ঋগ্বেদ ১০।০২৪
ঋগ্বেদ সংহিতা ।। ১০ম মণ্ডল সূক্ত ২৪
প্রথমে ইন্দ্র, পরে অশ্বিদ্বয় দেবতা। বিমদ ঋষি।
১। হে ইন্দ্র! প্রস্তরফলকে নিষ্পীড়িত হইয়া এই সুমধুর সোমরস তোমার নিমিত্ত রহিয়াছে, পান কর। হে প্রভূতধনশালী! আমাদিগকে সহস্ৰসংখ্যক প্রচুর ধন অৰ্পণ কর। বিমদের উদ্দেশ তুমি বৃদ্ধি পাইতেছ।
২। তোমাকে আমরা যজ্ঞীয় সামগ্রীদ্বারা, স্তবের দ্বারা এবং হোমের বস্তু দ্বারা আরাধনা করিতেছি। তুমি সকল কর্মের প্রভু, সকল কর্ম সফল করিয়া থাক। অতি উত্তম অভিলষিত বস্তু আমাদিগকে দেও। বিমদের উদ্দেশে বৃদ্ধি পাইতেছে।
৩। তুমি বিবিধ অভিলষিত বস্তুর স্বামী; তুমি উপাসককে উপাসনা কার্যে প্রেরণ কর। তুমি স্তবকর্তাদিগের রক্ষাকর্তা, তুমি আমা দিগকে শত্রুর হস্ত হইতে এবং পাপ হইতে রক্ষা কর ।
৪। হে কর্মিষ্ঠ অশ্বিদ্বয়! তোমাদিগের কাৰ্য অদ্ভুত। তোমরা নাসত্য। যখন বিমদ তোমাদিগকে স্তব করিলে তোমরা কাছে কাষ্ঠে কাষ্ঠে ঘর্ষণ করিয়া অগ্নি মন্থন করিয়া দিলে, তখন দুজনে একত্র হইয়াই একত্র অগ্নিমন্থন করিয়া দিয়াছিলে, পৃথক পৃথক্ নহে।
৫। হে অশ্বিদ্বয়! যখন দুই খানি অরণি অগ্নিমন্থনকাষ্ঠ তোমাদিগের হস্তে সঞ্চালিত হইয়া একত্র মিলিত হইল এবং অগ্নির স্ফুলিঙ্গ বাহির করিতে লাগিল, তখন তাবৎ দেবতা প্রশংসা করিতে লাগিলেন। দেবতারা অশ্বিদ্বয়কে বলিতে লাগিলেন পুনর্বার ঐরূপ কর।
৬। হে অশ্বিদ্বয়! আমার বহির্গমন যেন মধুময় অর্থাৎ প্রীতিকর হয়, আমার পুনরাগমন যেন তদ্রুপ মধুময় হয়, অর্থাৎ আমি যেন, যখন যে স্থানে যাই প্রীতিলাভ কর। হে দেবতাদ্বয়! তোমাদিগের দৈবশক্তিপ্রভাবে আমাদিগকে সকল বিষয়ে মধুপূর্ণ অর্থাৎ সন্তুষ্ট কর।