হই। যজ্ঞদানকারী ব্যক্তি যে ধন প্রাপ্ত হয়, তাহার উপর কোন উপদ্রব সংঘটন হয় না।
৪। হে অসুর মিত্র! আকাশ যাহাকে প্রসব করিয়াছেন, অর্থাৎ সূৰ্য্য, তিনি তোমা হইতে ভিন্ন। হে বরুণ! তুমি সকলের রাজা। তোমাদিগের রথের মস্তক এই দিকে আসিতেছে। হিংসাকামীদিগের বিনাশকর্তা এই যে যজ্ঞ, ইহার উপর এতটুকু অকল্যাণ ও স্পর্শ হইবেক না।
৫। এই আমি শকপূত, আমাতে যে পাপ আছে, তাহা আমার সেই নীচস্বভাব শত্ৰুদিগকেই নষ্ট করিতেছে, যেহেতু মিত্রদেব আমার হিতকারী আছেন। সেই মিত্রদেব আসিয়া শরীরের রক্ষা বিধান করুন, যে সকল উত্তম উত্তম যজ্ঞসামগ্রী আছে, তিনি তাহাও রক্ষা করুন।
৬। হে বিশিষ্ট জ্ঞানসম্পন্ন মিত্র ও বরুণ! অদিতিই তোমাদিগের উভয়ের মাতা; দ্যুলোক ও ভূলোককে জলের দ্বারা পরিষ্কার কর; এই নিম্নলোকে উত্তম উত্তম সামগ্রী দাও; সূর্যকিরণদ্বারা সমস্ত ভুবন পবিত্র কর।
৭। তোমরা উভয়ে কার্যের দ্বারা রাজা হইয়া বসিয়াছ। তোমাদিগের যে রথ বন মধ্যে বিহার করে, তাহা এক্ষণে ধুরার উপর অবস্থিতি করুক। যে হেতু সেই সকল শত্রুলোক আক্রোশপূৰ্ব্বক চীৎকার করিতেছে। বুদ্ধিমান নৃমেধ (আমার পিতা) উপদ্রব হইতে উদ্ধার পাইয়াছেন।