১ আহস ছিলেন য়োথমের পুত্র। য়োথম ছিলেন ঊষিযের পুত্র। রত্সীন ছিলেন অরামের রাজা।আহসের রাজত্ব কালে সিরিযার রাজা রত্সীন এবং ইস্রায়েলের রাজা, রমলিযের পুত্র পেকহ জেরুশালেমের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য এসেছিলেন। কিন্তু তাঁরা এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে পারেন নি।
২ যিহূদার রাজবাড়ি দাযূদের পরিবারকে জানানো হল যে, “অরাম এবং ইফ্রযিমের (ইস্রায়েলের) সেনাদল জোটবদ্ধ হয়েছে। তারা একসঙ্গে ঘাঁটি গেড়েছে।”এই খবর শুনে রাজা আহস এবং তাঁর প্রজারা খুব ভয় পেয়ে গেলো। বনের গাছপালা যেমন বাতাসে নড়ে তেমনি তারাও ভয়ে কাঁপতে লাগল।
৩ তখন প্রভু যিশাইয়কে বললেন, “তুমি এবং তোমার পুত্র শার-যাশূব যাবে এবং আহসের সঙ্গে কথা বলবার জন্য ধোপাদের মাঠের রাস্তার পাশে যেখানে জল উচ্চতর জলাশযের মধ্যে দিয়ে বইছে, সেখানে দেখা করবে।
৪ “আহসকে বল, ‘সাবধানে থেকো, কিন্তু শান্ত থেকো! রত্সীন ও রমলিযের পুত্রকে ভয় পেযো না, কারণ তারা দুটি পোড়া কাঠির মত। অতীতে তারা খুব গরম ছিল। কিন্তু এখন তারা শুধুই ধোঁযা। রত্সীন, অরাম এবং রমলিযের পুক্র রুদ্ধ হয়ে রয়েছে।
৫ তারা তোমার বিরুদ্ধে নানা ফন্দি এঁটেছে। তারা বলছে:
৬ আমরা যিহূদার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করব। আমরা নিজেদের স্বার্থে যিহূদাকে ভাগ করে টাবেলের পুত্রকে যিহূদার নতুন রাজা বানাব।”‘
৭ প্রভু আমার গুরু বললেন, “কিন্তু তাদের পরিকল্পনা সফল হবে না।
৮ রত্সীন যতদিন দম্মেশকের শাসক থাকবে, ততদিন তাদের অভিসন্ধি খাটবে না। এখন ইফ্রযিম(ইস্রায়েল) একটি দেশ, কিন্তু ভবিষ্যতে আজ থেকে ৬৫ বছর পরে সেটি আর একটি দেশ থাকবে না।
৯ যতদিন শমরিয়া ইফ্রযিমের (ইস্রায়েল) রাজধানী থাকবে এবং যতদিন রমলিযের পুত্র শমরিয়ার শাসক থাকবে ততদিন তাদের ফন্দি সফল হবে না। তুমি যদি একথা বিশ্বাস না কর তাহলে লোকরা তোমাকে বিশ্বাস করবে না।”
১০ তারপর প্রভু যিহূদার রাজা আহসকে আরও বললেন,
১১ “প্রভু, তোমার ঈশ্বরের কাছ থেকে একটি সংকেত চিহ্ন চেয়ে নাও যাতে তুমি নিজের কাছে প্রমাণ করতে পারো যে এগুলি সব সত্য। তুমি তোমার ইচ্ছেমতো যে কোন সংকেত চিহ্ন চাইতে পারো। চিহ্নটি মৃতের আলযের মতো গভীর থেকে অথবা আকাশের মত উঁচু থেকে আসতে পারে।”
১২ কিন্তু আহস বললেন, “আমি প্রমাণ স্বরূপ কোন নিদর্শন চাই না। আমি প্রভুকে পরীক্ষাও করতে চাই না।”
১৩ যিশাইয় বললেন, “দাযূদের পুত্র, আহস মন দিয়ে শোন। লোকের ধৈর্য়্য়ের পরীক্ষা কি তোমাদের কাছে যথেষ্ট নয়? তোমরা কি আমার ঈশ্বরেরও ধৈর্য়্য়ের পরীক্ষা নিতে চাও?
১৪ ঈশ্বর আমার প্রভু, তোমাদের একটা চিহ্ন দেখাবেন:ঐ যুবতী মহিলাটি গর্ভবতী হবে এবং দেখ সে একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেবে। তার নাম রাখা হবে ইম্মানূযেল।
১৫ যতদিন না পর্য়ন্ত ইম্মানূযেল খারাপ কাজ প্রত্যাখান করে ভালো কাজ বেছে নিতে শিখবে ততদিন পর্য়ন্ত সে দই ও মধু খাবে।
১৬ কিন্তু ছেলেটি ভালো কাজ করবার মত এবং মন্দ কাজ প্রত্যাখান করবার মতো বোঝবার বযসে এসে পৌঁছবার আগেই ইফ্রযিম এবং অরাম দেশ জনমানব বর্জিত হয়ে যাবে।“তোমরা এখন ঐ দুজন রাজার ভয়ে ভীত।
১৭ কিন্তু তোমাদের আসলে প্রভুকে ভয় পাওয়া উচিত্। কারণ তিনি তোমাদের জন্য দুঃসময় আনবেন। এই দুঃসময় তোমার কাছে, তোমার লোকদের কাছে এবং তোমার পিতৃকুলেও আসবে। ঈশ্বর কি করবেন? তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য তিনি অশূরের রাজাকে আমন্ত্রণ জানাবেন।
১৮ “সে সময় প্রভু ‘মাছি’ (এখন ‘মাছিটি’ মিশরের নদীর কাছে আছে।) এবং ‘মৌমাছিকে’ (‘মৌমাছিটি’ এখন অশূর দেশে আছে।) ডাক দেবেন। তারা তোমার দেশে এসে পৌঁছবে।
১৯ তারা মরুভূমির জলস্রোতের পাশে, পাথুরে গভীর খাদে, ঝোপঝাড়ে এবং জলময় গর্তের কাছে চাক বাঁধবে।
২০ প্রভু যিহূদাকে শাস্তি দেবার জন্য অশূরকে ব্যবহার করবেন। প্রভু অশূরকে ভাড়া করবেন এবং সেটিকে একটি খুরের মতো ব্যবহার করা হবে। মনে হবে যেন প্রভু যিহূদার পা, মাথা এমনকি দাড়ি থেকেও চুল কামিয়ে নিচ্ছেন।
২১ “এই সময় একজন লোক একটি যুবতী গাভী ও দুটি মেষকে বাঁচিয়ে রাখতে পারবে।
২২ এরা সেই লোকটিকে যে দুধ দেবে তা মাখন খাওয়ার পক্ষে যথেষ্ট হবে। দেশে যারা রয়ে গেছে তারা দই এবং মধু খাবে।
২৩ দেশের মাঠে মাঠে যে ১,০০০ দ্রাক্ষা গাছ আছে তার প্রত্যেকটির মূল্য হবে ১,০০০ রূপোর টুকরোর সমান। কিন্তু এই দ্রাক্ষা ক্ষেতগুলি আগাছা এবং কাঁটায ভরে যাবে।
২৪ দেশ বন্য হয়ে উঠবে এবং শিকার ক্ষেত্রে পরিণত হবে।
২৫ যেখানে এক সময় লোকে পরিশ্রম করে খাদ্য উত্পন্ন করত, সেই পাহাড়গুলি আগাছা এবং কাঁটায ভরে যাবে এবং সেখানে আর কেউ কখনও যাবে না। শুধুমাত্র মেষ এবং ষাঁড় সেখানে অবাধে বিচরণ করতে পারবে।”