ঋগ্বেদ ০১।১৬৪

ঋগ্বেদ ০১।১৬৪
ঋগ্বেদ সংহিতা ।। ১ম মণ্ডল সূক্ত ১৬৪
১ হইতে ৪১ ঋক পৰ্য্যন্ত বিশ্ব দেবগণ।
৪২ ঋকের প্রথমার্ধের দেবতা বাক।
ঐ ঋকের দ্বিতীয়ার্ধের দেবতা অপ।
৪৩ ঋকের প্রথমার্ধের দেবতা শকধূম।
ঐ ঋকের দ্বিতীয়ার্ধের দেবতা সোম।
৪৪ ঋকের দেবতা অগ্নি, সূর্য ও বায়ু।
৪৫ ঋকের দেবতা বাক।
৪৬ এবং ৪৭ ঋকের দেবতা সূর্য।
৪৮ ঋকের দেবতা সম্বৎসররূপ কাল।
৪৯ ঋকের দেবতা সরস্বতী।
৫০ ঋকের দেবতা মাধ্যায়।
৫১ ঋকের দেবতা সূর্য, প্রজাপতি কিম্বা অগ্নি।
৫২ ঋকের দেবতা সূর্য।
উচথ্যের অপত্য দীর্ঘতমা ঋষি।

১। সকলের সেবনীয়, জগৎপালক হোতার (১) মধ্যম ভ্রাতা (২) সৰ্বত্র ব্যাপ্ত আছেন। উহার তৃতীয় ভ্রাতা (৩) আদুতি ধারণ করেন। ভ্রাতৃগণের মধ্যে সপ্তপুত্রবিশিষ্ট বিশপতিকে দেখিলাম (৪)।

২। সূর্যের এক চক্ররথে সপ্ত অশ্ব যোজিত হইয়াছে, এক অশ্বই সপ্তনামে রথ বহন করিতেছে। চক্রের তিন নাভি, উহা কখনও শিথিল হয় না, কখনও জীর্ণ হয় না, এবং সমস্ত জগৎ ইহাকে আশ্রয় করিয়া আছে।

৩। যে সপ্ত এই সপ্তচক্র রথে অধিষ্ঠান করে, তাহারাই সপ্ত অশ্ব এবং তাহারাই এই রথ বহন করে। সাত ভগিনী, এই রথাভিমুখে আগমন করে (৫) এবং ইহাতে সপ্ত গো (৬) নিহিত আছে।

৪। প্রথম জাতকে কে দেখিয়াছিল, যখন অস্থিরহিতা অস্থিযুক্তকে ধারণ করিল? ভূমি হইতে প্রাণ ও শোণিত, কিন্তু আত্মা কোথা হইতে? কে বিদ্বানের নিকট এ বিষয় জিজ্ঞাসা করিতে যায়?

৫। আমি অপক্কমতি মনে কিছু বুঝিতে না পারিয়া জিজ্ঞাসা করিতেছি। এই সকল সন্দেহ পদ দেবতাগণের নিকটেও নিগুঢ়। এক বৎসরের গোবৎসকে পরিবেষ্টনার্থ মেধাবীগণ যে সপ্ত তন্তু পাতিয়াছেন (৭) তাহা কি?

৬। আমি অজ্ঞান কিছু না জানিয়াই জ্ঞানী মেধাবীগণের নিকট জানিবার জন্য জিজ্ঞাসা করিতেছি। যিনি এই ছয় লোক স্তম্ভন করিয়াছেন, যিনি জন্ম রহিতরূপে নিবাস করেন তিনি কি সেই এক (৮)।

৭। গমনশীল, সুন্দর আদিত্যের স্বরূপ অতি নিগূঢ়। তিনি সকলের মস্তকস্বরূপ, তাঁহার রশ্মিগণ ক্ষীর দোহন করে, এবং অতি বিস্তৃত তেজো বিশিষ্ট হইয়া সেই প্রকারেই আবার উদক পান করে। যিনি এই সকল কথা জানেন, তিনি বলুন।

৮। মাতা পৃথিবী বৃষ্টির জন্য পিতা দ্যুলোককে কর্মদ্বারা ভজনা করেন। তাহার পূর্বেই পিতা, মনে মনে উহার সহিত সঙ্গত হইয়াছিলেন। মাতা গর্ভধারণেচ্ছায় গর্ভরসে নিবিদ্ধ হইয়াছিলেন। এবং বিবিধ শস্য উৎপাদন হেতু পরস্পর কথাবার্তা কহিয়াছিলেন।

৯। মাতা দ্যুলোক অভিলাষ পূরণ সমৰ্থা পৃথিবীর ভার বহনে নিযুক্ত ছিলেন। গর্ভভূত জলরাশি মেঘপঙক্তির মধ্যে ছিল। বৎস্য শব্দ করিল, এবং তিনের যোগে বিশ্বরূপী গাভীকে দেখিল (৯)।

১০। একমাত্র আদিত্য, তিনমাতা ও তিন পিতাকে (১০) ধারণ করতঃ উন্নত হইয়া রহিয়াছেন, ইহাতে তাঁহার ক্লান্তি হইতেছে না। দ্যুলোকের পৃষ্ঠদেশে দেবগণ আদিত্যের সম্বন্ধে কথোপকথন করেন। সেকথা সকলের নিকট পৌঁছে না, কিন্তু তাহাতে সকলেরই কথা আছে।

১১। সত্যাত্মক আদিত্যের দ্বাদশ অরবিশিষ্ট চক্র স্বর্গের চারিদিকে পুনঃ পুনঃ ভ্রমণ করিতেছে ও কদাচিৎ জরাগ্রস্ত হয় না। হে অগ্নি! এই চক্রে পুত্ররূপ সপ্তশত বিংশতি মিথুন বাস করে (১১)।

১২। পঞ্চপাদ ও দ্বাদশ আকৃতিবিশিষ্ট (১২) আদিত্য যখন দ্যুলোকের উৎকৃষ্ট অর্ধে থাকেন, কেহ কেহ তাঁহাকে পুরীষী কহে (১৩) অপর কেহ কেহ ছয় অরবিশিষ্ট সপ্ত চক্রবিশিষ্ট রথে দ্যোতমান্ আদিত্যকে অর্পিত কহে, যখন তিনি দ্যুলোকের অপর অর্ধে অবস্থিত (১৮)।

১৩। নিয়ত পরিবর্তমান পঞ্চ (১৫) অরবিশিষ্টচক্রে সমস্ত ভুবন বিলীন রহিয়াছে; উহার অক্ষ প্রভূত ভার বহনেও ক্লান্ত হয় না, এবং উহার নাভি চিরদিনই সমান থাকে, কখন শীর্ণ হয় না।

১৪। সমান নেমিবিশিষ্ট জরারহিত কালচক্র নিরন্তর ঘুরিতেছে। দশ জন (১৬) একযোগে উৰ্দ্ধদেশে মিলিত হইয়া পৃথিবী ধারণ করিতেছে। সূর্যের চক্ষুরূপ মণ্ডল বৃষ্টি জলে আবৃত্ত হইল, সমস্ত প্রাণীজগৎ উহাতে অর্পিত হইল।

১৫। আদিত্যের সহজন্মা ঋতুগণের মধ্যে সপ্তম কেবল একক; অন্য চয় ঋতু যুগ্ম, গমনশীল ও দেব হইতে উৎপন্ন (১৭)। এই ঋতুগণ সকলের ইষ্ট, স্থানভেদে পৃথক্ পৃথক স্থাপিত, এবং রূপভেদে বিবিধ আকৃতি বিশিষ্ট। উহারা আপনার অধিষ্ঠাতার জন্য পুনঃ পুনঃ ঘুরিতেছে।

১৬। রশ্মি সমূহকে স্ত্রী হইলেও পুরুষ বলে (১৮) যাহাদের চক্ষু আছে, তাহারাই ইহা দেখিতে পায়, যাহারা স্থূলদৃষ্টি, তাহারা ইহা দেখিতে পায় না। যে পুত্র মেধাবী তিনিই ইহা বুঝিতে পারেন। যিনি এই সকল কথা বুঝিতে পারেন, তিনিই পিতার পিতা (১৯)।

১৭। গাভী বৎসের পশ্চাৎভাগ সন্মুখের পদদ্বারা এবং সম্মুখভাগ পশ্চাতের পদদ্বারা ধারণ করতঃ উর্ধমুখে যাইতেছেন। তিনি কোথায় যাইতেছেন? কাহার জন্য অর্ধপথ হইতে ফিরিয়া আসিলেন? কোথায় প্রসব করেন? যুথের মধ্যে প্রসব করেন না (২০)।

১৮। যিনি, অধঃস্থিত লোকপালককে উর্ধস্থিতের সহিত, এবং উর্ধস্থিতকে অধঃস্থিতের সহিত উপাসনা করেন (২১), তাদৃশ পুরুষ মেধাবীর ন্যায় আচরণ করেন। কে এই সকল কথা বলিয়াছেন? কোথা হইতে এই অলৌকিক মন উৎপন্ন হইয়াছে?

১৯। বিজ্ঞগণ যাহাকে অধোমুখ বলেন তাহাদিগকে উর্ধমুখও বলেন এবং যাহাকে উর্ধমুখ বলেন, তাহাদিগকে অধোমুখও বলেন। হে সোম! তুমি ও ইন্দ্র যে মণ্ডল করিয়াছিলে, তাহা যুগযুক্ত অশ্বাদির ন্যায় বিশ্বের ভার বহন করিতেছে (২২)। । ।

২০। দুইটি পক্ষী বন্ধুভাবে একবৃক্ষে বাস করে। তাহাদিগের মধ্যে একটি স্বাদু পিপ্পল ভক্ষণ করে; অন্য ভক্ষণ করে না, কেবলমাত্র অবলোকন করে (২৩)।

২১। যেস্থলে সুন্দরগতি রশ্মিগণ কর্তব্যবোধে অমৃতের অংশ গ্রহণ করিয়া অনবরত গমন করে, তথায় যিনি ধীরভাবে সমস্ত ভুবনের রক্ষা করেন, আমি অপক্কবুদ্ধি হইলেও তিনি আমাকে স্থাপিত করিলেন (২৪)।

২২। যে আদিত্যরূপ বৃক্ষে উদকগ্রাহী রশ্মিসকল রাত্রিকালে প্রবেশ করে, এবং জগতের উপরে প্রাতঃকালে আলোক প্রকাশ করে, বিজ্ঞগণ তাহার ফললাভ করেন। যে ব্যক্তি পিতাকে জানে না (২০) সে ঐ ফল প্রাপ্ত হয় না।

২৩। যাঁহারা পৃথিবীকে অগ্নির স্থান বলিয়া জানেন; যাঁহারা জানেন যে অন্তরীক্ষ দেশে বায়ু উৎপন্ন হইয়াছেন; এবং যাঁহারা দ্যুলোককে আদিত্যের পদ বলিয়া জানেন; তাঁহারা অমৃতত্ব প্রাপ্ত হন।

২৪। তিনি গায়ত্রী ছন্দদ্বারা অর্ক অর্থাৎ অৰ্চনামন্ত্র রচনা করেন; অর্কাদ্বারা সাম রচনা করেন; ত্রিষ্টুভঘারা বাক নির্মাণ করেন; দ্বিপাদ ও চতুষ্পাদ বাকদ্বারা অনুবাক রচনা করেন এবং তাঁহারা অক্ষরযোজনাদ্বারা সপ্তছন্দ রচনা করেন।

২৫। তিনি জগতীছন্দদ্বারা দ্যুলোকে বৃষ্টিকে স্তম্ভিত করিয়া রাখিয়াছেন; রথন্তর মন্ত্রে সূৰ্য্যকে দর্শন করিয়াছেন। পণ্ডিতেরা বলেন গায়ত্রীর তিন পদ, অতএব গায়ত্রী, মাহাত্ম্য ও ওজস্বিতায় অন্য সকলকে অতিক্রম করে।

২৬। আমি, দুগ্ধবতী এই ধেনুকে আহ্বান করি, দোহন কুশল গোধুক উহাকে দোহন করে। সবিতা আমাদিগের সোমের শ্রেষ্ঠ অংশ গ্রহণ করুন, কারণ উহাতে তাঁহার তেজঃ প্রবৃদ্ধ হইবে। এই জন্ই আমি তাহাকে আহ্বান করিতেছি (২৬)।

২৭। ধনবতী ধেনু মনে মনে বৎসের জন্য ব্যগ্র হইয়া হাম্বারব করতঃ আগমন করিতেছেন। ইনি অশ্বিদ্বয়ের জন্য দুগ্ধ প্রদান করুন, এবং মহাসৌভাগ্যলাভের জন্য প্রবৃদ্ধ হউন।

২৮। ধেনু নিমীলিতাক্ষ বৎসের জন্য হাম্বারব করিতেছে, উহার মস্তক অবলেহন করিবার জন্য হাম্বারব করিতেছে। বৎসের ওষ্ঠপ্রান্তে ফেন অবলোকন করিয়া ধেনু হাম্বারব করিতেছে, এবং প্রভূত দুগ্ধ দানদ্বারা উহাকে পরিপুষ্ট করিতেছে।

২৯। বৎস ধেনুর চতুর্দিকে পরিভ্রমণ করিয়া অব্যক্ত শব্দ করে, এবং গোচারণ স্থানে অবস্থিত গাভী হাম্বারব করে। ধেনু, পশু জ্ঞানদ্বারা মনুষ্যদিগকে লজ্জিত করে, এবং দ্যোতমান্ হইয়া আপনার রূপ প্রকাশ করিতেছে।

৩০। চঞ্চল, শ্বাসপ্রশ্বাসশীল ও নিজ কাৰ্যসাধনে ব্যগ্র জীব শয়ান থাকিয়া গৃহমধ্যে অবিচালিত ভাবে অবস্থিত হইলেন। মর্ত্যের সঙ্গে একত্র উৎপন্ন মর্ত্যের অমর জীব স্বধাভক্ষণ করতঃ চিরকাল বিচরণ করে (২৭)।

৩১। আমি এই রক্ষণশীল অবিষণ্ন আদিত্যকে অন্তরীক্ষে আগমন ও প্রত্যাগমন করিতে দেখি। আদিত্য সহগামী ও সর্বত্রগামী কিরণমালায় আচ্ছাদিত হইয়া, ভুবনসমূহে পুনঃ পুনঃ আবৰ্তন করিতেছে।

৩২। যিনি গর্ভ উৎপাদন করিয়াছেন তিনিও উহার তত্ত্ব জানেন না, যিনি গর্ভ দেখিয়াছেন উহা তাঁহারও নিকট অন্তৰ্হিত। মাতৃযোনি দ্বারা বেষ্টিত হইয়া সেই গর্ভ বহু সন্তুতিবান্ এবং কলুষিত হয় (২৮)।

৩৩। স্বর্গ আমার পিতা; যজ্ঞস্থান আমার বন্ধু; বিস্তীর্ণ পৃথিবী আমার মাতা। উত্তান পাত্রদ্বয়ের মধ্যে যোনি আছে, তথায় পিতা দুহিতার গর্ভ উৎপাদন করেন (২৯)।

৩৪। আমি তোমাকে জিজ্ঞাসা করি পৃথিবীর শেষ অন্ত কোথায়? আমি তোমাকে জিজ্ঞাসা করি ভূত জগতের নাভি কোথায়? আমি তোমাকে জিজ্ঞাসা করি সেচনশীল অশের রেতঃ কি পদার্থ? আমি তোমাকে জিজ্ঞাসা করি সমস্ত বাক্যের পরম স্থান কোথায়?

৩৫। এই বেদিই পৃথিবীর শেষ অন্ত, এই যজ্ঞই জগতের নাভিস্থান, এই সোমই সেচনশীল অশ্বের রেতঃ, এবং এই স্তুতিকারই পরম স্থান।

৩৬। সপ্ত রশ্মি অর্ধ বৎসর পর্যন্ত গর্ভ ধারণ করিয়া (অর্থাৎ বৃষ্টি উৎপাদন করিয়া) এবং ভুবনে রেতঃস্বরূপ হইয়া (অর্থাৎ বৃষ্টি প্রদান করিয়া) বিষ্ণুর কার্যে নিযুক্ত রহিয়াছে। উহা বিপশ্চিৎ ও সর্বতোব্যাপি। উহারা প্রজ্ঞাদ্বারা মনে মনে সমস্ত জগৎ ব্যাপ্ত করিয়াছে (৩০)।

৩৭। আমি এই কি না, তাহা আমি জানি না। কারণ আমি মৃঢ়চিত্ত হইয়া বিচরণ করি। জ্ঞানের যখন প্রথম উন্মেষ হয়, তখনই আমি বাক্যের অর্থ বুঝিতে পারি।

৩৮। নিত্য অনিত্যের সহিত একস্থানে অবস্থিতি করে, অন্নময় শরীর প্রাপ্ত হইয়া উহা কখন অধোদেশে কখন উৰ্দ্ধদেশে গমন করে। উহারা সর্বদাই একত্র অবস্থিতি করে, ইহলোকে সর্বত্র একত্রে গমন করে, পরলোকেও সর্বত্র একত্রে গমন করে। লোকে ইহাদিগের একটীকে চিনিতে পারে অপরটিকে পারে না (৩১)।

৩৯। সকল দেবগণ পরম ব্যোমসদৃশ ঋকের অক্ষরে উপবেশন করিয়াছেন। এ কথা যে না জানে, ঋকদ্বারা সে কি করিবে? একথা যাহারা জানে তাহারা সুখে অবস্থান করে।

৪০। হে অহননীয়া গাভী! তুমি শোভন শস্য তৃণাদি ভক্ষণ কর এবং প্রভূত দুগ্ধবতী হয়। তাহা হইলে আমরাও প্রভূত ধনবান্ হইব। সৰ্ব্বকাল ধরিয়া তৃণ ভক্ষণ কর এবং সর্বত্র গমন করতঃ নির্মল জল পান কর।

৪১। মেঘগর্জনরূপ অন্তরিক্ষচারিণী বাক বৃষ্টি জল সৃজন করতঃ শব্দ করিতেছেন। তিনি কখন একপদী, কখন দ্বিপদী, কথন চতুষ্পদী, কখন অষ্টাপদী, কখন নবপদী হন, এবং কখন সহস্রাক্ষর পরিমিত হইয়া অন্তরীক্ষের উপরিভাগে থাকিয়া শব্দ করেন (৩২)।

৪২। তাঁহার নিকট হইতে মেঘ সকল বর্ষণ করে, তাঁহা হইতে চতুর্দিক আশ্রিত ভূতজাত রক্ষা হয়। তাঁহা হইতে জল উৎপন্ন হয়, জল হইতে সমস্ত জীব প্রাণ ধারণ করে।

৪৩। আমি নাতিদূরে শুষ্ক গোময়সম্ভূত ধূম দেখিলাম। চতুর্দিকে ব্যাপ্ত নিকৃষ্ট ধূমের পর অগ্নিকে দেখিলাম। বীরগণ শুক্লবর্ণ বৃষকে পাক করিতেছেন (৩৩) তাহাদিগের এই অনুষ্ঠানই প্রথম।

৪৪। কেশ বিশিষ্ট তিনজন সম্বৎসরের মধ্যে যথা সময়ে ভূমি পরিদর্শন করে। উহাদিগের মধ্যে একজন পৃথিবীকে কামাইয়া দেন, একজন নিজ কর্মদ্বারা পরিদর্শন করেন, আর একজনের রূপ দৃষ্ট হয় না, কেবল গতি দৃষ্ট হয় (৩৪)।

৪৫। বাক্ চারি প্রকার। মেধাবী ঋত্বিকেরা তাহা জানেন। উহার মধ্যে তিনটী গুহায় নিহত, প্রকাশিত হয় না। চতুর্থ প্রকার বাক মনুষ্যেরা কহিয়া থাকেন।

৪৬। এই আদিত্যকে মেধাবীগণ, ইন্দ্র, মিত্ৰ বরুণ ও অগ্নি বলিয়া থাকেন। ইনি স্বর্গীয়, পক্ষ বিশিষ্ট ও সুন্দর গমনশীল (৩৫)। ইনি এক হইলেও ইহাকে বহু বলিয়া বর্ণনা করে। ইহাকে অগ্নি, যম ও মাতরিশ্বা বলে।

৪৭। সুন্দর গতিবিশিষ্ট জলহারী সূৰ্য্যরশ্মি সকল কৃষ্ণবর্ণ ও নিয়মিতগতি মেঘকে জলপূর্ণ করতঃ দ্যুলোকে গমন করিতেছে। উহারা বৃষ্টির স্থান হইতে নিম্নমুখে আগমন করে, এবং তদনন্তর পৃথিবীকে জলধারা বিশেষরূপে ক্লিন্ন করে।

৪৮। দ্বাদশ পরিধি, এক চক্র ও তিন নাভি। একথা কে জানে? ঐ চক্রে ত্রিশত ষষ্ঠি সংখ্যক চলাচল অর সন্নিবিষ্ট আছে (৩৬)।

৪৯। হে সরস্বতি! তোমার দেহে বর্তমান যে গুণ লোকের সুখের কারণ, যাহাদ্বারা সমস্ত বরণীয় ধন রক্ষা কর, যে গুণ বহুরত্নের আধার ও সমস্ত ধন লাভ করিয়াছে এবং কল্যাণকর, আমাদিগের পানের জন্য এই সময় তাহা প্রকাশ কর।

৫০। দেবগণ যজ্ঞ দ্বারা যজ্ঞ করিয়াছেন, কারণ উহাই প্রথম ধৰ্ম্ম। সেই মাহাত্ম্য আকাশে একত্রিত হয়, যথায় সাধনীয় দেবগণ পূর্ব হইতে আছেন।

৫১। উদক একই প্রকার, কয়েক দিন উপরে গমন করে, কয়েক দিন নিম্নে নামিয়া আসে। প্রীতিকর মেঘগণ ভূমিকে প্রীত করে, এবং অগ্নি দ্যুলোককে প্রীত করে।

৫২। সূৰ্য্যদেব স্বর্গীয়, সুন্দরগতিবিশিষ্ট, গমনশীল, প্রকাণ্ড, জলের গর্ভ সমুৎপাদক, এবং ওষধি সমূহের প্রকাশক। তিনি বৃষ্টি দ্বারা জলাশয়কে তৃপ্ত করেন এবং নদীকে পালন করেন। রক্ষাৰ্থ তাঁহাকে আহ্বান করি।

———–

(টিকাগুলোর ছাপায় অস্পষ্টতা কিছু ভুল থাকতে পারে)

(১) সায়ণ “হোতা” শব্দের আদিত্য অর্থ করিয়াছেন।

(২) “মধ্যম ভ্রাতা” বায়ু। সায়ণ।

(৩) তৃতীয় ভ্রাতা অগ্নি। সায়ণ।

(৪) অর্থাৎ আদিত্যের সপ্তরশ্মি, অথবা অদিতির সপ্ত সন্তান। “অদিতি পুত্রকামেতি প্রস্তুতে মিত্রাবরুণাদিষু অদিতিপুত্রেষু অস্য আদিত্যস্য সপ্তমপুত্রত্বম”। সায়ণ। আবার সায়ণ “বিশপতি” অর্থে পরমেশ্বর করিয়া এই ঋকের দ্বিতীয় এক প্রকার অর্থ করিয়াছেন। তিনি বলেন এই সূক্তের প্রত্যেক ঋকেরই এইরূপ একটি করিয়া আধ্যাত্মিক অর্থ করা যায়।

(৫) সপ্ত ঋতু বা সপ্ত রশ্মি। সায়ণ। সপ্ত রশ্মিই সূর্য্যের সপ্ত অশ্বরূপে বর্ণিত হয়। ৫০ সূক্তের ১০ ঋকের টীকা দেখ।

(৬) সায়ণ “গবাং” অর্থে সপ্তস্বর বা সপ্তপদী করিয়াছেন। কিন্তু গোশব্দ রশ্মি অর্থে বেদে অনেক স্থানে ব্যবহার হইয়াছে।

(৭) এ অংশের মর্ম বুঝিতে পারিলাম না। সায়ণ বলে বৎস সূর্য এবং সপ্ত তন্তু সপ্তপ্রকার সোম যজ্ঞ।

(৮) ৪, ৫ ও ৬ ঋক বিশেষ করিয়া অধ্যয়ন করিলে উপলব্ধি হইবে যে এই সূক্ত রচয়িতা ঋষি আদিত্যের স্তুতি করিতে করিতে “প্রথম জাত” “জন্ম রহিত” সর্ব জগতের সৃষ্টিকর্তার উল্লেখ করিয়াছেন। ষষ্ঠ ঋকের দ্বিতীয় অর্ধ এই যথা, “বি যঃ তন্তস্তু ষট ইমা রজাংসি অজস্য রূপে কিমপি স্মিৎ একং”। এই ঋক রচয়িতা ঋষি এক আদিত্যের চিন্তা হইতে জগতের এক সৃষ্টিকর্তার চিন্তা অনুভব করিতেছিলেন, তাঁহার জ্বলন্ত ভাষায় তাহা প্রতীয়মান হয়। এরূপ চিন্তা দশম মণ্ডলে আরও স্পষ্ট লক্ষিত হয়। ১ম মণ্ডলের ৮২, ১২১ ও ১২৯ সূক্ত দেখ।

(৯) অর্থাৎ বৃষ্টি জল শব্দ করিয়া পড়িল, এবং তিনের যোগে অর্থাৎ মেঘ বায়ু ও কিরণের যোগে, গাভীরূপী পৃথিবী বিশ্বরূপী হইল অর্থাৎ নানা শস্যাজ্জাদিতা হইল। সায়ণ।

(১০) তিন লোক, পৃথিবী অন্তরীক্ষ ও আকাশ, এবং তাহাদের অধিষ্ঠাতা তিন দেব, অগ্নি বায়ু ও সূৰ্য্য। সায়ণ।

(১১) বৎসরের ৩৬০ দিন ও ৩৬০ রাত্রি। সায়ণ। মেষাদি দ্বাদশ রাশিই দ্বাদশ অর। কিন্তু আমাদের বোধ হয় দ্বাদশ মাসকে দ্বাদশ অর বলিয়া বর্ণিত হইয়াছে। রাশি বৈদিক কালে ভারতবর্বে নির্ণীত হয় নাই।

(১২) যদিও ঋতু ছয়, তথাপি হেমন্ত ও শিশির এক বলিয়া পঞ্চঋতু বলা হইয়াছে এবং দ্বাদশ মাস দ্বাদশ রূপ। সায়ণ।

(১৩) পূরীষ অর্থে জল, পূরীষী অর্থে বৃষ্টিকর্তা সূৰ্য। সায়ণ।

(১৪) সপ্তরশ্মিই সপ্তচক্র; ছয় ঋতুই ছয় অর। এই ঋকের শেষাংশে সুর্যের উত্তরায়ণ ও দক্ষিণায়ণ গমন উল্লিখিত হইয়াছে।

(১৫) পঞ্চঋতু। সায়ণ।

(১৬) সায়ণ বলেন ইন্দ্রাদি পঞ্চ লোকপাল এবং ব্রাহ্মণ ক্ষত্রিয়, বৈশ্য শুদ্র ও নিষাদ এই পঞ্চ জাতি। “Perhaps the ten regions of space would be moro appropriate “- Wilson.

(১৭) বারমাসে বৎসর হয় কিন্তু সময়ে সময়ে ১৩ মাসেও বৎসর হইয়া কে। এয়োদশ মাস একমাসেই ঋতু হয় সুতরাং সে একক। এয়োদশ মাস সম্বন্ধে ২৫ সূক্ত ৮ ঋক ও টিকা দেখ।

(১৮) যোবিতের ন্যায় উদকরূপ গর্ভ ধারণ করে বলিয়া স্ত্রী। প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টির জল সেচন করে বলিয়া পুরুষ। সায়ণ।

(১৯) সায়ণ এইরূপ অর্থ করিয়াছেন। যথা সূর্য রশ্মিগণের পিতা এবং রশ্মি বৃষ্টিদান বশতঃ জগতের পিতা, ইত্যাদি।

(২০) ইহার অর্থ বুঝিলাম না। সায়ণ বলেন গাভী অর্থে আহুতি, বৎস অর্থে অগ্নি তিনি আরও বলেন এই ঋকে গো শব্দের আদিত্যরশ্মি এবং বৎস শব্দে যজমান বুঝাইতে পারে।

(২১) উর্ধস্থিত আদিত্য এবং অধঃস্থিত অগ্নি একই। সায়ণ।

(২২) সেই মণ্ডলদ্বয় চন্দ্র ও সূৰ্য, তাহাদিগের কিরণ অধোমুখ ও উর্ধমুখ। সায়ণ।

(২৩) সায়ণ অর্থ করিয়াছেন, দুই পক্ষী জীবাত্মা ও পরমাত্মা। জীবাত্মা কর্মফল ভোগ করে পরমাত্মা কেবল মাত্র অবলোকন করে। দিবারাত্র বা পূর্বোক্ত চন্দ্র সূর্যকেই দুই পক্ষী বলিয়া বর্ণনা করা অসম্ভব নহে।

(২৪) অর্থাৎ আদিত্য আমাকে স্বকীয় মণ্ডলে স্থান দিয়াছেন।

(২৫) সায়ণ পিতা অর্থে পালক সূৰ্য অথবা পরমেশ্বর করিয়াছেন।

(২৬) সায়ণ এই ঋকের আর এক প্রকার অর্থ করিয়াছেন, তাহাতে ধেনু শব্দের অর্থ মেঘ, গোযুথ শব্দের অর্থ বায়ু বা আদিত্য। এঈ উপমা অনুসারে ইহার পরের তিন ঋকে বৎস অর্থে প্রাণী জগৎ। প্রাণীগণ দুগ্ধরূপ বৃষ্টি আকাঙ্খা করে।

(২৭) দেহ ধ্বংস হইলেও জীবাত্মা অমর এই বিশ্বাস এই ঋকে লক্ষিত হইতেছে।

(২৮) নিরুক্তকারেরা মাতা অর্থে অন্তরীক্ষ ও পুত্ৰ অর্থে বৃষ্টি করিয়া এই ঋকের ব্যাখ্যা করিয়াছেন। সায়ণের মতে এ ঋকে মনুষ্য জন্মের কথা বর্ণিত হইয়াছে।

(২৯) অর্থাৎ আকাশ ও পৃথিবীর মধ্যে অন্তরিক্ষ আছে, তথায় পিতা অর্থাৎ দ্যৌঃ বা ইন্দ্র, দুহিতা পৃথিবীর জন্য বৃষ্টি উৎপাদন করেন। সায়ণ।

(৩০) সারণচার্য্য সাংখ্যমতে এই মন্ত্রের ব্যাখ্যা করিয়াছেন।

(৩১) দেহত্রয় ব্যতিরেকে আত্মাকে কেহ জানে না। সায়ণ।

(৩২) মূলে “গৌরী” শব্দ আছে, সায়ণ তাহার অর্থ করিয়াছেন দেবগর্জনরূপ বাক বা শব্দ। কেহ বলেন গৌরী অর্থে ব্ৰহ্মাত্মক বাক্য। যখন কেবল মেঘে অধিষ্ঠান করেন তখন একপদী, যখন মেঘ ও অন্তরীক্ষে অবস্থিতি করেন তখনদ্বিপদী, যখন দিক চতুষ্টয়ে অধিষ্ঠান করেন তখন চতুষ্পদী, এবং যখন চতুর্দিক ও চতুষ্কোণে অবস্থিতি করেন তখন অষ্টাপদী, ইহার সহিত উর্ধদিক মিলিত হইলে নবপদী।

(৩৩) মূলে “উক্ষাণং পৃশ্নিং অপচন্ত বীরাঃ” আছে। সায়ণ “বীরাঃ” অর্থে ঋত্বিকগণ করিয়াছেন, “উক্ষাণং” অর্থে ফল প্রদান সমর্থ, এবং “পৃশ্নি” অর্থে শুক্লবর্ণ অথবা সোম করিয়াছেন।

(৩৪) অগ্নি আদিত্য ও বায়ু এই তিন জন। পায়।

(৩৫) মূলে “সূপর্ণঃ গরুৎমান” আছে। “সুপর্ণঃ সুপতনঃ গরুৎমান গবহবান পক্ষবান বা”। সায়ণ। বিষ্ণুর গরুড়পক্ষী বাহন, এই যে পৌরাণিক কথা আছে, তাহা এইরূপ বৈদিক উপমা হইতে বোধ হয় উৎপন্ন হইয়াছে।

(৩৬) পরিধি দ্বাদশ মাস। চক্র বৎসর। নাভি গ্রীষ্ম, বর্ষা ও হেমন্ত নামক তিন ঋতু। শঙ্কু বৎসরের তিন শত যষ্টি দিবস। সায়ণ।

HYMN CLXIV. Viśvedevas.

1. OF this benignant Priest, with eld grey-coloured, the brother midmost of the three is lightning.
The third is he whose back with oil is sprinkled. Here I behold the Chief with seven male children.
2 Seven to the one-wheeled chariot yoke the Courser; bearing seven names the single Courser draws it.
Three-naved the wheel is, sound and undecaying, whereon are resting all these worlds of being.
3 The seven who on the seven-wheeled car are mounted have horses, seven in tale, who draw them onward.
Seven Sisters utter songs of praise together, in whom the names of the seven Cows are treasured.
4 Who hath beheld him as he sprang to being, seen how the boneless One supports the bony?
Where is the blood of earth, the life, the spirit? Who may approach the man who knows, to ask it?
5 Unripe in mind, in spirit undiscerning, I ask of these the Gods’ established places;
For up above the yearling Calf the sages, to form a web, their own seven threads have woven.
6 I ask, unknowing, those who know, the sages, as one all ignorant for sake of knowledge,
What was that ONE who in the Unborn’s image hath stablished and fixed firm these worlds’ six regions.
7 Let him who knoweth presently declare it, this lovely Bird’s securely founded station.
Forth from his head the Cows draw milk, and, wearing his vesture, with their foot have drunk the water.
8 The Mother gave the Sire his share of Order: with thought, at first, she wedded him in spirit.
She, the coy Dame, was filled with dew prolific: with adoration men approached to praise her.
9 Yoked was the Mother to the boon Cow’s car-pole: in the dank rows of cloud the Infant rested.
Then the Calf lowed, and looked upon the Mother, the Cow who wears all shapes in three directions.
10 Bearing three Mothers and three Fathers, single he stood erect: they never make him weary.
There on the pitch of heaven they speak together in speech all-knowing but not all-impelling.
11 Formed with twelve spokes, by length of time, unweakened, rolls round the heaven this wheel of during Order.
Herein established, joined in pairs together, seven hundred Sons and twenty stand, O Agni.
12 They call him in the farther half of heaven the Sire five-footed, of twelve forms, wealthy in watery store.
These others say that he, God with far-seeing eyes, is mounted on the lower seven-wheeled, six-spoked car.
13 Upon this five-spoked wheel revolving ever all living creatures rest and are dependent.
Its axle, heavy-laden, is not heated: the nave from ancient time remains unbroken.
14 The wheel revolves, unwasting, with its felly: ten draw it, yoked to the far-stretching car-pole.
The Sun’s eye moves encompassed by the region: on him dependent rest all living creatures.
15 Of the co-born they call the seventh single-born; the six twin pairs are called Ṛṣis, Children of Gods.
Their good gifts sought of men are ranged in order due, and various in their form move for the Lord who guides.
16 They told me these were males, though truly females: he who hath eyes sees this, the blind discerns not.
The son who is a sage hath comprehended: who knows this rightly is his father’s father.
17 Beneath the upper realm, above this lower, bearing her calf at foot the Cow hath risen.
Witherward, to what place hath she departed? Where calves she? Not amid this herd of cattle.
18 Who, that the father of this Calf discerneth beneath the upper realm, above the lower,
Showing himself a sage, may here declare it? Whence hath the Godlike spirit had its rising?
19 Those that come hitherward they call departing, those that depart they call directed hither.
And what so ye have made, Indra and Soma, steeds bear as ’twere yoked to the region’s car-pole.
20 Two Birds with fair wings, knit with bonds of friendship, in the same sheltering tree have found a refuge.
One of the twain eats the sweet Fig-tree’s fruitage; the other eating not regardeth only.
21 Where those fine Birds hymn ceaselessly their portion of life eternal, and the sacred synods,
There is the Universe’s mighty Keeper, who, wise, hath entered into me the simple.
22 The, tree whereon the fine Birds eat the sweetness, where they all rest and procreate their offspring,—
Upon its top they say the fig is luscious: none gaineth it who knoweth not the Father.
23 How on the Gāyatrī the Gāyatrī was based, how from the Triṣṭup they fashioned the Triṣṭup forth,
How on the Jagatī was based the Jagatī,—they who know this have won themselves immortal life.
24 With Gāyatrī he measures out the praise-song, Sāma with praise-song, triplet with the Triṣṭup.
The triplet with the two or four-foot measure, and with the syllable they form seven metres.
25 With Jagatī the flood in heaven he stablished, and saw the Sun in the Rathantara Sāman.
Gāyatrī hath, they say, three brands for kindling: hence it excels in majesty and vigour.
26 I invocate the milch-cow good for milking so that the milker, deft of hand, may drain her.
May Savitar give goodliest stimulation. The caldron is made hot; I will proclaim it.
27 She, lady of all treasure, is come hither yearning in spirit for her calf and lowing.
May this cow yield her milk for both the Aśvins, and may she prosper to our high advantage.
28 The cow hath lowed after her blinking youngling; she licks his forehead, as she lows, to form it.
His mouth she fondly calls to her warm udder, and suckles him with milk while gently lowing.
29 He also snorts, by whom encompassed round the Cow laws as she clings unto the shedder of the rain.
She with her shrilling cries hath humbled mortal man, and, turned to lightning, hath stripped off her covering robe.
30 That which hath breath and speed and life and motion lies firmly stablished in the midst of houses.
Living, by offerings to the Dead he moveth Immortal One, the brother of the mortal.
31 I saw the Herdsman, him who never stumbles, approaching by his pathways and departing.
He, clothed with gathered and diffusive splendour, within the worlds continually travels.
32 He who hath made him cloth not comprehend him: from him who saw him surely is he hidden.
He, yet enveloped in his Mother’s bosom, source of much life, hath sunk into destruction.
33 Dyaus is my Father, my begetter: kinship is here. This great earth is my kin and Mother.
Between the wide-spread world-halves is the birth-place: the Father laid the Daughter’s germ within it.
34 I ask thee of the earth’s extremest limit, where is the centre of the world, I ask thee.
I ask thee of the Stallion’s seed prolific, I ask of highest heaven where Speech abideth.
35 This altar is the earth’s extremest limit; this sacrifice of ours is the world’s centre.
The Stallion’s seed prolific is the Soma; this Brahman highest heaven where Speech abideth.
36 Seven germs unripened yet are heaven’s prolific seed: their functions they maintain by Viṣṇu’s ordinance.
Endued with wisdom through intelligence and thought, they compass us about present on every side.
37 What thing I truly am I know not clearly: mysterious, fettered in my mind I wander.
When the first-born of holy Law approached me, then of this speech I first obtain a portion.
38 Back, forward goes he, grasped by strength inherent, the Immortal born the brother of the mortal
Ceaseless they move in opposite directions: men mark the one, and fail to mark the other.
39 Upon what syllable of holy praise-song, as twere their highest heaven, the Gods repose them,—
Who knows not this, what will he do with praise-song? But they who know it well sit here assembled.
40 Fortunate mayst thou be with goodly pasture, and may we also be exceeding wealthy.
Feed on the grass, O Cow, at every season, and coming hitherward drink limpid water.
41 Forming the water-floods, the buffalo hath lowed, one-footed or two-footed or four-footed, she,
Who hath become eight-footed or hath got nine feet, the thousand-syllabled in the sublimest heaven.
42 From her descend in streams the seas of water; thereby the world’s four regions have their being,
Thence flows the imperishable flood and thence the universe hath life.
43 I saw from far away the smoke of fuel with spires that rose on high o’er that beneath it.
The Mighty Men have dressed the spotted bullock. These were the customs in the days aforetime,
44 Three with long tresses show in ordered season. One of them sheareth when the year is ended.
One with his powers the universe regardeth: Of one, the sweep is seen, but his figure.
45 Speech hath been measured out in four divisions, the Brahmans who have understanding know them.
Three kept in close concealment cause no motion; of speech, men speak only the fourth division.
46 They call him Indra, Mitra, Varuṇa, Agni, and he is heavenly nobly-winged Garutmān.
To what is One, sages give many a title they call it Agni, Yama, Mātariśvan.
47 Dark the descent: the birds are golden-coloured; up to the heaven they fly robed in the waters.
Again descend they from the seat of Order, and all the earth is moistened with their fatness.
48 Twelve are the fellies, and the wheel is single; three are the naves. What man hath understood it?
Therein are set together spokes three hundred and sixty, which in nowise can be loosened.
49 That breast of thine exhaustless, spring of pleasure, wherewith thou feedest all things that are choicest,
Wealth-giver, treasure. finder, free bestower,—bring that, Sarasvatī, that we may drain it.
50 By means of sacrifice the Gods accomplished their sacrifice: these were the earliest ordinances.
These Mighty Ones attained the height of heaven, there where the Sādhyas, Gods of old, are dwelling.
51 Uniform, with the passing days, this water mounts and fails again.
The tempest-clouds give life to earth, and fires re-animate the heaven.
52 The Bird Celestial, vast with noble pinion, the lovely germ of plants, the germ of waters,
Him who delighteth us with rain in season, Sarasvān I invoke that he may help us.

Rig Veda Book 1 Hymn 164
अस्य वामस्य पलितस्य होतुस्तस्य भराता मध्यमो अस्त्यश्नः |
तर्तीयो भराता घर्तप्र्ष्ठो अस्यात्रापश्यं विश्पतिं सप्तपुत्रम ||
सप्त युञ्जन्ति रथमेकचक्रमेको अश्वो वहति सप्तनामा |
तरिनाभि चक्रमजरमनर्वं यत्रेमा विश्वा भुवनाधितस्थुः ||
इमं रथमधि ये सप्त तस्थुः सप्तचक्रं सप्त वहन्त्यश्वाः |
सप्त सवसारो अभि सं नवन्ते यत्र गवां निहिता सप्त नाम ||
को ददर्श परथमं जायमानमस्थन्वन्तं यदनस्था बिभर्ति |
भूम्या असुरस्र्गात्मा कव सवित को विद्वांसमुप गात परष्टुमेतत ||
पाकः पर्छामि मनसाविजानन देवानामेना निहिता पदानि |
वत्से बष्कये.अधि सप्त तन्तून वि तत्निरे कवय ओतवाु ||
अचिकित्वाञ्चिकितुषश्चिदत्र कवीन पर्छामि विद्मने न विद्वान |
वि यस्तस्तम्भ षळ इमा रजांस्यजस्य रूपे किमपि सविदेकम ||
इह बरवीतु य ईमङग वेदास्य वामस्य निहितं पदं वेः |
शीर्ष्णः कषीरं दुह्रते गावो अस्य वव्रिं वसाना उदकं पदापुः ||
माता पितरं रत आ बभाज धीत्यग्रे मनसा सं हि जग्मे |
सा बीभत्सुर्गर्भरसा निविद्धा नमस्वन्त इदुपवाकमीयुः ||
युक्ता मातासीद धुरि दक्षिणाया अतिष्ठद गर्भो वर्जनीष्वन्तः |
अमीमेद वत्सो अनु गामपश्यद विश्वरूप्यं तरिषु योजनेषु ||
तिस्रो मातॄस्त्रीन पितॄन बिभ्रदेक ऊर्ध्वस्तस्थौ नेमव गलापयन्ति |
मन्त्रयन्ते दिवो अमुष्य पर्ष्ठे विश्वविदं वाचमविश्वमिन्वाम ||
दवादशारं नहि तज्जराय वर्वर्ति चक्रं परि दयां रतस्य |
आ पुत्रा अग्ने मिथुनासो अत्र सप्त शतानि विंशतिश्च तस्थुः ||
पञ्चपादं पितरं दवादशाक्र्तिं दिव आहुः परे अर्धे पुरीषिणम |
अथेमे अन्य उपरे विचक्षणं सप्तचक्रे षळर आहुरर्पितम ||
पञ्चारे चक्रे परिवर्तमाने तस्मिन्ना तस्थुर्भुवनानि विश्वा |
तस्य नाक्षस्तप्यते भूरिभारः सनादेव न शीर्यते सनाभिः ||
सनेमि चक्रमजरं वि वाव्र्त उत्तानायां दश युक्ता वहन्ति |
सूर्यस्य चक्षू रजसैत्याव्र्तं तस्मिन्नार्पिता भुवनानि विश्वा ||
साकंजानां सप्तथमहुरेकजं षळ इद यमा रषयो देवजा इति |
तेषामिष्टानि विहितानि धामश सथात्रे रेजन्ते विक्र्तानि रूपशः ||
सत्रियः सतीस्तानु मे पुंस आहुः पश्यदक्षण्वान नवि चेतदन्धः |
कविर्यः पुत्रः स ईमा चिकेत यस्ता विजानात स पितुष पितासत ||
अवः परेण पर एनावरेण पदा वत्सं बिभ्रती गौरुदस्थात |
सा कद्रीची कं सविदर्धं परागात कव सवित सूते नहि यूथे अन्तः ||
अवः परेण पितरं यो अस्यानुवेद पर एनावरेण |
कवीयमानः क इह पर वोचद देवं मनः कुतो अधि पराजातम ||
ये अर्वाञ्चस्तानु पराच आहुर्ये पराञ्चस्तानु अर्वाच आहुः |
इन्द्रश्च या चक्रथुः सोम तानि धुरा न युक्ता रजसो वहन्ति ||
दवा सुपर्णा सयुजा सखाया समानं वर्क्षं परि षस्वजाते |
तयोरन्यः पिप्पलं सवाद्वत्त्यनश्नन्नन्यो अभि चाकशीति ||
यत्रा सुपर्णा अम्र्तस्य भागमनिमेषं विदथाभिस्वरन्ति |
इनो विश्वस्य भुवनस्य गोपाः स मा धीरः पाकमत्रा विवेश ||
यस्मिन वर्क्षे मध्वदः सुपर्णा निविशन्ते सुवते चाधि विश्वे |
तस्येदाहुः पिप्पलं सवाद्वग्रे तन नोन नशद यःपितरं न वेद ||
यद गायत्रे अधि गायत्रमाहितं तरैष्टुभाद वा तरैष्टुभं निरतक्षत |
यद वा जगज्जगत्याहितं पदं य इत तद विदुस्ते अम्र्तत्वमानशुः ||
गायत्रेण परति मिमीते अर्कमर्केण साम तरैष्टुभेन वाकम |
वाकेन वाकं दविपदा चतुष्पदाक्षरेण मिमते सप्त वाणीः ||
जगता सिन्धुं दिव्यस्थभायद रथन्तरे सूर्यं पर्यपश्यत |
गायत्रस्य समिधस्तिस्र आहुस्ततो मह्ना पर रिरिचे महित्वा ||
उप हवये सुदुघां धेनुमेतां सुहस्तो गोधुगुत दोहदेनाम |
शरेष्ठं सवं सविता साविषन नो.अभीद्धो घर्मस्तदु षु पर वोचम ||
हिङकर्ण्वती वसुपत्नी वसूनां वत्समिछन्ती मनसाभ्यागात |
दुहामश्विभ्यां पयो अघ्न्येयं स वर्धतां महते सौभगाय ||
गौरमीमेदनु वत्सं मिषन्तं मूर्धानं हिंं अक्र्णोन मातवा उ |
सर्क्वाणं घर्ममभि वावशाना मिमाति मायुं पयते पयोभिः ||
अयं स शिङकते येन गौरभीव्र्ता मिमाति मायुं धवसनावधि शरिता |
सा चित्तिभिर्नि हि चकार मर्त्यं विद्युद भवन्ती परति वव्रिमौहत ||
अनच्छये तुरगातु जीवमेजद धरुवं मध्य आ पस्त्यानाम |
जीवो मर्तस्य चरति सवधाभिरमर्त्यो मर्त्येना सयोनिः ||
अपश्यं गोपामनिपद्यमानमा च परा च पथिभिश्चरन्तम |
स सध्रीचीः स विशूचीर्वसान आ वरीवर्ति भुवनेष्वन्तः ||
य ईं चकार न सो अस्य वेद य ईं ददर्श हिरुगिन नुतस्मात |
स मातुर्योना परिवीतो अन्तर्बहुप्रजा निर्र्तिमा विवेश ||
दयौर्मे पिता जनिता नाभिरत्र बन्धुर्मे माता पर्थिवीमहीयम |
उत्तानयोश्चम्वोर्योनिरन्तरत्रा पिता दुहितुर्गर्भमाधात ||
पर्छामि तवा परमन्तं पर्थिव्याः पर्छामि यत्र भुवनस्यनाभिः |
पर्छामि तवा वर्ष्णो अश्वस्य रेतः पर्छामि वाचः परमं वयोम ||
इयं वेदिः परो अन्तः पर्थिव्या अयं यज्ञो भुवनस्य नाभिः |
अयं सोमो वर्ष्णो अश्वस्य रेतो बरह्मायं वाचःपरमं वयोम ||
सप्तार्धगर्भा भुवनस्य रेतो विष्णोस्तिष्ठन्ति परदिशाविधर्मणि |
ते धीतिभिर्मनसा ते विपश्चितः परिभुवः परि भवन्ति विश्वतः ||
अन वि जानामि यदिवेदमस्मि निण्यः संनद्धो मनसा चरामि |
यदा मागन परथमजा रतस्यादिद व[चो अश्नुवे भागमस्याः ||
अपां परां एति सवधया गर्भीतो.अमर्त्यो मर्त्येना सयोनिः |
ता शश्वन्ता विषूचीना वियन्ता नयन्यं चिक्युर्न निचिक्युरन्यम ||
रचो अक्षरे परमे वयोमन यस्मिन देवा अधि विश्वे निषेदुः |
यस्तन न वेद किं रचा करिष्यति य इत तद विदुस्त इमे समासते ||
सूयवसाद भगवती हि भूया अथो वयं भगवन्तः सयाम |
अद्धि तर्णमघ्न्ये विश्वदानीं पिब शुद्धमुदकमाचरन्ती ||
गौरीर्मिमाय सलिलानि तक्षत्येकपदी दविपदी सा चतुष्पदी |
अष्टापदी नवपदी बभूवुषी सहस्राक्षरा परमे वयोमन ||
तस्याः समुद्रा अधि वि कषरन्ति तेन जीवन्ति परदिशश्चतस्रः |
ततः कषरत्यक्षरं तद विश्वमुप जीवति ||
शकमयं धूममारादपश्यं विषूवता पर एनावरेण |
उक्षाणं पर्श्निमपचन्त वीरास्तानि धर्माणि परथमान्यासन ||
तरयः केशिन रतुथा वि चक्षते संवत्सरे वपत एक एषाम |
विश्वमेको अभि चष्टे शचीभिर्ध्राजिरेकस्य दद्र्शेन रूपम ||
चत्वारि वाक परिमिता पदानि तानि विदुर्ब्राह्मणा ये मनीषिणः |
गुहा तरीणि निहिता नेङगयन्ति तुरीयं वाचो मनुष्या वदन्ति ||
इन्द्रं मित्रं वरुणमग्निमाहुरथो दिव्यः स सुपर्णो गरुत्मान |
एकं सद विप्रा बहुधा वदन्त्यग्निं यमं मातरिश्वानमाहुः ||
कर्ष्णं नियानं हरयः सुपर्णा अपो वसाना दिवमुत पतन्ति |
त आवव्र्त्रन सदनाद रतस्यादिद घर्तेन पर्थिवी वयुद्यते ||
दवादश परधयश्चक्रमेकं तरीणि नभ्यानि क उ तच्चिकेत |
तस्मिन साकं तरिशता न शङकवो.अर्पिताः षष्टिर्न चलाचलासः ||
यस्ते सतनः शशयो यो मयोभूर्येन विश्वा पुष्यसि वार्याणि |
यो रत्नधा वसुविद यः सुदत्रः सरस्वति तमिह धातवे कः ||
यज्ञेन यज्ञमयजन्त देवास्तनि धर्माणि परथमान्यासन |
ते ह नाकं महिमानः सचन्त यत्र पूर्वे साध्याः सन्ति देवाः ||
समानमेतदुदकमुच्चैत्यव चाहभिः |
भूमिं पर्जन्या जिन्वन्ति दिवं जिन्वन्त्यग्नयः ||
दिव्यं सुपर्णं वायसं बर्हन्तमपां गर्भं दर्शतमोषधीनाम |
अभीपतो वर्ष्टिभिस्तर्पयन्तं सरस्वन्तमवसे जोहवीमि ||

asya vāmasya palitasya hotustasya bhrātā madhyamo astyaśnaḥ |
tṛtīyo bhrātā ghṛtapṛṣṭho asyātrāpaśyaṃ viśpatiṃ saptaputram ||
sapta yuñjanti rathamekacakrameko aśvo vahati saptanāmā |
trinābhi cakramajaramanarvaṃ yatremā viśvā bhuvanādhitasthuḥ ||
imaṃ rathamadhi ye sapta tasthuḥ saptacakraṃ sapta vahantyaśvāḥ |
sapta svasāro abhi saṃ navante yatra ghavāṃ nihitā sapta nāma ||
ko dadarśa prathamaṃ jāyamānamasthanvantaṃ yadanasthā bibharti |
bhūmyā asurasṛghātmā kva svit ko vidvāṃsamupa ghāt praṣṭumetat ||
pākaḥ pṛchāmi manasāvijānan devānāmenā nihitā padāni |
vatse baṣkaye.adhi sapta tantūn vi tatnire kavaya otavāu ||
acikitvāñcikituṣaścidatra kavīn pṛchāmi vidmane na vidvān |
vi yastastambha ṣaḷ imā rajāṃsyajasya rūpe kimapi svidekam ||
iha bravītu ya īmaṅgha vedāsya vāmasya nihitaṃ padaṃ veḥ |
śīrṣṇaḥ kṣīraṃ duhrate ghāvo asya vavriṃ vasānā udakaṃ padāpuḥ ||
mātā pitaraṃ ṛta ā babhāja dhītyaghre manasā saṃ hi jaghme |
sā bībhatsurgharbharasā nividdhā namasvanta idupavākamīyuḥ ||
yuktā mātāsīd dhuri dakṣiṇāyā atiṣṭhad gharbho vṛjanīṣvantaḥ |
amīmed vatso anu ghāmapaśyad viśvarūpyaṃ triṣu yojaneṣu ||
tisro mātṝstrīn pitṝn bibhradeka ūrdhvastasthau nemava ghlāpayanti |
mantrayante divo amuṣya pṛṣṭhe viśvavidaṃ vācamaviśvaminvām ||
dvādaśāraṃ nahi tajjarāya varvarti cakraṃ pari dyāṃ ṛtasya |
ā putrā aghne mithunāso atra sapta śatāni viṃśatiśca tasthuḥ ||
pañcapādaṃ pitaraṃ dvādaśākṛtiṃ diva āhuḥ pare ardhe purīṣiṇam |
atheme anya upare vicakṣaṇaṃ saptacakre ṣaḷara āhurarpitam ||
pañcāre cakre parivartamāne tasminnā tasthurbhuvanāni viśvā |
tasya nākṣastapyate bhūribhāraḥ sanādeva na śīryate sanābhiḥ ||
sanemi cakramajaraṃ vi vāvṛta uttānāyāṃ daśa yuktā vahanti |
sūryasya cakṣū rajasaityāvṛtaṃ tasminnārpitā bhuvanāni viśvā ||
sākaṃjānāṃ saptathamahurekajaṃ ṣaḷ id yamā ṛṣayo devajā iti |
teṣāmiṣṭāni vihitāni dhāmaśa sthātre rejante vikṛtāni rūpaśaḥ ||
striyaḥ satīstānu me puṃsa āhuḥ paśyadakṣaṇvān navi cetadandhaḥ |
kaviryaḥ putraḥ sa īmā ciketa yastā vijānāt sa pituṣ pitāsat ||
avaḥ pareṇa para enāvareṇa padā vatsaṃ bibhratī ghaurudasthāt |
sā kadrīcī kaṃ svidardhaṃ parāghāt kva svit sūte nahi yūthe antaḥ ||
avaḥ pareṇa pitaraṃ yo asyānuveda para enāvareṇa |
kavīyamānaḥ ka iha pra vocad devaṃ manaḥ kuto adhi prājātam ||
ye arvāñcastānu parāca āhurye parāñcastānu arvāca āhuḥ |
indraśca yā cakrathuḥ soma tāni dhurā na yuktā rajaso vahanti ||
dvā suparṇā sayujā sakhāyā samānaṃ vṛkṣaṃ pari ṣasvajāte |
tayoranyaḥ pippalaṃ svādvattyanaśnannanyo abhi cākaśīti ||
yatrā suparṇā amṛtasya bhāghamanimeṣaṃ vidathābhisvaranti |
ino viśvasya bhuvanasya ghopāḥ sa mā dhīraḥ pākamatrā viveśa ||
yasmin vṛkṣe madhvadaḥ suparṇā niviśante suvate cādhi viśve |
tasyedāhuḥ pippalaṃ svādvaghre tan non naśad yaḥpitaraṃ na veda ||
yad ghāyatre adhi ghāyatramāhitaṃ traiṣṭubhād vā traiṣṭubhaṃ niratakṣata |
yad vā jaghajjaghatyāhitaṃ padaṃ ya it tad viduste amṛtatvamānaśuḥ ||
ghāyatreṇa prati mimīte arkamarkeṇa sāma traiṣṭubhena vākam |
vākena vākaṃ dvipadā catuṣpadākṣareṇa mimate sapta vāṇīḥ ||
jaghatā sindhuṃ divyasthabhāyad rathantare sūryaṃ paryapaśyat |
ghāyatrasya samidhastisra āhustato mahnā pra ririce mahitvā ||
upa hvaye sudughāṃ dhenumetāṃ suhasto ghodhughuta dohadenām |
śreṣṭhaṃ savaṃ savitā sāviṣan no.abhīddho gharmastadu ṣu pra vocam ||
hiṅkṛṇvatī vasupatnī vasūnāṃ vatsamichantī manasābhyāghāt |
duhāmaśvibhyāṃ payo aghnyeyaṃ sa vardhatāṃ mahate saubhaghāya ||
ghauramīmedanu vatsaṃ miṣantaṃ mūrdhānaṃ hiṃṃ akṛṇon mātavā u |
sṛkvāṇaṃ gharmamabhi vāvaśānā mimāti māyuṃ payate payobhiḥ ||
ayaṃ sa śiṅkte yena ghaurabhīvṛtā mimāti māyuṃ dhvasanāvadhi śritā |
sā cittibhirni hi cakāra martyaṃ vidyud bhavantī prati vavrimauhata ||
anacchaye turaghātu jīvamejad dhruvaṃ madhya ā pastyānām |
jīvo mṛtasya carati svadhābhiramartyo martyenā sayoniḥ ||
apaśyaṃ ghopāmanipadyamānamā ca parā ca pathibhiścarantam |
sa sadhrīcīḥ sa viśūcīrvasāna ā varīvarti bhuvaneṣvantaḥ ||
ya īṃ cakāra na so asya veda ya īṃ dadarśa hirughin nutasmāt |
sa māturyonā parivīto antarbahuprajā nirṛtimā viveśa ||
dyaurme pitā janitā nābhiratra bandhurme mātā pṛthivīmahīyam |
uttānayoścamvoryonirantaratrā pitā duhiturgharbhamādhāt ||
pṛchāmi tvā paramantaṃ pṛthivyāḥ pṛchāmi yatra bhuvanasyanābhiḥ |
pṛchāmi tvā vṛṣṇo aśvasya retaḥ pṛchāmi vācaḥ paramaṃ vyoma ||
iyaṃ vediḥ paro antaḥ pṛthivyā ayaṃ yajño bhuvanasya nābhiḥ |
ayaṃ somo vṛṣṇo aśvasya reto brahmāyaṃ vācaḥparamaṃ vyoma ||
saptārdhagharbhā bhuvanasya reto viṣṇostiṣṭhanti pradiśāvidharmaṇi |
te dhītibhirmanasā te vipaścitaḥ paribhuvaḥ pari bhavanti viśvataḥ ||
an vi jānāmi yadivedamasmi niṇyaḥ saṃnaddho manasā carāmi |
yadā māghan prathamajā ṛtasyādid va[co aśnuve bhāghamasyāḥ ||
apāṃ prāṃ eti svadhayā ghṛbhīto.amartyo martyenā sayoniḥ |
tā śaśvantā viṣūcīnā viyantā nyanyaṃ cikyurna nicikyuranyam ||
ṛco akṣare parame vyoman yasmin devā adhi viśve niṣeduḥ |
yastan na veda kiṃ ṛcā kariṣyati ya it tad vidusta ime samāsate ||
sūyavasād bhaghavatī hi bhūyā atho vayaṃ bhaghavantaḥ syāma |
addhi tṛṇamaghnye viśvadānīṃ piba śuddhamudakamācarantī ||
ghaurīrmimāya salilāni takṣatyekapadī dvipadī sā catuṣpadī |
aṣṭāpadī navapadī babhūvuṣī sahasrākṣarā parame vyoman ||
tasyāḥ samudrā adhi vi kṣaranti tena jīvanti pradiśaścatasraḥ |
tataḥ kṣaratyakṣaraṃ tad viśvamupa jīvati ||
śakamayaṃ dhūmamārādapaśyaṃ viṣūvatā para enāvareṇa |
ukṣāṇaṃ pṛśnimapacanta vīrāstāni dharmāṇi prathamānyāsan ||
trayaḥ keśina ṛtuthā vi cakṣate saṃvatsare vapata eka eṣām |
viśvameko abhi caṣṭe śacībhirdhrājirekasya dadṛśena rūpam ||
catvāri vāk parimitā padāni tāni vidurbrāhmaṇā ye manīṣiṇaḥ |
ghuhā trīṇi nihitā neṅghayanti turīyaṃ vāco manuṣyā vadanti ||
indraṃ mitraṃ varuṇamaghnimāhuratho divyaḥ sa suparṇo gharutmān |
ekaṃ sad viprā bahudhā vadantyaghniṃ yamaṃ mātariśvānamāhuḥ ||
kṛṣṇaṃ niyānaṃ harayaḥ suparṇā apo vasānā divamut patanti |
ta āvavṛtran sadanād ṛtasyādid ghṛtena pṛthivī vyudyate ||
dvādaśa pradhayaścakramekaṃ trīṇi nabhyāni ka u tacciketa |
tasmin sākaṃ triśatā na śaṅkavo.arpitāḥ ṣaṣṭirna calācalāsaḥ ||
yaste stanaḥ śaśayo yo mayobhūryena viśvā puṣyasi vāryāṇi |
yo ratnadhā vasuvid yaḥ sudatraḥ sarasvati tamiha dhātave kaḥ ||
yajñena yajñamayajanta devāstani dharmāṇi prathamānyāsan |
te ha nākaṃ mahimānaḥ sacanta yatra pūrve sādhyāḥ santi devāḥ ||
samānametadudakamuccaityava cāhabhiḥ |
bhūmiṃ parjanyā jinvanti divaṃ jinvantyaghnayaḥ ||
divyaṃ suparṇaṃ vāyasaṃ bṛhantamapāṃ gharbhaṃ darśatamoṣadhīnām |
abhīpato vṛṣṭibhistarpayantaṃ sarasvantamavase johavīmi ||