ঋগ্বেদ ০৬।২৭
ঋগ্বেদ সংহিতা । ৬ষ্ঠ মণ্ডল । সূক্ত ২৭
ইন্দ্র দেবতা । ভরদ্বাজ ঋষি ।
১। ইন্দ্র এই সোমরসে হৃষ্ট হইয়া কি করিয়াছেন? তিনি এই সোমরস পান করিয়া কি করিয়াছেন? তিনি ইহার সাহচর্য্যে কি করিয়াছেন? পুরাতন ও আধুনিক স্তোতৃবর্গ সোমগৃহে তোমার নিকট হইতে কি লাভ করিয়াছেন?
২। ইন্দ্র এই সোমরসে হৃষ্ট হইয়া সৎকৰ্ম্মের অনুষ্ঠান করিয়াছেন। তিনি এই সোমরস পান করিয়া সংকৰ্ম্মের অনুষ্ঠান করিয়াছেন। তিনি ইহার সাহচর্য্যে সৎকৰ্ম্মের অনুষ্ঠান করিয়াছেন; পুরাতন ও আধুনিক স্তোতৃবর্গ সোমগৃহে তোমার নিকট হইতে উপকার লাভ করিয়াছেন।
৩। হে মঘবা! আমরা কাহারও ত্বত্তুল্য মহিমা অবগত নহি, ত্বত্তুল্য ঐশ্বৰ্য্য বা শ্লাঘ্য ধনও অবগত নহি। হে ইন্দ্র! কেহই ত্বত্তুল্য সামর্থ্য দর্শন করে নাই।
৪। হে ইন্দ্ৰ! তুমি যে বীৰ্য্যদ্বার বরশিখের পুত্রগণকে সংহার করিয়াছ, আমরা ত্বদীয় সেই বীৰ্য্য অবগত আছি। বলিষ্ঠতম বরশিখের পুত্র বলপূর্বক নিক্ষিপ্ত ত্বদীয় বজ্রের শব্দেই বিদীর্ণ হইয়াছিল।
৫। ইন্দ্ৰ চয়মানের পুত্র অভ্যবর্ত্তীর প্রতি অনুকূল হইয়া বরশিখের পুত্রগণকে সংহার করিয়াছেন। তিনি হরিযুপীয়ার (১) পূৰ্ব্বভাগে অবস্থিত বরশিখের পুত্র বৃচীবানের বংশধরদিগকে বধ করেন, তখন পশ্চিমভাগে অবস্থিত বরশিখের শ্রেষ্ঠ পুত্র ভয়ে বিদীর্ণ হইয়াছিল।
৬। হে পুরুহূত! তোমার প্রতি হিংসা করণদ্বারা যশোলিপ্সু হইয়া যজ্ঞপাত্ৰ ভঞ্জনকারী যব্যাবতীর নিকট(২) সমবেত ত্রিংশৎশত বৰ্ম্মধারী(৩) বৃচীবৎ পুত্র এককালে নিধন প্রাপ্ত হইয়াছিল।
৭। যাঁহার সমুজ্জ্বল, শোভন তৃণাভিলাষী, পুনঃ পুনঃ তৃণ লেহনকারী অশ্বগণ স্বর্গ ও পৃথিবীর মধ্যভাগে বিচরণ করে, সেই ইন্দ্র সৃঞ্জয় নামক রাজার নিকট তুর্বশকে সমর্পণ করিয়াছেন এবং বৃচীবৎগণকে দেবরাত বংশীয় অভ্যবর্ত্তীর বশতাপন্ন করিয়াছেন।
৮ হে অগ্নি। চরমানের পুত্র, ঐশ্বৰ্য্যশালী সম্রাট অভ্যবর্ত্তী আমাকে রথ ও রমণী সহকারে বিংশতি গোমিথুন প্রদান করিয়াছেন। পৃথুর বংশধরের এই দান অক্ষয় অর্থাৎ কেহই ইহার বিলোপ করিতে সমর্থ নহে।
————–
(১) “ হমিমূপীয় নাম কাচীম্লদী কাচীন্নগরী বা” সায়ণ।
(২) সায়ণ বলেন যব্যাবতী হরিয়ূপীয়ার আর একটী নাম। যে নদীতীরে এত যুদ্ধ হইয়াছিল সে নদী কোথায়?
(৩) মূলে ‘ত্রিংশৎ শতং বর্মিণং’ আছে। সায়ণ ‘ত্রিংশৎ শতং’ অর্থে এক শত ত্রিশ করিয়াছেন।