ঋগ্বেদ ১০।১২৭
ঋগ্বেদ সংহিতা ।। ১০ম মণ্ডল সূক্ত ১২৭
রাত্রি দেবতা। কুশিক ঋষি।
১। রাত্রিদেবী আগমনপূর্বক চতুর্দিকে বিস্তীর্ণ হইয়াছেন। তিনি নক্ষত্রসমূহের দ্বারা অশেষ প্রকার শোভ সম্পাদন করিয়াছেন।
২। দেবরূপিণী রাত্রিদেবী অতি বিস্তার লাভ করিয়াছেন, যাঁহারা নীচে থাকেন, কি যাহারা উর্ধে থাকেন, সকলকেই তিনি আচ্ছন্ন করিলেন। তিনি আলোকের দ্বারা অন্ধকারকে নষ্ট করিয়াছেন।
৩। রাত্রিদেবী আসিয়া উষাকে আপন ভগিনীর ন্যায় পরিগ্রহ করিলেন, তিনি অন্ধকার দূরীভূত করিলেন।
৪। পক্ষীরা যেমন বৃক্ষে বাস গ্রহণ করে, তদ্রূপ যাহার আগমনে আমরা শয়ন করিয়াছি, সেই রাত্রি আমাদিগের শুভকরী হউন।
৫। গ্রামসমূহ নিস্তব্ধ হইয়াছে; পাচারীরা, পক্ষীরা, শীঘ্রগামী নেগণ, সকলেই নিস্তব্ধ হইয়া শয়ন করিয়াছে।
৬। হে রাত্রি! বৃকী ও বৃককে আমাদিগের নিকট হইতে দূরে লইয়া যাও; চৌরকে দুরে লইয়া যাও। আমাদিগের পক্ষে বিশিষ্টরূপে শুভকরী হও (১)।
৭। কৃষ্ণবর্ণ অন্ধকার স্পষ্ট লক্ষ্য হইয়া দেখা দিয়াছে, আমার নিকট পর্যন্ত আচ্ছন্ন করিয়াছে। হে ঊষাদেবি! আমার ঋণকে যেমন পরিশোধ পূৰ্ব্বক নষ্ট কর, তদ্রুপ অন্ধকারকে নষ্ট কর।
৮। হে আকাশের কন্যা রাত্রি! তুমি যাইতেছ, তোমাকে গাভীর ন্যায় এই সমস্ত স্তব অর্পণ করিলাম, তুমি গ্রহণ কর।
————
(১) রাত্রিতে গ্রামসমূহ পশুপক্ষী নিস্তব্ধ হইয়াছে, কেবল হিংস্রজন্তু আর চৌরের ভয়।