ঋগ্বেদ ০১।০৬৪

৬৪ সুক্ত।।

অনুবাদঃ
১। হে নোধা! বর্ষণকারী, শোভনযজ্ঞ ও ফলসাধক মরুৎগণের উদ্দেশে সুন্দর স্তোত্র প্রেরণ কর। যে বাক্যদ্বারা বৃষ্টিধারার ন্যায় যজ্ঞস্থলে দেবগণকে অভিমুখ করা যায়, আমি ধীর ও কৃতাঞ্জলি হয়ে মনের সাথে সে বাক্যসমূহ প্রয়োগ করি।
২। মরুৎগণ অন্তরীক্ষ হতে উৎপন্ন হয়েছেন; তারা দর্শনীয়,পৌরুষসম্পন্ন এবং রুদ্রের পুত্র; তারা শত্রুবিজয়ী, পাপরহিত সকলের শোধক, সূর্যের ন্যায় দীপ্ত, সত্ত্বসমূহের ন্যায় বলপরাক্রমশালী, বৃষ্টিবিন্দুযুক্ত ও ঘোররূপ।
৩। রুদ্রের পুত্রগণ যুবা ও জরারহিত এবং যারা দেবগণকে হব্য দেন না (১) তাদের হন্তা; তারা অপ্রতিহতগতি এবং পর্বতের ন্যায় দৃঢ়াঙ্গ। তারা স্তোতৃগণকে অভীষ্ট দিতে ইচ্ছা করেন। পৃথিবীর ও দিব্যলোকের সমস্ত বস্তু দৃঢ় হলেও মরুৎগণ স্বকীয় বলে তা প্রচলিত করেন।
৪। শোভার নিমিত্ত মরুৎগণ নানাবিধ অলঙ্কার দ্বারা স্বশরীর অলঙ্কৃত করেন, শোভার নিমিত্ত বক্ষে সুন্দর হার ধারণ করেন এবং অংশ দেশে আয়ুধসমূহ ধারণ করেন। নেতা মরুৎগণ অন্তরীক্ষ হতে স্বকীয় বলের সাথে প্রাদুর্ভূত হয়েছেন।
৫। স্তোতৃগণকে ধনাধিপতি করে, মেঘাদিকে কম্পিত করে, হিংসককে বিনাশ করে মরুৎগণ স্বকীয় বলে বায়ু ও বিদ্যুৎ সৃষ্টি করেন; পরে মরুৎগণ সকলদিকে গমন করে ও সকলকে কম্পিত করে দ্যুলোকের উধঃঅর্থাৎ মেঘ দোহন করেন এবং জল দ্বারা তুমি সিঞ্চন করেন।
৬। যেরূপ ঋত্বিকগণ যজ্ঞে ঘৃত সিঞ্চন করেন; তারা অশ্বের ন্যায় বেগবান মেঘকে বর্ষণের নিমিত্ত বিনীত করেন এবং গর্জনকারী ও অক্ষয় মেঘকে দোহন করেন।
৭। হে মরুৎ! তোমরা মহৎ, প্রাজ্ঞ, সুন্দর দীপ্তিসম্পন্ন পর্বতের ন্যায় বলবান, এবং শীঘ্রগতি; তোমরা করযুক্ত গজের ন্যায় বন ভক্ষণ কর, যেহেতু তোমরা অরুণ বর্ণ শিখায় প্রচন্ড বল ধারণ করেছ।
৮। প্রকৃষ্ট জ্ঞানসম্পন্ন মরুৎগণ সিংহের ন্যায় নিনাদ করেন; সর্বজ্ঞ মরুৎগণ হরিণের ন্যায় সুন্দর; তারা শত্রুর বিনাশকারী, স্তোতার প্রীতিকারী এবং অহির ন্যায় ক্রোধযুক্ত এরূপ মরুৎগণ তাদের বাহন মৃগের সাথে (২) এবং আয়ুধের সঙ্গে শত্রুপীড়িত যজমানদের রক্ষা করতে যুগপৎ আসছেন।
৯। হে দল বদ্ধ মানুষের হিতকারী এবং শৌর্যশালী মরুৎগণ! তোমরা বলদ্বারা বিনাশক্ষম কোপযুক্ত হয়ে আকাশ ও পৃথিবী শব্দপূর্ণ কর। হে মরুৎগণ! তোমাদের তেজ নির্মল রূপের ন্যায় অথবা দর্শনীয় বিদ্যুতের ন্যায় রথের সারথি স্থানে অবস্থিতি করে।
১০। সর্বজ্ঞ, ধনাধিপতি, বলযুক্ত, মহৎ, শত্রুবিনাশকারী, অনন্তশক্তিধারী, বৃহৎ খাদ্যযুক্ত, নেতা মরুৎগণ বাহুতে ইষু ধারণ করেন।
১১। বৃষ্টি বর্ধনকারী মরুৎগণ সুবর্ণময় রথচক্র দ্বারা পথিস্থিত মেঘ সকলকে স্থান হতে উত্তোলিত করেন; তারা যজ্ঞবান দেবতাদের যজ্ঞস্থলে গমন করেন, স্বয়ংই শত্রুদের আক্রমণ করেন; নিশ্চল পদার্থ সঞ্চালন করেন; অন্যের অসাধ্য দ্রব্য এবং দীপ্তিমান আয়ুধ ধারণ করেন।
১২। শত্রুক্ষয়কারী, সকল বস্তুর শোধক, বৃষ্টিপ্রদ এবং সর্বদর্শী রুদ্রের পুত্র মরুৎগণকে আমরা স্তোত্র দ্বারা স্তুতি করি। ধুলিপ্রেরক ক্ষমতাশালী, ঋজীষ সোমপায়ী এবং অভীষ্টবর্ষী মরুৎগণের নিকট ধনের জন্য গমন কর।
১৩। হে মরুৎগণ! তোমরা যাকে আশ্রয় প্রদান করতঃ রক্ষা কর, সে পুরুষ বলে সকলকে অতিক্রম করে; সে অশ্ব দ্বারা অন্ন ও মানুষ দ্বারা ধন প্রাপ্ত হয়; সে সুন্দর যজ্ঞ করে ও ঐশ্বর্যশালী হয়।
১৪। হে মরুৎগণ! তোমরা যজমানদের সর্বকর্মকুশল, সংগ্রামে অজেয়, দীপ্তিমান, শত্রুবিনাশকারী, বলবান, প্রশংসাভাজন এবং সর্বজ্ঞ পুত্র প্রদান কর। এরূপ পুত্র এ পৌত্রকে আমরা শত বৎসর পোষিত করি।
১৫। হে মরুৎগণ! আমাদের স্থায়ী, বীর্যযুক্ত ও শত্রুবিজয়ী ধন দাও। এরূপ শতসহস্র ধনযুক্ত হলে আমাদের রক্ষার নিমিত্ত যারা কর্মের দ্বারা ধন প্রাপ্ত হয়েছেন এরূপ মরুৎগণ আসুন।

টীকাঃ
১। অভোগ্ধনঃ শব্দের অর্থ যে দেবান, হবির্ভির্ন ভোজয়ন্তি তেষাং হন্তারঃ। সায়ণ। কিন্তু আচার্য মক্ষমূলর এ রূপ লিখেছেন Abhog, not nurturing is a name of the rainless cloud.২। পুষতীভিঃ অর্থ মরুৎগণের বাহন বিচিত্রকায় হরিণরূপ মেঘ। পৃষত্য ইতি মরুতাং বাহনস্য আখ্যা। পূষতঃ শ্বেতবিন্দ্বঙ্কিতা মৃগা ইতি ঐতিহাসিকাঃ। নানাবর্ণা মেঘমালা ইতি নৈরুক্তাঃ। সায়ণ।

HYMN LXIV. Maruts.

1. BRING for the manly host, wise and majestical, O Nodhas, for the Maruts bring thou a pure gift.
I deck my songs as one deft-handed, wise in mind prepares the water that hath power in solemn rites.
2 They spring to birth, the lofty Ones, the Bulls of Heaven, divine, the youths of Rudra, free from spot and stain;
The purifiers, shining brightly even as suns, awful of form like giants, scattering rain-drops down.
3 Young Rudras, demon-slayers, never growing old, they have waxed, even as mountains, irresistible.
They make all beings tremble with their mighty strength, even the very strongest, both of earth and heaven.
4 With glittering ornaments they deck them forth for show; for beauty on their breasts they bind their chains of gold.
The lances on their shoulders pound to pieces; they were born together, of themselves, the Men of Heaven.
5 Loud roarers, giving strength, devourers of the foe, they make the winds, they make the lightnings with their powers.
The restless shakers drain the udders of the sky, and ever wandering round fill the earth full with milk.
6 The bounteous Maruts with the fatness dropping milk fill full the waters which avail in solemn rites.
They lead, as ’twere, the Strong Horse forth, that it may rain: they milk the thundering, the never-failing spring.
7 Mighty, with wondrous power and marvellously bright, selfstrong like mountains, ye glide swiftly on your way.
Like the wild elephants ye eat the forests up when ye assume your strength among the bright red flames.
8 Exceeding wise they roar like lions mightily, they, all-possessing, are beauteous as antelopes;
Stirring the darkness with lances and spotted deer, combined as priests, with serpents’ fury through their might.
9 Heroes who march in companies, befriending man, with serpents’ ire through strength, ye greet the earth and heaven.
Upon the seats, O Maruts, of your chariots, upon the cars stands lightning visible as light.
10 Lords of all riches, dwelling in the home of wealth, endowed with mighty vigour, singers loud of voice,
Heroes, of powers infinite, armed with strong men’s rings, the archers, they have laid the arrow on their arms.
11 They who with golden fellies make the rain increase drive forward the big clouds like wanderers on the way.
Self-moving, brisk, unwearied, they o’erthrow the firm; the Maruts with bright lances make all things to reel.
12 The progeny of Rudra we invoke with prayer, the brisk, the bright, the worshipful, the active Ones
To the strong band of Maruts cleave for happiness, the chasers of the sky, impetuous, vigorous.
13 Maruts, the man whom ye have guarded with your help, he verily in strength surpasseth all mankind.
Spoil with his steeds he gaineth, treasure with his men; he winneth honourable strength and prospereth.
14 O Maruts, to the worshippers give glorious strength invincible in battle, brilliant, bringing wealth,
Praiseworthy, known to all men. May we foster well, during a hundred winters, son and progeny.
15 Will ye then, O ye Maruts, grant us riches, durable, rich in men, defying onslaught.
A hundred, thousandfold, ever increasing? May he, enriched with prayer, come soon and early.

Rig Veda Book 1 Hymn 64
वर्ष्णे शर्धाय सुमखाय वेधसे नोधः सुव्र्क्तिं पर भरा मरुद्भ्यः |
अपो न धीरो मनसा सुहस्त्यो गिरः समञ्जे विदथेष्वाभुवः ||
ते जज्ञिरे दिव रष्वास उक्षणो रुद्रस्य मर्या असुरा अरेपसः |
पावकासः शुचयः सूर्या इव सत्वानो न दरप्सिनोघोरवर्पसः ||
युवानो रुद्रा अजरा अभोग्घनो ववक्षुरध्रिगावः पर्वता इव |
दर्ळ्हा चिद विश्वा भुवनानि पार्थिवा पर चयावयन्तिदिव्यानि मज्मना ||
चित्रैरञ्जिभिर्वपुषे वयञ्जते वक्षस्सु रुक्मानधि येतिरे शुभे |
अंसेष्वेषां नि मिम्र्क्षुर रष्टयः साकं जज्ञिरे सवधया दिवो नरः ||
ईशानक्र्तो धुनयो रिशादसो वातान विद्युतस्तविषीभिरक्रत |
दुहन्त्यूधर्दिव्यानि धूतयो भूमिं पिन्वन्ति पयसापरिज्रयः ||
पिन्वन्त्यपो मरुतः सुदानवः पयो घर्तवद विदथेष्वाभुवः |
अत्यं न मिहे वि नयन्ति वाजिनमुत्सं दुहन्ति सतनयन्तमक्षितम ||
महिषासो मायिनश्चित्रभानवो गिरयो न सवतवसो रघुष्यदः |
मर्गा इव हस्तिनः खादथा वना यदारुणीषु तविषीरयुग्ध्वम ||
सिंहा इव नानदति परचेतसः पिशा इव सुपिशो विश्ववेदसः |
कषपो जिन्वन्तः पर्षतीभिर रष्टिभिः समित सबाधः शवसाहिमन्यवः ||
रोदसी आ वदता गणश्रियो नर्षाचः शूराः शवसाहिमन्यवः |
आ वन्धुरेष्वमतिर्न दर्शता विद्युन न तस्थौ मरुतो रथेषु वः ||
विश्ववेदसो रयिभिः समोकसः सम्मिश्लासस्तविषीभिर्विरप्शिनः |
अस्तार इषुं दधिरे गभस्त्योरनन्तशुष्मा वर्षखादयो नरः ||
हिरण्ययेभिः पविभिः पयोव्र्ध उज्जिघ्नन्त आपथ्यो न पर्वतान |
मखा अयासः सवस्र्तो धरुवच्युतो दुध्रक्र्तो मरुतो भराजद्र्ष्टयः ||
घर्षुं पावकं वनिनं विचर्षणिं रुद्रस्य सूनुं हवसा गर्णीमसि |
रजस्तुरं तवसं मारुतं गणं रजीषिणंव्र्षणं सश्चत शरिये ||
पर नू स मर्तः शवसा जनानति तस्थौ व ऊती मरुतो यमावत |
अर्वद्भिर्वजं भरते धना नर्भिराप्र्छ्यंक्रतुमा कषेति पुष्यति ||
चर्क्र्त्यं मरुतः पर्त्सु दुष्टरं दयुमन्तं शुष्मं मघवत्सु धत्तन |
धनस्प्र्तमुक्थ्यं विश्वचर्षणिं तोकं पुष्येम तनयं शतं हिमः ||
नू षठिरं मरुतो वीरवन्तं रतीषाहं रयिमस्मासु धत्त |
सहस्रिणं शतिनं शूशुवांसं परातर मक्षू धियावसुर जगम्यात ||

vṛṣṇe śardhāya sumakhāya vedhase nodhaḥ suvṛktiṃ pra bharā marudbhyaḥ |
apo na dhīro manasā suhastyo ghiraḥ samañje vidatheṣvābhuvaḥ ||
te jajñire diva ṛṣvāsa ukṣaṇo rudrasya maryā asurā arepasaḥ |
pāvakāsaḥ śucayaḥ sūryā iva satvāno na drapsinoghoravarpasaḥ ||
yuvāno rudrā ajarā abhoghghano vavakṣuradhrighāvaḥ parvatā iva |
dṛḷhā cid viśvā bhuvanāni pārthivā pra cyāvayantidivyāni majmanā ||
citrairañjibhirvapuṣe vyañjate vakṣassu rukmānadhi yetire śubhe |
aṃseṣveṣāṃ ni mimṛkṣur ṛṣṭayaḥ sākaṃ jajñire svadhayā divo naraḥ ||
īśānakṛto dhunayo riśādaso vātān vidyutastaviṣībhirakrata |
duhantyūdhardivyāni dhūtayo bhūmiṃ pinvanti payasāparijrayaḥ ||
pinvantyapo marutaḥ sudānavaḥ payo ghṛtavad vidatheṣvābhuvaḥ |
atyaṃ na mihe vi nayanti vājinamutsaṃ duhanti stanayantamakṣitam ||
mahiṣāso māyinaścitrabhānavo ghirayo na svatavaso raghuṣyadaḥ |
mṛghā iva hastinaḥ khādathā vanā yadāruṇīṣu taviṣīrayughdhvam ||
siṃhā iva nānadati pracetasaḥ piśā iva supiśo viśvavedasaḥ |
kṣapo jinvantaḥ pṛṣatībhir ṛṣṭibhiḥ samit sabādhaḥ śavasāhimanyavaḥ ||
rodasī ā vadatā ghaṇaśriyo nṛṣācaḥ śūrāḥ śavasāhimanyavaḥ |
ā vandhureṣvamatirna darśatā vidyun na tasthau maruto ratheṣu vaḥ ||
viśvavedaso rayibhiḥ samokasaḥ sammiślāsastaviṣībhirvirapśinaḥ |
astāra iṣuṃ dadhire ghabhastyoranantaśuṣmā vṛṣakhādayo naraḥ ||
hiraṇyayebhiḥ pavibhiḥ payovṛdha ujjighnanta āpathyo na parvatān |
makhā ayāsaḥ svasṛto dhruvacyuto dudhrakṛto maruto bhrājadṛṣṭayaḥ ||
ghṛṣuṃ pāvakaṃ vaninaṃ vicarṣaṇiṃ rudrasya sūnuṃ havasā ghṛṇīmasi |
rajasturaṃ tavasaṃ mārutaṃ ghaṇaṃ ṛjīṣiṇaṃvṛṣaṇaṃ saścata śriye ||
pra nū sa martaḥ śavasā janānati tasthau va ūtī maruto yamāvata |
arvadbhirvajaṃ bharate dhanā nṛbhirāpṛchyaṃkratumā kṣeti puṣyati ||
carkṛtyaṃ marutaḥ pṛtsu duṣṭaraṃ dyumantaṃ śuṣmaṃ maghavatsu dhattana |
dhanaspṛtamukthyaṃ viśvacarṣaṇiṃ tokaṃ puṣyema tanayaṃ śataṃ himaḥ ||
nū ṣṭhiraṃ maruto vīravantaṃ ṛtīṣāhaṃ rayimasmāsu dhatta |
sahasriṇaṃ śatinaṃ śūśuvāṃsaṃ prātar makṣū dhiyāvasur jaghamyāt ||