৪২ সুক্ত ।।
অনুবাদঃ
১। আমি বলবান ও সমস্ত বিশ্বের ধিপতি। আমার রাজ্য দ্বিবিধ। সমস্ত অমরগণ আমার। আমি রূপবান ও অন্তিকন্থ বরুণ। দেবগণ আমার যজ্ঞসেবা করেন। আমি মনুষ্যেরও রাজা।
২। ্আমি, রাজা বরুণ! দেবগণ আমার জন্যই অসুর্য শ্রেষ্ঠ বল ধারণ করেছেন। আমি রূপবান ও অন্তিকস্থ বরুণ। দেবগণ ্মার যজ্ঞ সেবা করেন। আমি মনুষ্যেরও রাজা।
৩। আমি ইন্দ্র ও বরুণ। আমি মহিমাতে বিস্তীর্ণা, দূরবগাহা, স্বরূপ দ্যাবাপৃথিবী। আমি বিদ্বান। আমি ত্বষ্টার ন্যায় সমস্ত ভূতজাতকে চৈতন্য দান করি এবং দ্যাবাপৃথিবীকে ধারণ করি।
৪। আমি সেচক, জলকে সেচন করেছি। জলের স্থানে দ্যুলোককে ধারণ করেছি। আমি ত্রিপ্রকার আকাশকে বিশেষরূপে প্রথিত করে জলদ্বারা অদিতির পুত্র ঋতাবা হয়েছি।
৫। সুন্দর অশ্বযুক্ত সংগ্রামেচ্ছ, যোদ্ধাগণ আমাকে অনুগমন করে। তারা বৃত হয়ে সংগ্রামে আমাকে আহ্বান করে। আমি ধনবান ইন্দ্র হয়ে যুদ্ধ করি। আমি অভিভবকর বলশালী, আমি সংগ্রামে ধুলি উত্থিত করি।
৬। আমি এ সমস্ত কর্ম করেছি। আমি অপ্রতিহত, দৈব বলযুক্ত, কেউ আমাকে নিবারণ করতে পারে না। যখন সোমরস আমাকে হৃষ্ট করে, তখন অপার দ্যাবাপৃথিবী উভয়েই চলিত হয়।
৭। হে বরুণ! (২) সমস্ত ভূতজাত তোমাকে জানে। হে স্তোতা! বরুণকে স্তব কর। হে ইন্দ্র! তুমি শত্রুগণকে বধ করেছ বলে বিখ্যাত আছ। তুমি বন্ধ সিন্ধুগণকে উন্মুক্ত করেছ।
৮। দুর্গহের পুত্র বন্দী হলে পর সপ্ত ঋষিগণ এ দেশে পিতা হয়েছিলেন। তারা এ পৃরুকুৎসের স্ত্রীর জন্য ত্রসদস্যকে যজ্ঞ করে লাভ করেছিলেন। ত্রসদস্যু ইন্দ্রের ন্যায় শত্রুবিনাশক এবং অর্ধদেব (৩)।
৯। হে ইন্দ্র ও বরুণ! পুরুকুৎসপত্নী তোমাদরে হব্য ও স্তুতি দ্বারা প্রীত করেছিলেন। অনন্তর তোমরা তাকে শত্রুনাশক অর্ধদেব রাজা ত্রসদস্যুকে দান করেছিলে।
১০। আমরা তোমাদের স্তুতি করে ধন দ্বারা পরিতৃপ্ত হব। দেবগণ হব্যে তৃপ্ত হোন, গাভীগণ তুণাদিতে পরিতৃপ্ত হোন। হে ইন্দ্র ও বরুণ! তোমরা বিশ্বের হন্তা, তোমরা সর্বদা আমাদের সে অহিংসিত ধন দান কর।
টীকাঃ
১। অনুক্রমণিকা অনুসারে এ সুক্তের প্রথম ছয়টি ঋকের দেবতা রাজা ত্রসদস্যু এবং ঋষি ও রাজা ত্রসদস্যু। কিন্তু ঋকগুলি পাঠ করে দেকলে স্পশ্টই উপলব্ধি হয় যে, এ ঋকগুলি মনুষ্যের উক্তি নহে, দেব সম্রাট বরুণের উক্তি। তিনিই এ ঋকগুলির দেবতা ও ঋষি। প্রথম ঋকে আমি ক্ষয়িত্র বলে একটি জাতি হয়নি।
২।এ ঋক হতে সুক্তের অবশিষ্ট অংশে রাজা ত্রসদস্যু বক্তা।
৩। দুর্গহ রাজার পুত্র পুরুকুৎস কারারুদ্ধ হলে তার মহিষী রাজা অরাজক দেখে পুত্র লাভের ইচ্ছায় স্বেচ্ছাপূর্বক সমাগত সপ্তর্ষিগণকে পূজা করেছিলেন। তারা প্রীত হয়ে রাজ্ঞীকে এ কথা বললেন যে, ইন্দ্রি ও বরুণের বিশেষ রূপে যজ্ঞ কর। অনন্তর রাজ্ঞী ইন্দ্র ও বরুণের যজ্ঞ করে ত্রসদস্যুকে প্রাপ্ত হলেন। সায়ণ। অর্ধদেবং অর্থে সায়ণ করেছেন দেবানাং সমীপে বর্তমানম।
HYMN XLIL Indra-Varuṇa.
1. I AM the royal Ruler, mine is empire, as mine who sway all life are all Immortals.
Varuṇa’s will the Gods obey and follow. I am the King of men’s most lofty cover.
2 I am King Varuṇa. To me were given these first existing high celestial powers.
Varuṇa’s will the Gods obey and follow. I am the King of men’s most lofty cover.
3 I Varuṇa am Indra: in their greatness, these the two wide deep fairly-fashioned regions,
These the two world-halves have I, even as Tvaṣṭar knowing all beings, joined and held together.
4 I made to flow the moisture-shedding waters, and set the heaven firm in the scat of Order.
By Law the Son of Aditi, Law Observer, hath spread abroad the world in threefold measure.
5 Heroes with noble horses, fain for battle, selected warriors, call on me in combat.
I Indra Maghavan, excite the conflict; I stir the dust, Lord of surpassing vigour.
6 All this I did. The Gods’ own conquering power never impedeth me whom none opposeth.
When lauds and Soma juice have made me joyful, both the unbounded regions are affrighted.
7 All beings know these deeds of thine thou tellest this unto Varuṇa, thou great Disposer!
Thou art renowned as having slain the Vṛtras. Thou madest flow the floods that were obstructed.
8 Our fathers then were these, the Seven his, what time the son of Durgaha was captive.
For her they gained by sacrifice Trasadasyu, a demi-god, like Indra, conquering foemen.
9 The spouse of Purukutsa gave oblations to you, O Indra-Varuṇa, with homage.
Then unto her ye gave King Trasadasyu, the demi-god, the slayer of the foeman.
10 May we, possessing much, delight in riches, Gods in oblations and the kine in pasture;
And that Milch-cow who shrinks not from the milking, O Indra-Varuṇa, give to us daily.
Rig Veda Book 4 Hymn 42
मम दविता राष्ट्रं कषत्रियस्य विश्वायोर विश्वे अम्र्ता यथा नः |
करतुं सचन्ते वरुणस्य देवा राजामि कर्ष्टेर उपमस्य वव्रेः ||
अहं राजा वरुणो मह्यं तान्य असुर्याणि परथमा धारयन्त |
करतुं सचन्ते वरुणस्य देवा राजामि कर्ष्टेर उपमस्य वव्रेः ||
अहम इन्द्रो वरुणस ते महित्वोर्वी गभीरे रजसी सुमेके |
तवष्टेव विश्वा भुवनानि विद्वान सम ऐरयं रोदसी धारयं च ||
अहम अपो अपिन्वम उक्षमाणा धारयं दिवं सदन रतस्य |
रतेन पुत्रो अदितेर रतावोत तरिधातु परथयद वि भूम ||
मां नरः सवश्वा वाजयन्तो मां वर्ताः समरणे हवन्ते |
कर्णोम्य आजिम मघवाहम इन्द्र इयर्मि रेणुम अभिभूत्योजाः ||
अहं ता विश्वा चकरं नकिर मा दैव्यं सहो वरते अप्रतीतम |
यन मा सोमासो ममदन यद उक्थोभे भयेते रजसी अपारे ||
विदुष ते विश्वा भुवनानि तस्य ता पर बरवीषि वरुणाय वेधः |
तवं वर्त्राणि शर्ण्विषे जघन्वान तवं वर्तां अरिणा इन्द्र सिन्धून ||
अस्माकम अत्र पितरस त आसन सप्त रषयो दौर्गहे बध्यमाने |
त आयजन्त तरसदस्युम अस्या इन्द्रं न वर्त्रतुरम अर्धदेवम ||
पुरुकुत्सानी हि वाम अदाशद धव्येभिर इन्द्रावरुणा नमोभिः |
अथा राजानं तरसदस्युम अस्या वर्त्रहणं ददथुर अर्धदेवम ||
राया वयं ससवांसो मदेम हव्येन देवा यवसेन गावः |
तां धेनुम इन्द्रावरुणा युवं नो विश्वाहा धत्तम अनपस्फुरन्तीम ||
mama dvitā rāṣṭraṃ kṣatriyasya viśvāyor viśve amṛtā yathā naḥ |
kratuṃ sacante varuṇasya devā rājāmi kṛṣṭer upamasya vavreḥ ||
ahaṃ rājā varuṇo mahyaṃ tāny asuryāṇi prathamā dhārayanta |
kratuṃ sacante varuṇasya devā rājāmi kṛṣṭer upamasya vavreḥ ||
aham indro varuṇas te mahitvorvī ghabhīre rajasī sumeke |
tvaṣṭeva viśvā bhuvanāni vidvān sam airayaṃ rodasī dhārayaṃ ca ||
aham apo apinvam ukṣamāṇā dhārayaṃ divaṃ sadana ṛtasya |
ṛtena putro aditer ṛtāvota tridhātu prathayad vi bhūma ||
māṃ naraḥ svaśvā vājayanto māṃ vṛtāḥ samaraṇe havante |
kṛṇomy ājim maghavāham indra iyarmi reṇum abhibhūtyojāḥ ||
ahaṃ tā viśvā cakaraṃ nakir mā daivyaṃ saho varate apratītam |
yan mā somāso mamadan yad ukthobhe bhayete rajasī apāre ||
viduṣ te viśvā bhuvanāni tasya tā pra bravīṣi varuṇāya vedhaḥ |
tvaṃ vṛtrāṇi śṛṇviṣe jaghanvān tvaṃ vṛtāṃ ariṇā indra sindhūn ||
asmākam atra pitaras ta āsan sapta ṛṣayo daurghahe badhyamāne |
ta āyajanta trasadasyum asyā indraṃ na vṛtraturam ardhadevam ||
purukutsānī hi vām adāśad dhavyebhir indrāvaruṇā namobhiḥ |
athā rājānaṃ trasadasyum asyā vṛtrahaṇaṃ dadathur ardhadevam ||
rāyā vayaṃ sasavāṃso madema havyena devā yavasena ghāvaḥ |
tāṃ dhenum indrāvaruṇā yuvaṃ no viśvāhā dhattam anapasphurantīm ||