ঋগ্বেদ ০৯।১০২
ঋগ্বেদ সংহিতা ।। ৯ম মণ্ডল সূক্ত ১০২
পবমান সোম দেবতা। ত্রিত ঋষি।
১। এই দেখ জলের পুত্র সোম, যজ্ঞের উপযোগী নিজ রস চালাইয়া দিতেছেন, ইনি দুই ধারাতে বিভক্ত হইয়া যাবতীয় প্রিয় বস্তুর সহিত মিশ্রিত হইতেছেন।
২। ত্রিতের যে দুই প্রস্তরফলক নিভৃত স্থানে সংস্থাপিত ছিল, সোম তাহার মধ্যে অর্পিত হইয়া দুই ফলক পৃথক্ করিলেন, অমনি পুরোহিতগণ সপ্তপ্রকার ছন্দ আবৃত্তি করিয়া প্রেমাস্পদ সোমকে স্তব করিতে লাগিলেন।
৩। আমি ত্ৰিত, তিনবার নিষ্পীড়ন করিয়াছি, হে সোম! তুমি সেই ত্রিগুণিত রস তোমার ধারাতে ধারণ কর। সামগানের সময় ধন আনিয়া দাও। কর্মিষ্ঠ পুরোহিত ইহার স্তব রচনা করিতেছেন।
৪। যখন সোম জন্মগ্রহণ করিতেছেন, তখন সপ্তমাতা (অর্থাৎ সপ্তছন্দ) সম্পত্তির নিমিত্ত তাহাকে স্তব করিতেছে, কারণ তিনিই বেধা, অর্থাৎ যজ্ঞের ধারণকৰ্ত্তা এবং তিনিই নিশ্চিত জানেন ধন কোথায় আছে।
৫। যখন সোম নিজ কর্মে উদ্যত হয়েন, দুর্ধর্ষ তাবৎ দেবতা আসিয়া তাহার সহিত মিলিত হয়েন, মিলিত হইয়া সুদৃশ্য রমণীয় মূর্তি ধারণ করেন।
৬। যজ্ঞের সময় যজ্ঞানুষ্ঠানকারী ব্যক্তিগণ অতি সুদৃশ্য, অতি পূজ্য বহুজন কামনীয় কর্মিষ্ঠ সোমকে উৎপাদন করিলেন।
৭। যৎকালে যজ্ঞ আরম্ভ করিয়া পুরোহিতগণ সোমকে জলের সহিত মিশ্রিত করে, তখন তিনি পরস্পর সংলগ্ন দুই প্রস্তরফলকের মধ্যে আপন হইতেই যান, সেই ফলকদ্বয়ই যজ্ঞের প্রসূতিস্বরূপ।
৮। হে সোম! তোমার নিজ কাৰ্য্যদ্বারা তুমি নিৰ্ম্মল কিরণসহকারে আকাশের অন্ধকার নষ্ট করিলে। তুমি যজ্ঞমধ্যে যজ্ঞোপযোগী তোমার রস চালাইয়া দিলে ।