ঋগ্বেদ ১০।০১৯

ঋগ্বেদ ১০।০১৯
ঋগ্বেদ সংহিতা।। ১০ম মণ্ডল।। সূক্ত ১৯
গাভী দেবতা। মথিত ঋষি (১)।

১। হে গাভীগণ! তোমরা ফিরিয়া যাও, আমাদিগের পশ্চাৎ আসিও না। হে বহুমূল্য গাভীগণ! আমাদিগকে দুগ্ধ দান করা হইয়াছে। পুনঃ পুনঃ ধন দানকর্তা অগ্নি ও সোম আমাদিগকে যেন ধন দান করেন।

২। আবার এই গাভীদিগকে ফিরাইয়া দাও, আবার এই গাভীদিগকে লইয়া এস। ইন্দ্র যেন ইহাদিগকে রুদ্ধ করেন, অগ্নি যেন তাড়াইয়া লইয়া আসেন।

৩। আবার ইহারা ফিরিয়া আসুক ও এই গাভীগণের প্রভুর নিকটে যাইয়া বর্ধিষ্ণু হউক। হে অগ্নি! এই গাভীদিগকে এই স্থানেই রক্ষা কর, ইহারা ধনস্বরূপ, এই স্থানেই ইহারা থাকুক।

৪। যিনি গোপা অর্থাৎ রাখাল, তাঁহাকে আমি আহ্বান করিতেছি, তিনি এই গাভীদিগকে বাহির করিয়া লইয়া যান, গোষ্ঠে চারণ করুন, চিনিয়া চিনিয়া লউন, বাটীতে ফিরাইয়া আনুন, ইতস্ততঃ চতুর্দিকে বিচরণ করাইয়া দিন।

৫। যে রাখাল চতুর্দিকে গাভীর অন্বেষণ করে, বাটীতে ফিরাইয়া আনে, ইতস্ততঃ বিচরণ করায়, সে যেন নিরুপদ্রবে বাটীতে ফিরিয়া আসে।

৬। হে ইন্দ্র! তুমি ফিরিয়া এস, গাভীগণকে ফিরাইয়া আনিয়া দাও। আমরা যেন জীবন্ত গাভীদিগের দুগ্ধাদি ভোগ করিতে পাই।

৭। হে দেবতাবর্গ! প্রচুর অন্ন, ধৃত ও দুগ্ধ তোমাদিগকে সর্বদা নিবেদন করিয়া দিয়া থাকি। অতএব, যে কেহ যজ্ঞভাগগ্রহণকারী দেবতা থাকুন, তাঁহারা আমাদিগকে ধন দান করুন।

৮। হে নিবর্তন। অর্থাৎ হে গোচারণকারী পুরুষ! গাভীগণকে চতুর্দিকে বিচরণ করাও এবং ফিরাইয়া লইয়া এস। পৃথিবীর ভিন্ন ভিন্ন স্থানে এবং চারিদিকে বিচরণ করাইয়া ফিরাইয়া লইয়া এস।

———-
(১) এই সূক্তে গাভীচারণের কথা আছে।