ঋগ্বেদ ০৮।০৫২
ঋগ্বেদ সংহিতা ।। ৮ম মণ্ডল সূক্ত ৫২
ইন্দ্র দেবতা।
১। হে ইন্দ্র! বিবস্বান (১) মনুর সোম পূর্বে যেরূপে পান করিয়াছ, ত্ৰিতের মন যেরূপ যোগাইয়াছ, আয়ুর সহিত যেরূপ প্রমত্ত হইয়াছ।
২। মাতরিশ্বা যজ্ঞীয় পৃষধ্র অভিষব করিতে আরম্ভ করিলে, তুমি যেরূপ প্রমত্ত হও, এবং সম্বন্ধ দীপ্তিবিশিষ্ট দশশিপ্র ও দশোন্যের সোম পান করিয়া থাক।
৩। যিনি কেবল উকথ ধারণ করেন, যিনি ধৃষ্টরূপে সোমপান করেন, যাহার উদ্দেশে মিত্রের কৰ্ম্মের নিকট বিষ্ণু তিন পদ ক্ষেপ করিয়াছিলেন।
৪। হে বেগবান, শতক্রতু ইন্দ্র! তুমি যাহার যজ্ঞে স্তুতি কামনা কর, হে ইন্দ্র! সেই তোমাকে আমরা অন্নাভিলাষী হইয়া, গোদোহক যেমন দুগ্ধবতী গাভী আহ্বান করে, সেইরূপ আহ্বান করিতেছি।
৫। যিনি আমাদের দাতা, তিনি আমাদের পিতা, তিনি মহান, তিনি উগ্র, তিনি ঐশ্বৰ্যকর্তা। উগ্র, মঘবা, প্রভূত ধনবিশিষ্ট ইন্দ্র আমাদিগকে গাভী ও অশ্ব প্রদান করুন।
৬। হে ইন্দ্র! তুমি যাহাকে দান করিতে ইচ্ছা কর, সে ধন পুষ্টিলাভ করে। আমরা ধনাভিলাষী হইয়া বসুপতি ও শতক্রতু ইন্দ্রকে স্তোত্র দ্বারা আহ্বান করিতেছি।
৭। তুমি কখন কখন ভ্রমে পতিত হও, তুমি উভয় প্রকার প্রাণীকে রক্ষা কর। হে ত্বরাবান আদিত্য! তোমার সুখকর আহ্বান অমর দ্যুলোকে অবস্থান করে।
৮। হে স্তুতিভাক, দাতা মঘবা! তুমি হব্যদায়ীকে দান কর। হে বাসপ্রদ! তুমি যেমন কণ্ব ঋষির আহ্বান শ্রবণ করিয়াছিলে, সেইরূপ আমাদের বাক্য, স্তুতি এবং আহ্বান শ্রবণ কর।
৯। ইন্দ্রের উদ্দেশে প্রাচীন স্তোত্র পাঠ কর, এবং স্তোত্র উচ্চারণ কর, যজ্ঞের পূর্বকালীন মহতী স্তুতি উচ্চারণ কর এবং স্তোতার মেধা বর্দ্ধিত কর।
১০। ইন্দ্র প্রভূত ধন প্রেরণ করেন, দ্যাবাপৃথিবীকে প্রেরণ করিয়াছেন, সূৰ্য্যকে প্রেরণ করিয়াছেন এবং শ্বেতবর্ণ শুচি পদার্থ সমূহকে প্রেরণ করিয়াছেন। গব্যমিশ্ৰিত সোম ইন্দ্রকে সম্যকরূপে প্রমত্ত করিয়াছিল।
————
(১) মূলে “মনৌ বিবস্বতি” আছে। এখানে মনুকে বিবস্বানের পুত্র বলিতে না, মনুকেই বিবস্বান বলিতেছে।