ঋগ্বেদ ১০।১২৬
ঋগ্বেদ সংহিতা ।। ১০ম মণ্ডল সূক্ত ১২৬
বিশ্বদেব দেবতা। কুলমল বহিষ ঋষি।
১। অর্য্যমা, মিত্র, বরুণ, যাহাকে শত্রুর হস্ত হইতে পার করিয়া দেন, হে দেবগণ! কোনও পাপ, কোনও অমঙ্গল সেই মনুষ্যকে আক্রমণ করিতেপারে না।
২। হে বরুণ! হে মিত্র! হে অৰ্য্যমা! যাহাতে তোমরা পাপ হইতে মনুষ্যকে রক্ষা কর এবং শত্রুর হস্ত হইতে উদ্ধার করিয়া দাও, আমরা তাহাই প্রার্থনা করি।
৩। এই বরুণ, মিত্র ও অৰ্য্যমা নিশ্চয় আমাদিগকে রক্ষা করিবেন। হে বরুণ প্রভৃতি! আমাদিগকে লইয়া চল; লইয়া যাইবার কালে পার করিয়া দাও; পার করিবার কালে শত্রুর হস্ত হইতে পরিত্রাণ কর।
৪। হে বরুণ, মিত্র ও অর্য্যমা! তোমরা বিশ্বকে রক্ষা করিয়া থাক, তোমরা নেতার কাৰ্য্য উত্তমরূপে সম্পাদন কর। তোমাদিগের দ্বারা আমরা শত্রুর হস্ত হইতে পরিত্রাণ পাইয়া তোমাদিগের নিকট যেন চমৎকার সুখ প্রাপ্ত হই।
৫। আদিত্যগণ, বরুণ, মিত্র ও অৰ্য্যমা শত্ৰুদিগের হস্ত হইতে পার করিয়া দিন। শত্রুর নিকট পরিত্রাণ পাইয়া কল্যাণলাভের জন্য আমরা উগ্ৰমূর্তি রুদ্রদেব, মরুৎগণ, ইন্দ্র ও অগ্নিকে আহ্বান করিতেছি।
৬। বরুণ, মিত্র ও অৰ্য্যমা ইহারা পথ দেখাইয়া লইয়া যাইতে অতি পটু । ইহারা পাপগুলির অন্তর্ধান করিয়া দিন। মনুষ্যগণের অধীশ্বর ঐ সকল দেব সমস্ত পাপ ও শত্রুর হস্ত হইতে আমাদিগকে উদ্ধার করিয়া দিন।
৭। বরুণ, মিত্র ও অৰ্য্যমা রক্ষাপূর্বক আমাদিগকে সুখী করুন। যে সুখ আমরা প্রার্থনা করি, আদিত্যগণ আমাদিগকে প্রচুর পরিমাণে সেই সুখ দিন, শত্রুর হস্ত হইতে রক্ষা করুন।
৮। যখন শুভ্রবর্ণ গাভীর চরণ বন্ধন করিয়া রাখিয়াছিল, তখন যজ্ঞ ভাগভাগী বসুগণ যেমন সেই গাভীকে মোচন করিয়া দিয়াছিলেন, তদ্রূপ আমাদিগকে পাপ হইতে মুক্ত কর। হে অগ্নি! আমাদিগকে প্রকৃষ্ট পরমায়ু প্রদান কর।