ঋগ্বেদ ০৭।০২৬
ঋগ্বেদ সংহিতা ।। ৭ম মণ্ডল সূক্ত ০২৬
ইন্দ্র দেবতা। বসিষ্ঠ ঋষি।
১। যে সোম ধনবান ইন্দ্রের উদ্দেশে অভিযুত নহে, তাহাতে তৃপ্তি হয় না। অভিযুত হইলেও স্তোত্রহীন সোম তৃপ্তিকর হয় না। আমাদের যে উকথ ইন্দ্রকে সেবা করে, রাজা যাহাকে শ্রবণ করে, সেই নূতন উকথ আমি ইন্দ্রের উদ্দেশে পাঠ করি।
২। প্রতি উকথ স্তুতিপাঠ কালেই সোম ধনবান ইন্দ্রকে তৃপ্ত করে। প্রতি স্তোত্র পাঠকালেই অভিযুত সোম তাহাকে তৃপ্তি করে। অতএব পরস্পর মিলিত ও সমান উৎসাহবিশিষ্ট ঋত্বিকগণ,পুত্র যেরূপ পিতাকে আহ্বান করে, সেইরূপ রক্ষার্থ তাঁহাকে আহ্বান করিতেছে।
৩। স্তোত্রকারিগণ সোম অভিযুত হইলে যে সকল কর্মের কথা বলে, ইন্দ্র পূৰ্ব্বকালে সেই সকল কৰ্ম্ম করিয়াছিলেন। সম্প্রতি অন্য কৰ্ম্মও করিতেছেন। সমবৃত্তি, সহায়রহিত ইন্দ্র, পতি যেরূপ পত্নীকে শোধন করেন, সেইরূপ সমস্ত শত্রুনগরী শোধন করিয়াছিলেন।
৪। ইন্দ্রের পরস্পর সংশ্লিষ্ট বহুতর রক্ষা আছে। ঋষিগণ তাহাকে এইরূপ বলিয়াছেন। আরও ইন্দ্র পুজনীয় ধনের দাতা ও আপদ উদ্ধর্ত্তা বলিয়া শুনিতে পাই। তাঁহার প্রসাদে প্ৰীতিকর কল্যাণ সকল আমাদিগকে সেবা করুক।
৫। বসিষ্ঠ রক্ষার্থ ও প্রজাগণের অভীষ্টবৰ্ষণার্থ ইন্দ্রকে সোমাভিযবে এইরূপে স্তব করিতেছেন। হে ইন্দ্র! আমাদিগকে সহস্রসংখ্যক অন্ন প্রদান কর। তোমরা সর্বদা আমাদিগকে স্বস্তিদ্বারা পালন কর।