ঋগ্বেদ ১০।০১৩
ঋগ্বেদ সংহিতা।। ১০ম মণ্ডল।। সূক্ত ১৩
হবির্দ্ধান নামক শকটদ্বয় ইহার দেবতা, অর্থাৎ বর্ণনীয় বিষয়। বিবস্বত ঋষি।
১। হে শকটদ্বয়! আমি প্রাচীনমন্ত্র উচ্চারণপূর্বক হোমেয় দ্রব্য আরোপণ করিয়া তোমাদিগকে যোজনা করিতেছি। আমার স্তুতিবাক্য পণ্ডিত ব্যক্তির আহুতির ন্যায় দেবতাদিগের নিকট গমন করুক। যেন যে সকল অমৃতের পুত্র অর্থাৎ দেবগণ দিব্যধামে অধিষ্ঠান করিতেছেন, তাঁহারা সকলে শ্রবণ করুন।
২। যৎকালে তোমরা যমক সন্তানের ন্যায় গমন কর, তখন দেবপূজাকারী মনুষ্যগণ তোমাদিগের উপর হোমের দ্রব্য পরিপূর্ণ করিয়া আরোপণ করে। তোমরা নিজ স্থানে যাইয়া অবস্থিত কর। আমাদিগের সোমের জন্য উত্তম স্থান গ্রহণ কর।
৩। যজ্ঞের যে পঞ্চ উপকরণ আছে, (অর্থাৎ ধানা, সোম, পশু, পুরোডাশ ও ঘৃত), তাহা আমি যথাযোগ্যরূপে বিনিয়োগ করিতেছি। যথা নিয়মে চারি প্রকার ছন্দ প্রয়োগ করিতেছি। ওঙ্কার উচ্চারণপূৰ্ব্বক উপস্থিত কার্য সম্পন্ন করিতেছি। যজ্ঞের নাভি স্বরূপ যে বেদী, তথায় আমি শোধন কাৰ্য্য সমাধা করিতেছি।
৪। দেবদিগের মধ্যে কাহাকে মৃত্যুসদনে পাঠান যায়? প্রজাদিগের মধ্যে কাহাকে অমৃতের ন্যায় করা যায়? যজ্ঞকর্তারা মন্ত্রপূত যজ্ঞের অনুষ্ঠান করেন, তাহাতে যম আমাদিগের প্রিয় এই শরীর পরিহার করেন, অর্থাৎ ধ্বংস করেন না।
৫। স্তোতৃবর্গ পরিবেষ্টিত সোমদেবের উদ্দেশে সপ্তছন্দ উচ্চারিত হইতেছে। সোম পিতাস্বরূপ, তাঁহার পুত্রস্বরূপ পুরোহিতগণও স্তব আরম্ভ করিয়া ছেন; দুইখানি শকট দেবতা ও মতুষ্যদিগের জন্য দীপ্তি পাইতেছে, দুই খানি শকটই কাৰ্য করিতেছে এবং দেবতা ও মনুষ্যদিগের পুষ্টি সাধন করিতেছে।