ঋগ্বেদ ০৮।০৪২
ঋগ্বেদ সংহিতা ।। ৮ম মণ্ডল সূক্ত ৪২
প্রথম তিনটি ঋকের বরুণ; অবশিষ্টের অশ্বিদ্বয় দেবতা। অর্চনানা, অথবা নাভাক ঋষি।
১। সর্বজ্ঞানী অসুর বরুণ দ্যুলোককে স্তম্ভিত করিয়াছেন, পৃথিবীর বিস্তারের পরিমাণ করিয়াছেন, সমস্ত ভুবনের সম্রাটরূপে আসীন হইয়াছেন। বরুণের এই সকল কৰ্ম্ম অনেক।
২। এই রূপে বৃহৎ বরুণের বন্দনা কর, অমৃতের রক্ষক প্রাজ্ঞ বরুনকে নমস্কার কর। তিনি আমাদিগকে ত্ৰিপৰ্ব্ববিশিষ্ট আশ্রয় দান করুন, আমরা তাহার ক্ৰোড়ে বর্তমান। দ্যাবাপৃথিবী আমাদিগকে রক্ষা করুন।
৩। হে দেব বরুণ! এই কৰ্ম্মানুষ্ঠানকারীর কৰ্ম্ম ও দক্ষতা তীক্ষ্ণ কর। যাহাদ্বারা সমস্ত দুরিত অতিক্রম করিতে পারি, তাদৃশ সুখে পারযোগ্য নৌকাতে অধিরোহণ করিব।
৪। হে নাসত্য অশ্বিদ্বয়! বিপ্রগণ এবং অভিষব প্রস্তরসমূহ সোমপানার্থে স্ব স্ব কার্যের দ্বারা তোমাদের অভিমুখে গমন করে। অশ্বিদ্বয় সমস্ত শত্রুগণ হিংসা করুন(১)।
৫। হে নাসত্য অশ্বিদ্বয়! বিপ্র অত্ৰি যেরূপ স্তুতিদ্বারা সোমপানার্থে আহ্বান করিয়াছিলেন, সেইরূপ আমি আহ্বান করি। অশ্বিদ্বয় সমস্ত শত্রু হিংসা করুন।
৬। হে নাসত্যদ্বয়! মেধাবীগণ যেরূপ তোমাদিগকে সোমপানার্থে আহ্বান করিয়াছেন, সেইরূপ আমি রক্ষার্থে আহ্বান করি। অশ্বিদ্বয় সমস্ত শত্রু হিংসা করুন।
————
(১) সায়ণ এই ৪ ঋকে “বরুণ সমস্ত শত্রুগনকে হিংসা করুন” এই জন্য ব্যাখ্যা করিয়াছেন। ৫ ও ৬ ঋকে “অশ্বিদ্বয় শত্রুগণকে হিংসা করুন” এইরূপ ব্যাখ্যা করিয়াছেন।