ফেরানো যাবে না; তুমি চলে যাবে আমাকে নিঃসঙ্গ ছেড়ে
সম্পর্কের ঝালরকে তীব্র তুড়ি মেরে।
আমার হৃদয়ে ছিলে, ছিলে
আমার চিন্তার তন্তুজালে, বোধের স্পন্দিত নীলে।
তুমি যার সঙ্গে যাবে, তার
পরনে সুনীল ডিস্কো শার্ট, জিনস্-এর ট্রাউজার,
চোখে গোল রঙিন চশমা, মুখে বুলি
হরেক রকম; একালের রলরোলে নাচে তার পেশীগুলি।
তোমার শরীরে তারা ফোটে ক্ষণে ক্ষণে
অন্তর্গত শিহরণে। আজ আমি যৌবনের অস্তগত প্রহরে মননে
পাই খুঁজে নক্ষত্রের রূপালি স্পন্দন।
মন আজো রয়ে গেছে মাছ-গাঁথা ছিপের মতোন।
যদি বলি, সব নৌকা নিমেষে পুড়িয়ে
এসেছি তোমার কাছে, আঁচল উড়িয়ে
দুরন্ত হাওয়ায় তুমি যেও না আমার যন্ত্রণার
লবণাক্ত সৈকতের থেকে দূরে, তাহলে তোমার অন্ধকার
উঠবে কি কেঁপে নবজাত নক্ষত্রের অকূল তৃষ্ণায়?
তুমি কি আমার অস্তিত্বের কিনারায়
থাকবে দাঁড়িয়ে অতীতের কোনো ভাস্কর্যের মতো?
দেবে কি উত্তর অসং কোচে? নাকি নেবে মৌনব্রত?
তোমার সম্ভ্রম আমি করবো না ক্ষুণ্ন কোনোদিন।
এতদিনে জেনে গেছি যুবক যুবতী হয় লীন
যুগ্মতায় আনন্দ তরঙ্গে বারবার; উৎফুল্ল নবীন ত্বক
প্রবীণ ত্বকের স্পর্শ চায় না সচরাচর। কখনো নিছক
কৌতূহলবশত নিকটে আসে, ফেরে সরে যায়,
যেমন তরুণী মাছ জলের উপরিভাগে এসে চমকায়
ক্ষণকাল, পুনরায় দেয় ডুব অত্যন্ত গহনে।
তোমার শরীরী আভা, হোক তা চঞ্চল, থাকে আমার মননে।