ঋগ্বেদ ০৯।০০১

ঋগ্বেদ ৯ মণ্ডল(১), ১ সূক্ত
পবমান সোম দেবতা। বিশ্বামিত্রগোত্রোৎপন্ন মধুচ্ছন্দা ঋষি।

১. হে সোম! তুমি ইন্দ্রের পানার্থে অভিযুত হইয়া স্বাদুতম ও অতিশয় মদকর ধারাতে ক্ষরিত হও।

২. রাক্ষসহন্তা, সকলের দর্শন সোম লৌহদ্বারা পিষ্ট হইয়া দ্রোণকলসবিশিষ্ট অভিষবন স্থানে উপবিষ্ট হন।

৩. তুমি প্রভূত ধন দান কর, সমস্ত বস্তু দান কর এবং বিশেষরূপে বৃত্র বধ কর; ধনবান (শত্রুগণের) ধন (আমাদিগকে) দান কর।

৪. তুমি মহান, দেবগণের যজ্ঞাভিমুখে অন্নের সহিত গমন কর, বল ও অন্ন দান কর।

৫. হে ইন্দু! আমরা তোমার পরিচর্যা করি, প্রত্যহ ইহাই আমাদের কার্য; আমরা তোমারই উদ্দেশে স্তুতি করি।

৬. সূর্যের দুহিতা(২) তোমার ক্ষরণশীল রসকে বিস্তৃত এবং নিত্য দশাপবিত্রদ্বারা পুত করেন।

৭. অভিষবণকালে যজ্ঞ ভগিনীভূত দশ অঙ্গুলিরূপ স্ত্রীগণ সেই সোমকেই গ্রহণ করে।

৮. অঙ্গুলিগণ তাঁহাকেই প্রেরণ করে, চর্ম্মের ন্যায় দীপ্তমান সেই সোমকে অভিষব করে, ঐ (সোমাত্মক) মধু তিন স্থানে থাকে এবং শত্রুগণের প্রতিবন্ধকতা করে।

৯. অবধ্য ধেনুগণ এই বালক সোমকে ইন্দ্রের পানার্থে দুগ্বের দ্বারা সংস্কৃত করে।

১০. শূর ইন্দ্র এই সোমপানে মত্ত হইয়া সমস্ত শত্রু বিনাশ করেন এবং যজমানগণকে ধন দান করেন।

———————-
(১) সমস্ত নবম মণ্ডলে কেবল সোম দেবের অর্চ্চনা। অঙ্গিরা বা তদ্বংশীয়গ নবম মণ্ডলের ঋষি তাহা পূর্ব্বের বলা হইয়াছে। সামবেদের তৃতীয়াংশ এই ঋগ্বেদে নবম মণ্ডল হইতে গৃহীত। সোমলতা প্রস্তরে নিষ্পীড়ত করিয়া পরে দশ অঙ্গুলিদ্বারা চটকাইয়া রস বাহির করিত। পরে মেষ লোমের ছাকনিদ্বারা ছাকিয়া পাত্রে রাখিত এবং “সিদ্ধির” ন্যায় দুগ্ধ প্রভৃতির সহিত মিশ্রিত করিয়া পান করিত।
(২) শ্রদ্ধাদেবী। (সায়ণ) কিন্তু সূর্যদুহিতার সোমের সহিত বিবাহ সম্বন্ধে ১।১১৬।১৪। ঋকের টীকা দেখ।